“রিজিক নিয়ে উক্তি” বুদ্ধিমত্তা এবং পরিচিতি বিশিষ্ট একটি বাংলা উক্তি। এটি বাংলা ভাষায় “রিস্ক নিয়ে বলছি” বা “রিস্ক সম্পর্কে বলছি” অর্থ করে। এটি অনেকটা মানে রাখে যে একটি কাজ করতে গিয়ে বা একটি নিদেশনা দেওয়ার সময় অতিসতর্ক থাকা প্রয়োজন। রিজিক বা ঝুঁকিসম্পর্কে সাবধান থাকা কেবলমাত্র বিশেষভাবে উপযুক্ত পরিমাপ গ্রহণ করা বা একটি নির্দেশ অনুসরণ করা উচিত হতে পারে।
এই উক্তিটি অর্থানুসারে, মানুষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের আগে পরিস্কার ভাবে তার প্রতিষ্ঠানিক, আর্থিক বা ব্যক্তিগত ঝুঁকি সম্পর্কে চিন্তা করতে বলা হচ্ছে।
নিম্নলিখিত হলো ১০টি উক্তি”:
“বিজয়ের জন্য রিজিক নিয়ে চলো, নিঃসঙ্গতা পেতে কেউ সাধারনত নয়।”
“রিজিক নিয়ে বাড়তি পথ যদি সঠিক হয়, তাহলে বিজয়ের সম্ভাবনা অনেকগুলো বাড়ে।”
“আগে রিজিক সম্পর্কে ভাবো, তারপর পরিকল্পনা করো।”
“বৃদ্ধি এবং উন্নতির জন্য রিজিক গ্রহণ করা আবশ্যক।”
“রিজিক সম্পর্কে ভাল পরিকল্পনা করা হলেই উচ্চমানের উপলব্ধি সম্ভব।”
“বিজয়ের সবচেয়ে বড় রিজিক হলো কোনও রিজিক নিতে না থাকা।”
“রিজিক নিয়ে প্রশিক্ষণ পেলে আগামিকালে তোমার পাশে অনেক বেশি সুযোগ থাকবে।”
“অপরাধ এবং সাধারণত বিজয়ের মধ্যে একটি রিজিক সম্পর্কিত।”
“রিজিক সম্পর্কে মনোযোগ দেওয়া উচিত, কারণ বিজয় সেখানে আছে যেখানে অনেকেই ভয় পায় না গ্রহণ
হালাল রিজিক নিয়ে উক্তি
এই হালাল রিজিক নিয়ে কিছু উক্তি নিচে দেয়া হলো:
“হালাল রিজিক গ্রহণ করো, তোমার আদর্শ অবলম্বন থাকবে।”
“হালাল রিজিক নিতে প্রয়াস করো, তোমার প্রগতি নিশ্চিত হবে।”
“হালাল রিজিক নিয়ে চলো, তোমার মুক্তিপ্রাপ্তি অবশ্যই সম্পন্ন হবে।”
“হালাল রিজিকের জন্য প্রার্থনা করো, তোমার কাজ সফল হবে ইনশাআল্লাহ।”
“সঠিক আদর্শ ও শ্রদ্ধা অবলম্বন করে হালাল রিজিক গ্রহণ করো।”
“হালাল রিজিকের জন্য অপূর্ব প্রচেষ্টা করো, তোমার উদ্যম সম্পন্ন হবে।”
“হালাল রিজিকের পথে অপরাধ বর্জন করো, তোমার ব্যক্তিগত এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি সম্পন্ন হবে।”
“হালাল রিজিক নিয়ে চলো, তোমার পরিশ্রমের ফল অবশ্যই আপনাকে মিলবে।”
“হালাল রিজিক প্রার্থনার মাধ্যমে আর্জিত করো, তোমার পথ উজ্জ্বল হবে।”
”
নিম্নলিখিত হলো ১০টি “হালাল নিয়ে উক্তি”:
“হালাল রিজিক হলো সমৃদ্ধির কীলক, এটি প্রতিষ্ঠা করে এবং আল্লাহর বারকাতের সাথে আপনাকে উচ্চতম স্থানে নিয়ে যায়।”
“হালাল রিজিক নিয়ে প্রয়াস করো, কারণ এটি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী প্রাপ্ত করার উপায়।”
“হালাল রিজিক নিয়ে গ্রহণ করো, তোমার জীবন শান্তি এবং আনন্দের সাথে পূর্ণ হবে।”
