যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে , যিনা কবিরা গুনাহ, যা তাওবা ব্যাতিরেকে মাফ হয় না।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং কুরআনে বলা হয়েছে যে, ”ওয়া লা তাকরাবুয যিনা” যার অর্থ হলো, “তোমরা যিনার ধারে-কাছেও যেও না”।
যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে
বাইবেল শেখায় যে ক্রুশে যীশুর প্রবাহিত রক্ত অবিশ্বাস সহ সমস্ত পাপকে আবৃত করে। “… যীশুর রক্ত, ঈশ্বরের পুত্র, আমাদের সমস্ত পাপ থেকে শুদ্ধ করে” (1 জন 1:7)। এর মানে হল যে আমরা যে কোন পাপ করি, অবিশ্বাস সহ, আমরা যখন অনুতপ্ত হৃদয় নিয়ে যীশুর কাছে আসি তখন ক্ষমা করা যায়৷
হযরত আবু আহমাদ সাকাল ইবনু হুমাইদ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম আমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিন যা আমাকে পাপ কাজ থেকে রক্ষা করবে।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
সেই সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি বলোঃ-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي
উচ্চারণঃআল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন সাররি সামিয়ি ওয়া মিন বাসারি ওয়া মিন সাররি লিসানি ওয়া মিন সাররি কালবি ওয়া মিন সাররি মানিয়্যি।মমিন মুসলমানদের উচিত হাদিসে শেখানো এই দোয়াটির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দুনিয়ার যাবতীয় অশ্লীলতা ও পণ্য আসক্তি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা কেউ যদি এ ধরনের কোন অপরাধে লিপ্ত হন তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নেবেন।
এটা যেহেতু খুব বড় অন্যায় তাহলে অবশ্যই তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করবেন যদি সত্যিকার অর্থে আন্তরিকতার সঙ্গে এ ক্লাসের সঙ্গে একবারে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে আল্লাহ সেই বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন নিশ্চয় আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন সত্যিকারের দোয়া করলে আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেবেন তাই কোন ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে আন্তরিকতা নিয়ে ক্ষমা চান তাহলে অবশ্যই তিনি মাফ পাবেন।
হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিতঃ আবু দাউদ শরীফের এসেছে হাদিস নাম্বারঃ ১৫২১। তিনি বলেনঃ আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ যেকোন বান্দা কোন গুনাহ লিপ্ত হওয়ার পর উত্তমরূপে ওযু করবে। তারপর দন্ডায়মান হয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়বে, দু’রাকাত নামাজ পড়ার পর অতঃপর ইস্তেগফার করবে অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ মার্জনা করে দেবেন এবং সে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। এই কথা বলার পর রাসূল (সাঃ) সূরা আল ইমরানের ১৩৫ নম্বর আয়াত পাঠ করে শোনালেন।
সুপ্রিয় পাঠক যারা এই সমস্ত কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন, এখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট তওবা করতে চান। তাদের জন্য পদ্ধতি হলোঃ প্রথমে ভাল করে অযু করে নেবেন অর্থাৎ উত্তমরূপে অজু করবেন। অজু করার পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বেন।
নফল নামাজ পড়ার পর, পূর্বের কাজের জন্য লজ্জিত হবেন, অনুতপ্ত হবেন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকটে ক্ষমা চাইবেন এবং ভবিষ্যতে এমন পাপ করবেন না এই বলে দূর প্রতিজ্ঞ হবেন। এর সাথে সাথে যদি এই কাজ অপরের, অনিচ্ছায় করে থাকেন, তাহলে তার নিকট ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)