মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় , সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম ইউরিন দিয়ে এই পরীক্ষা করলে সঠিক রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ সকালে ইউরিন অনেক বেশি ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।

সেই কারণে ইউরিনে HCG হরমোনের উপস্থিতি অনেক ভালো ভাবে বোঝা যায়। পিরিয়ডের ডেট আসার আগেই যদি আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করেন এবং অনেক জল খেয়ে টেস্ট করেন, তাহলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।



মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়



আপনারা যারা রিলেশন করেন কিংবা বিবাহিত তারা অনেকেই এই প্রশ্ন করেন যে সহবাস বা মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয় । পিরিয়ড সাইকেলের মাঝে মাঝে সময় অর্থাৎ ১০ থেকে ২০দিনের মাঝখানে প্রেগনেন্সি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে । সম্পর্ক করার পর অন্তত আট থেকে দশ দিন সময় লাগে প্রেগনেন্সি ক্যানসেল করতে ।



সহবাসের আগ থেকে ১০ দিন পর রক্তে এবং ইউরনে টেস্ট করলে আপনি প্রেগনেন্সি কিনা তা বুঝতে পারবেন । আর প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে । অর্থাৎ পিরিয়ড ডেট পার হওয়ার পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে আপনি আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে ।

 


বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ


আজকে আমরা আলোচনা করব একজন গর্ভবতী নারীর বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ নিয়ে ।একা একজন নারীর বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি সে বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করবো । লক্ষণ গু লোর নিচে আলোচনা করা হলো


শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
মর্নিং সিকনেস
স্তনে ব্যথা হাওয়া বা ভারী হওয়া
গর্ভধারনের প্রাথমিক পর্যায়ে পিরিয়ড বন্ধ না থাকা
পিরিয়ডের তারিখ ছাড়া হঠাৎ ভার্জিনাল ব্লাডি হওয়া
বার বার টয়লেটে যাওয়ার প্রবনতা
স্তনে ব্যথা হাওয়া বা ভারী হওয়া
মোট সুইং এবং মাথা ঘোরা
গর্ভধারণের প্রথম থেকেই মুখের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায় ।




সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েও অনেক সময় গর্ভে সন্তান এসে যায়। তাই পিরিয়ড মিস করলে অথবা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা দিলে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভালো

 



পিরিয়ডের প্রথম তারিখ পার হয়ে গেলে তবেই পরীক্ষা করান

 



সবচেয়ে ভালো হয় পিরিয়ডের তারিখ পার হয়ে যাওয়ার ১০ থেকে ১৪ দিন পর পরীক্ষা করলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো। এই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলে এরপর হাসপাতালে গিয়ে রক্তের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এরপর একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সে অনুযায়ী চলতে হবে।


পিরিয়ড মিস হওয়া মানেই যে সেই মহিলা গর্ভবতী এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। আরও অনেকে কারণে পিরিয়ড মিস হতে পারে। সেই জন্য কোনও মহিলা কনসিভ করেছেন না করেন নি, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।

 

তবে প্রেগন্যান্সি টেস্টেও অনেক সময় ভুল রিপোর্ট আসে। তাই ঠিক কখন কী ভাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাবেন, তা নিয়েই আলোচনা করা হল এখানে।]

 


কেনও মহিলা প্রেগন্যান্ট হলে কেবল তখনই তাঁর ইউরিনে HCG নামে এক হরমোনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওটিসি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট পরীক্ষা করে দেখে ইউরিন এই হরমোন আছে কিনা। পিরিয়ড মিস হওয়ার দিন কয়েক পরে পরীক্ষা করুন।

বেশি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করলে ভুল রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় বা প্রতি মাসেই একটু পিছিয়ে পিছিয়ে যায়, তাহলে পিরিয়ডের লাস্ট দিন থেকে ৩৫-৪০ দিন অপেক্ষা করার পর টেস্ট করুন।


(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)