“হালাল রিজিক হলো আল্লাহর রহমতের আলো, এটি তোমাকে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি দেয়।”
“হালাল রিজিক নিয়ে গতিশীল থাকো, তোমার জীবনে বরকত ও সাফল্য বিস্তারিত হবে।”
“হালাল রিজিক নিয়ে চলো, আল্লাহর রায়ের প্রতীক এটি তোমার পথ প্রদর্শন করবে।”
রিজিক নিয়ে হাদিস
ইসলামিক ধর্মে রিজিক নিয়ে বিভিন্ন হাদিসগুলি আছে, যা মুসলিম সমাজে রিজিকের মাহাত্ম্য ও মান্যতা প্রকাশ করে। নিম্নলিখিত কিছু প্রমুখ হাদিসগুলি রিজিক সম্পর্কে উল্লেখ করে:
হাদিস: “যে কোন মুসলিম স্ত্রী অথবা পুরুষের জন্য সম্মান্য রিজিক আল্লাহ তাআলার হস্তে অবশ্যই রাখা আছে।” (আল-তিরমিযী)
হাদিস: “আমার মুমিন বান্দাদের জন্য কোন রিজিক নেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠা বা গরিবি কারোকে সহায়তা না করার উপর নয়।” (আবূ দাউদ)
হাদিস: “আমার মুমিন বান্দার জন্য এমন কোন রিজিক আমি দিয়েছি যাতে সে আমার মন্দে সোনার কোন পাথর করতে পারেনি।” (সহীহ বুখারী)
রিজিক নিয়ে হাদিস ২ টি
এইখানে আপনাকে দুটি হাদিস প্রদান করছি রিজিক সম্পর্কে:
হাদিস: “কোন মুসলিমের জন্য আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় কোন রিজিক প্রদান করেন এবং তাকে তার আমলের দরজা দিয়েন যেমন তার আমলের আকলান তার সমস্যা কম হয়ে যায়।” (আল-তিরমিযী)
হাদিস: “আমি এমন একজন মালিক যার কাছে সমস্ত রিজিক আছে। সে রিজিক কাউকে প্রদান করেন এবং সে রাখতে পারেন যার কাছে তার রিজিক আছে।” (আবূ দাউদ)
এগুলি মুসলিমদের মধ্যে রিজিকের গুরুত্ব এবং আল্লাহ তাআলার প্রতি নির্ভরশীলতা প্রকাশ করে। এই হাদিসগুলি রিজিক প্রাপ্তি ও বিতরণের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত এবং প্রতিষ্ঠা অর্জনের বিষয়ে মুসলিমদের মনোযোগ দেয়ার লক্ষ্যে হাদিস সংক্রান্ত বলা হয়েছে।
শেষ কথা
রিজিক একটি মুসলিম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আল্লাহর নিকট প্রাপ্তিকারী হওয়া জন্য আমাদের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সঠিক আদর্শ ও ইমান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আল্লাহর সাথে সন্ধান ও সাধারণ ইবাদতের মাধ্যমে আমরা রিজিক প্রদানের উপর আল্লাহর নির্ভরশীলতা ও রহমত বিশ্বাস করতে পারি।
আমরা সঠিক মাধ্যমে পরিশ্রম ও প্রার্থনা করতে পারি এবং হালাল রিজিক গ্রহণের জন্য অপরাধ থেকে দূরে থাকতে পারি। সঠিক মনোযোগ, ইমান, প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর নির্দেশনার প্রতি নিয়ত এবং বিশ্বাস নিয়ে রিজিক অর্জনে আমরা আল্লাহর রাহমত এবং সাফল্য পাবে ইনশাআল্লাহ।