যারা চোখে কোনো কালার দেখে না তাদের কি বলে, বর্ণান্ধতা বা বর্ণান্ধত্ব বা বর্ণবৈকল্য (ইংরেজি: Color Blindness) হলো মানুষের,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবংকতিপয় রঙ দেখার, শনাক্ত করার বা তাদের মধ্যে পার্থক্য করার অক্ষমতাজনিত এক প্রকার শারীরিক বৈকল্য। সাধারণত প্রতি ১০জন পুরুষে একজনের এই সমস্যা দেখা যায়।
যারা চোখে কোনো কালার দেখে না তাদের কি বলে
দৃশ্যমান আলোর সাতটি বর্ণের মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। আবার, তরঙ্গের বিক্ষেপণ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক বলে বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে যাবার পথে অন্যান্য বর্ণের আলোর তুলনায় লাল বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ কম হবে।
মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এ কারণে লাল আলো বায়ুমন্ডলে অধিক দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে।মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং ফলে বিপজ্জনক স্থানে আসার অনেক আগে থেকেই পথিক/ চালক লাল আলো দেখতে পেয়ে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারে। তাই বিপদ সংকেতে সবসময় লাল আলো ব্যবহার করা হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়
এসব মানুষকে কালার ব্লাইন্ড বলে। কালার ব্লাইন্ডের অন্য একটি নামও আছে আর তা হলো ‘কালার ভিশন ডিফিসিয়েন্সি’। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবংমানুষের চোখের ভেতরে রেটিনা নামক একটি পাতলা স্তর রয়েছে, যেটি দুই ধরনের আলোকসংবেদী কোষ বা ফটোরিসেপ্টর বহন করে।
এদের নাম হলো রডকোষ এবং কোণকোষ।মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং কোণকোষ আমাদের বিভিন্ন রং চেনাতে সাহায্য করে এবং এই কোষের মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারি। অর্থাৎ আমরা চারপাশে রঙিন যা কিছু দেখি সবই কোণকোষের অবদান।
কালার ব্লাইন্ডরা কি কি রং দেখতে পান? কালার ব্লাইন্ড কেন হয়? কালার ব্লাইন্ডরা কেন সবগুলো রং দেখতে পান না?
প্রথমেই একটা পরীক্ষা করা যাক…:)
আপনি যদি নিচের ছবির সংখ্যাটি পড়তে না পারেন তাহলে আপনি লাল-সবুজ বর্ণান্ধ বা কালার ব্লাইন্ড(যারা লাল আর সবুজ বর্ণের পার্থক্য বুঝতে পারেন না)।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)