মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়,ডাক্তারের পরামর্শ ও ইসলামিক টিপস

মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায় , মাসিক অবস্থায় জেনেশুনে স্ত্রীর যোনিপথে সহবাস করা হারাম। তবে এ অবস্থায় যোনি ব্যবহার ও পুংমৈথন ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং হাদীস শরীফে এসেছে, ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلا النِّكَاحَ

সহবাস ব্যতীত তার সাথে সবকিছু কর। (মুসলিম ৩০২)

 

মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়



সুতরাং প্রথমত আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা-ইস্তিগফার করুন। তাছাড়া হায়েযের শেষ দিকে সহবাস হলে অর্ধ দীনার সদকা করার কথা কোনো কোনো হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে তাওবা-ইস্তিগফারের পাশাপাশি উপরোক্ত নিয়মে সদকা করে দেওয়া উত্তম হবে।



পিরিয়ড চলাকালীন সময় ছাড়া অবশিষ্ট দিনগুলোতে অবশ্যই সহবাস করা যায়।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  কোন বাঁধা নেই, তবে সন্তান ধারনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখতে হবে।

 

কেউ যদি সন্তান নিতে চায় তাহলে পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে গগনা করে ১০ তম দিন থেকে ২০তম দিনের মধ্যবর্তী সময়ে নিয়মিত সহবাস করা উচিত। কারন পিরিয়ড শুরুর চৌদ্দতম দিনে নারী দেহ থেকে একটি পরিপূর্ণ ডিম্বাণু বের হয়।


এই দিনের সাম্প্রতিক আগের এবং সাম্প্রতিক পরের দিনগুলো সন্তান ধারনের জন্য উপযুক্ত সময়। আর বিশতম দিন থেকে শুরু করে আবার নতুন পিরিয়ড শুরুর মধ্যবর্তী সময় হচ্ছে সেইপ টাইম, মানে নিরাপদ সময়। সন্তান ধারনের ইচ্ছে না থাকলে এ সময়ে প্রোটেকশন ব্যবহার ছাড়াই সহবাস করতে পারেন। তবে সন্তান না চাইলে দশতম দিন থেকে বিশতম দিনের মধ্যবর্তী সময়েও প্রোটেকশন ব্যবহার করা উচিত।



নিরাপদ নয়। তবে অন্য দিনগুলোতে কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা ছাড়া সহবাস করলে গর্ভবতী হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  তবে পুরোপুরি নিরাপদ, এটা বলা যাবে না।

 

কেননা, ডিম্বাশয় যে ৯ থেকে ১৯তম দিনের মাঝেই ডিম্বাণু উৎপাদন করবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা নানা কারণে এগোতে বা পেছাতে পারে। ধরুন আপনি পিরিয়ডের শেষ দিকে সহবাস করেছেন, আর সেই মাসে ডিম্বাশয় আগে আগেই ডিম্বাণু উৎপাদন করেছে। আর শুক্রাণু তো পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকেই।

সে ক্ষেত্রে নিষিক্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। টেনশন বা দুশ্চিন্তা, ডায়েট, ভারী শরীরচর্চা এগুলো ডিম্বাশয়কে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা এড়াতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।


(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)