মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , মাসিক কি? সাধারণত একটি মেয়ে শৈশব পার করে যখন কিশোর ী প্রবেশ করে ঠিক সেই সময় মাসিক হওয়া শুরু হয়। প্রত্যেক মাসে মাসিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ মাসিকের সময় মেয়েটির শরীরে ডিম্বাণু তৈরি হয়।

এবং এই সময় পরিশ্রমণির সাথে যৌন মিলনের ফলে সে বাচ্চা জন্মদানের জনসম্পন্ন প্রস্তুত থাকে। তাই সুস্থ জৈবিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিতভাবে মাসিক হওয়া জরুরি।

 

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে



মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি থাকে না সেটি এক কথায় উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। এটি নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে। কিন্তু মাসিক বন্ধ হলেই যে আপনি গর্ভবতী হয়ে গেছেন এমনটা ভেবে নেওয়া যাবে না।



মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
মেয়েদের মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভবনা থাকে কিনা সেই বিষয়ে এতক্ষণে আপনার ধারণা হয়েছে। সাধারণভাবে কোন নারী যখন পরুষের সাথে মিলন করে তখন পরুষের শ্রুক্রাণু এবং নারীর ডিম্বাণুর সাথে নিষিক্ত হয়।



নারীর যৌনিপথের ফ্যালোপিয়ান টিউবে এই নিষিক্ত ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংযুক্ত হওয়ার অর্থ এই যে, নারী এখন গর্ভধারণ করেছে। ফলে গর্ভের সন্তুান প্রসব না হওয়ার আগে তার আর মাসিক ঋতুস্রাব হবে না।


তাই সাধারণভাবে মেয়েদের মাসিক না হলে ধরে নেওয়া হয় যে, মেয়েটি এখন গর্ভধারণ করেছে । ফলে সে এখন বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে।

 


তবে অন্য কোন কারণেও মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই মাসিক বন্ধ হলে ঠিক কি কারণে মাসিক বন্ধ হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


গর্ভধারণের প্রধান লক্ষণ হিসাবে মাসিক বন্ধ হওয়াকে দেখা হলেও গর্ভাবস্থার প্রাথমিক আরো বেশকিছু লক্ষণ রয়েছে। একটি মেয়ে যখন গর্ভধারণ করতে যায়, তখন তার শরীরে নানা রকম পরিবর্তন ও উপসর্গ দেখা যায়।




কোন সময় মিলন করলে বাচ্চা হয় না, মাসিকের আগে নাকি পরে?
হ্যা,,,,, পিরিয়ডের আগে পরে দুটো সময়েই।

 


বিস্তারিত :

ধরুণ আপনার আপনার স্ত্রীর প্রতি মাসের ১০ তারিখ থেকে প্রিরিয়ড শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৫ তারিখ।

এবার সময় টাকে আপনি তিন ভাগ করুন৷

মাসিক শুরুর আগে এবং পরে ৭ দিন করে বাদ দিন৷



১০ তারিখ শুরু হলে ৭ দিন আগে তারিখ হলো ৩ তারিখ

আবার





১৫ তারিখ শেষ হলে ৭ দিন পরে তারিখ হলো ২২ তারিখ

ঠিক মাঝের অথ্যাৎ ২২ তারিখ থেকে ৩ তারিখ এই ১০/১১ দিন কে বলা হয় ডেঞ্জার প্রিরিয়ড।

অথ্যাৎ দুই মাসিকের ঠিক মাঝের সময়৷

 



এই ডেঞ্জার প্রিরিয়ড বলার কারণ এই সময় ক্নসিভ হওয়ার চান্স সব চেয়ে বেশি৷

যারা বাচ্চা নিতে চায় তাদের এই ১০/১১ দিন প্রতিদিন অথবা একদিন পর পর মিলন করতে বলা হয়৷

এবার আপনার প্রশ্নে আসি, আপনি বলে ছিলেন কোন সময় মিলন করলে বাচ্চা হবে নাহ,,,



ঐ যে প্রিরিয়ড এর আগে পরে যে ৭ দিন করে বাদ দিলেন। ঐ সময় টাই সেফ প্রিরিয়ড অথ্যাৎ এই সময় কন্সিভ হওয়ার চান্স থাকে নাহ৷

যদিও ৭ দিন বা সপ্তম তম দিন থেকে একটু রিক্স থেকেই যায় তাহলে আপনি আরো ২ দিন করে বাদ দিন।

তাহলে ১৫ তারিখ যদি শেষ হয় তাহলে ১৫ থেকে ২০তারিখ এই ০৫ দিন



এবং

১০ তারিখ যদি শুরু হয় তাহলে ৫ থেকে ১০তারিখ এই ০৫ দিন

এই ৫+৫=১০ দিন আপনার জন্য সেভ প্রিরিয়ড।


এই সময় কোন প্রোটেকশন এর দরকার পড়ে নাহ৷

কিন্তু এই নিয়ম বা সাইকেল টা ঠিক সেই মেয়ে/মহিলা দের জন্য প্রযোজ্য যাদের প্রিরিয়ড রেগুলার হয়৷

যদি অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তাহলে এই সাইকেল/নিয়ম তাদের জন্য নয়৷

ধন্যবাদ৷


একটা মেয়ের মাসিক চক্র ২৪ থেকে ৩৮ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে যদি কারো মাসিক অর্থাৎ ঋতুস্রাব না হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে সে গর্ভবতী হতে চলেছে। অতএব এই কথার উপর ভিত্তি করে বলা যায়– মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


তবে হ্যাঁ পিরিয়ড মিস হওয়ার আরও অন্যান্য কারণ থাকতে পারে। যে কারণগুলো কখনো কখনো জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়। যেগুলো সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব।



(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)