যোনি শুকিয়ে যায় কেন , শুষ্ক যৌনক্রিয়া (ইংরেজি: Dry sex) হল যোনি পিচ্ছিলকারক ছাড়াই যৌন মিলনের যৌন অনুশীলন।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং যোনি পিচ্ছিলকারক ভেষজ কামোদ্দীপক, ঘরোয়া ডিটারজেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করে, যোনি মুছে ফেলার মাধ্যমে, বা অন্যান্য পদ্ধতি ছাড়াও যোনিতে পাতা রেখে অপসারণ করা যেতে পারে। শুষ্ক যৌনতা বর্ধিত স্বাস্থ্য ঝুঁকির সাথে যুক্ত।
যোনি শুকিয়ে যায় কেন
মানবদেহের কোষে বিভি’র জীবাণু। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটে ‘ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস’ বা ‘বিভি’ নামে রোগ হতে পারে বলে এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে। প্লস বায়োলজি নামে এক জার্নালে এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে এবং এতে বলা হচ্ছে যে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী দেহে এই রোগ বাসা বাঁধে।
যোনি শুকিয়ে যায় কেন
যোনির শুষ্কতার এই ঘটনা মহিলাদের শরীরে সাধারণত হরমোনের প্রভাবে ঘটে থাকে। শরীরে স্ত্রী হরমোন এর পরিমাণ যদি কমতে থাকে তাহলে এ ধরনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
Estrogen নামক এক ধরনের হরমোন সাধারণত যৌন মিলনের সময় ভ্যাজাইনাল লিকুইড নিঃসরণে সহায়তা করে থাকে। কোনভাবে যদি এই হরমোনের পরিমাণ শরীরে কমতে থাকে তবে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস সহ আপনার যৌনজীবনে নেমে আসতে পারে বিভিন্ন অসুবিধা।
ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
এটা হরমোনজনিত কারনে হতে পারে। আবার সঙ্গী যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেললেও হতে পারে। বেশি পানি পান করুন। রসালো ফলমূল শাকসবজি খান। ঝোল তরকারি বেশি খান। কিছুদিন তোকমার শর্বত খেয়ে দেখতে পারেন
যাঁদের মেনোপজ় হয়ে গিয়েছে বা হওয়ার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের ভ্যাজাইনার শুষ্কতা সংক্রান্ত একটা সমস্যা সত্যিই দেখা যায় এবং তার ফলে যৌন মিলন অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতায় পর্যবসিত হয়ে পড়ে।
কিন্তু যদি আপনার বয়স 40-এর কম হয় এবং তা সত্ত্বেও এই সমস্যায় ভোগেন, তা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা তৈরি করে নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।
ভ্যাজাইনার শুষ্কতার সঙ্গে আপনার শরীরে উপস্থিত স্ত্রী হরমোনের সরাসরি যোগ আছে। স্ত্রী হরমোনের পরিমাণ কমতে আরম্ভ করলেই এ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তবে বিশেষ বিশেষ ওষুধের, বিশেষ করে অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্টের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও এমনটা হতে পারে।
কিছু হরমোনাল জন্ম নিরোধক পিলও গোপনাঙ্গের পিচ্ছিলতা কমার কারণ। সদ্য মা হওয়ার পর, বিশেষ করে যে সব মা সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁদেরও এমন একটা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা আছে। সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।
আপনি যদি ডিপ্রেশন বা স্ট্রেসের কবলে থাকেন, তা হলে বাড়তে পারে ভ্যাজাইনার শুষ্কতা – তবে এ সব ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে নিশ্চিতভাবেই সুরাহার সন্ধান মিলবে। সাধারণত যোনিপথ পিচ্ছিল না হলে যৌনজীবনে সুখ থাকে না – তা ক্রমশ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতায় পর্যবসিত হয়।
ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা যায়, ফোর প্লে-র জন্য বেশি সময় বরাদ্দ করতে পারেন, প্রত্যেক স্বামীর উচিত স্ত্রী কে যথেষ্ট সময় দেওয়া, তার প্রত্যেকটি অঙ্গে উত্তেজনা নাড়িয়ে দেওয়া। উত্তেজনা বেড়ে গেলে সহজেই যোনিপথে ভিজে উঠবে। তাতে সমস্যার সুরাহা হওয়ার কথা। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিও খুব কাজের – চিকিৎসা শুরু হলেই স্বাভাবিকতা ফিরতে আরম্ভ করে।
মনে রাখবেন, ভ্যাজাইনা শুষ্ক হওয়াটা মোটেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। তা না হলে কিন্তু ভ্যাজাইনাল ফ্লোরায় অসঙ্গতি দেখা দেবে এবং থ্রাশ, ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের মতো সমস্যা আক্রমণ করবে বারবার। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)