মুহাদ্দিস কাকে বলে , মুহাদ্দিস হলেন সেই ব্যক্তি যিনি হাদিস শাস্ত্র এর বর্ণনা ও এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন। এভাবে তিনি হাদিসের অনেক বর্ণনা এবং বর্ণনাকারীদের অবস্থার সাথে পরিচিত। জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং মুহাদ্দিসগণের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হলেন, সিহাহ সিত্তার ছয় জন লেখক- বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ।
মুহাদ্দিস কাকে বলে
কাশফ আধ্যাত্মিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আরোহণের পর একটি ব্যক্তিগত ঐশ্বরিক উদ্ঘাটনের অভিজ্ঞতার অবস্থা বর্ণনা করে, এবং অন্তরকে (একটি আধ্যাত্মিক অনুষদ) উন্মোচন করে যাতে ঐশ্বরিক সত্যগুলি এতে ঢেলে দেওয়া যায়।
যে ব্যক্তি হাদিস চর্চা করেন এবং বহুসংখ্যক হাদিসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলে।
সকল গ্রহণযোগ্য হাদীস তিনটি সাধারণ শ্রেণীতে বিভক্ত
: সহীহ (শব্দ), যেগুলির একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরবচ্ছিন্ন ট্রান্সমিশন এবং একটি মতন (পাঠ্য) যা গোঁড়া বিশ্বাসের বিরোধী নয়; হাসান (ভাল), যাদের অসম্পূর্ণ সনদ আছে বা সন্দেহজনক কর্তৃত্বের ট্রান্সমিটার আছে; যঈফ (দুর্বল),
আল্লামা’ মানে ওই আলেম, যিনি সমানহারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, উসুলি, মুতাকাল্লিমে, কারি, মুওয়াররিখ (ইসলামী ঐতিহাসিক), আদিব (আরবি ভাষাবিশেষজ্ঞ), জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবংফালসাফি ইত্যাদি আমাদের সমাজে বেশ মাজলুম একটি শব্দ আল্লামা। আল্লামার মানদ-ে উত্তীর্ণ হওয়া অনেক বড় ব্যাপার।
আল্লামা কাকে বলে? শাইখ খাদ্বরি (রহ.) লিখেছেন, ‘ওই আলেমকে আল্লামা বলা হয়, যিনি মানকুল ও মাকুল উভয় শাস্ত্রের জ্ঞানে সমানভাবে পারদর্শী। ’ (শরহুল খাদ্বরি আলা শরহি ইবনি আকিল, খ- ১, পৃষ্ঠা ২৬, তাহকিক : সাঈদ হামাদান)।
‘শরহে জামি’ গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘সুয়ালে কাবুলি’র টীকায় এসেছে কেউ যদি প্রশ্ন করে জামি (রহ.) ইবনে হাজিব (রহ.)-কে আল্লামা বলেছেন। অথচ তা ঠিক নয়। কারণ তিনি তো শুধু মানকুলাত শাস্ত্রের আলেম ছিলেন। জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং আর আল্লামা হতে গেলে মাকুলাত ও মানকুলাত উভয় শাস্ত্রে সমান পারদর্শী হতে হয়।
জবাবে বলা হবে, যদিও ইবনে হাজিব মানকুলাতের আলেম হিসেবে প্রসিদ্ধ; কিন্তু মূলত তিনি মাকুলাতেরও আলেম ছিলেন। তবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন মানকুলাতের আলেম হিসেবে। (হাশিয়ায়ে সুওয়ালে কাবুলি, পৃষ্ঠা ২২)
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)