মাসিক এর কত দিন পর সহবাস করা যাবে , পিরিয়ডের সময় জরায়ুর লাইনিং ভেঙে যাওয়ার কারণে রক্তপাত হয়। তাই আমরা ধরে নিই ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু এখনও নিঃসৃত হয়নি। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং চিকিত্সকরা কিন্তু বলেন, এই সময়ও ডিম্বাণু সক্রিয় থাকতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময়ে ইন্টারকোর্সের ক্ষেত্রে খুব সামান্য হলেও ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
মাসিক এর কত দিন পর সহবাস করা যাবে
ডিম্বাশয় যে ৯ থেকে ১৯তম দিনের মাঝেই ডিম্বাণু উৎপাদন করবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা নানা কারণে এগোতে বা পেছাতে পারে। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং ধরুন আপনি পিরিয়ডের শেষ দিকে সহবাস করেছেন, আর সেই মাসে ডিম্বাশয় আগে আগেই ডিম্বাণু উৎপাদন করেছে। আর শুক্রাণু তো পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকেই।
সে ক্ষেত্রে নিষিক্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। টেনশন বা দুশ্চিন্তা, ডায়েট, ভারী শরীরচর্চা এগুলো ডিম্বাশয়কে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রভাবিত করতে পারে।সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা এড়াতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস
মাসিকের বিলম্ব অনেক কারণে হতে পারে, যেমন: শারীরিক ও মানসিক চাপ, ওজনের অত্যধিক বেড়ানো বা কমানো, হরমোনাল সমস্যা, ধূমপান, শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
আপনি নিম্নলিখিত কিছু কার্যকরণ অনুসরণ করতে পারেন: ১. যথাসম্ভব তাণ্ডব কমানো। ২. সুস্থ জীবনযাপন নেওয়া। ৩. সঠিক ওজন নিজেকে রাখা। ৪. শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত করা। ৫. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোযাক …
ধরুন আপনার পিরিয়ড ২৮ থেকে ২০ দিন অন্তর হয়। তবে ২৮-১৮= ১০, অর্থাত্ পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রায় নয় দিন আপনার জন্য নিরাপদ, এই দিনগুলিতে কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেও সহবাস অনায়াসেই করা সম্ভব। ১০ নম্বর দিন থেকে অনিরাপদ দিন শুরু। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং এই দিন থেকে সহবাসে সংযত হতে হবে।
৩০ দিন হল দীর্ঘতম মাসিকচক্র। তাই ৩০-১০= ২০, অর্থাত্ ২০ নম্বর দিনটিই হল শেষ ঝুঁকিরদিন। ২১তম দিন থেকে আবার অবাধে সহবাস করা যেতে পারে। এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই। তবে, এতে ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অবাধ সহবাসের ফলে গর্ভধারন হতে পারে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)