রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উক্তি,ইসলামিক কিছু কথা স্ট্যাটাস ক্যাপশন

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উক্তি (2)
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উক্তি (2)

দুঃখজনক একটি সত্যিই অস্বীকার্য ঘটনা হচ্ছে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহের মৃত্যু। সহিদুল্লাহ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী দার্শনিক, মতবাদী এবং গবেষক।রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উক্তি, তিনি ধার্মিক মূল্যবোধ ও মানবতার প্রচারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সহিদুল্লাহের উক্তির মধ্যে অনেকগুলি অগ্রাধিকার, সামাজিক সমস্যা, মানবিক প্রগতি ও ধর্মবিশ্বাসের বিষয়ে গভীর ভাবনা থাকে। একটি সাধারণ উদাহরণ হলো:

“একটি দেশে অনেক মানুষ হতে পারে বিশ্বাসের নামে একটি সীমাহীন প্রকৃতি বহন করতে পারে। কিন্তু ধার্মিক বিষয়ে গভীর ভাবনা বোঝার সময় এই সীমাবদ্ধতার অনুভব করা যায়। ধর্মের নামে যখন মানুষকে বাধা দেওয়া হয়, তখন তার মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উক্তি
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উক্তি

এই জনপ্রিয় বাংলাদেশী দার্শনিক এবং গবেষক রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর ১০টি প্রমুখ উক্তি এবং তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা নিম্নে দেওয়া হলো:

১. “মানবকে অনুপ্রাণিত করো, অপেক্ষা করো না যে তার পাশের লোক করছে কী।”

এই বাক্যটি বুদ্ধিজীবিতে উপস্থাপন করে মানুষের একটি প্রধান মানসিকতা ব্যক্ত করে। সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির সমান মূল্যায়ন সম্মান করা উচিত।
২. “আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের অন্যকে প্রভাবিত করে।”

এই বাক্যটি মনে করা উচিত যে আমরা আমাদের কর্ম এবং সৃষ্টিশীলতা দ্বারা সমাজকে প্রভাবিত করি, এবং প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের সমাজে পরিবর্তন সৃষ্টি করতে পারে।
৩. “আমরা মানুষকে নির্মাণ করতে পারি, মানুষই একটি বিপ্লব সৃষ্টি করতে পারে।”

কবিতা: মানুষের মানচিত্র ৩২
কবির নাম: রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

 

চোপ। ওই হালা জাউরার পুত, খবিশ জবান তোর থামা,
কি ভাবিস, চোখের সামনে মূলা ঘুরায়ে নাচায়ে পাবি পার?
টাকা দিয়ে রক্ত ধুবি? ধুলোয় ঢাকবি লাশ? স্মৃতি, স্বপ্ন আর
বুকের আগুনে দিবি পানি? ইটের বদলে দিবি ফাঁকি, ঝামা?

চোতমারানির জাত, আমার পোলারে তুই ভিনদেশি বুলি
কেন চাস শেখাতে পড়াতে? তুই বাড়া ভাতে ছাই দিস কেন?
নদীর জোয়ার ভাটা আমার জবানে এসে সাজানো গোছানো
কথা হয়ে ফোটে, কথা হয়ে ফোটে ভাত, বীজধান, বুলবুলি।

থামা, খানকির পোলা তোর ইলা-বিলা থামা। মানুষের ঢল
দ্যাখ নোনা দইরার মতো কূল ভেঙে কেমন গর্জায়ে ওঠে।
কেমন শিমুল দ্যাখ, রক্তজবা কিরকম রাঙা হয়ে ফোটে।
খুনের বদলে খুন, জুলুম চালালে নেবো জুলুমে বদল—

অনেক হয়েছে দেনা, পরনে ত্যানাও আর জোটে না এখন,
না খাওয়া পোলা থুয়ে মাগ যায় আনবাড়ি, আন বিছানায়।
তারেও বা দুষি কেন? পেটে খিদে বিষ হয়ে অনল জ্বালায়।
পেটের ভিতরে বিষ, মাথার ভিতরে বিষ, লোহুতে কান্দন–

কেতাব কোরান যদি সত্য হয় তয় কেন এমন আজাব?
দশজনে পোড়ে আর একজন খোয়াবের বেহেস্ত বানায়,
এই যদি বিচার বিধান তয় মানি না—ভুখা দুনিয়ায়
জুলুম চালায় যারা কেড়ে নেবো তাগো সব সুখের খোয়াব।।

 

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও তসলিমা নাসরিন

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও তসলিমা নাসরিন দুজনেই বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তাঁদের সম্পর্ক একটি মহান প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন বাংলাদেশের জানালা নিয়ে বিখ্যাত দার্শনিক, লেখক এবং মতবাদী। তসলিমা নাসরিন হলেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের শিক্ষার্থী এবং তিনি আপনার কাজের জন্য সহযোগিতা করেন।

তাঁদের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক গড়েছিল যা অনুপ্রাণিত হয়েছিল তাঁদের আদর্শগুলি এবং মানবিক পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সাধারণ মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তসলিমা নাসরিন পরমাণুবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন এবং রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কাজগুলি সমর্থন করতেন।