রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড় , রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড় সেটা সম্পর্কে আজকে জানবো। যারা জানেন না তাদের জন্য বলে রাখছি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হচ্ছে পর্তুগালের খেলোয়াড়। রোনালদো কোন দেশের খেলা সেটা তো জানলাম আপনি যদি রোনালদোর ফ্যান হয়ে থাকেন তাহলে তার সম্পর্কে নিশ্চয় আরো অনেক কিছু জানতে চান। তো চলুন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আরো কিছু খুঁটিনাটি সিক্রেট বিষয়াদি জেনে নেই।


বিশ্বসেরা এই খেলোয়াড় অর্থাৎ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১৯৮৫ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। যদিও লিওলেন মেসিও একই দিনে জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু ফুটবল ক্যারিয়ারে লিওলেন মেসি হচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। পর্তুগালে মাদাইরা দ্বীপপুঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।



রোনালদো মোটেও খুশি হননি। রোনালদো অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা।তিনি বলেছেন, প্রতিপক্ষ দলের এক ফুটবলার তাকে দ্রুত মাঠ ছাড়তে বলেছেন, যা তার পছন্দ হয়নি।


রোনালদো বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছাড়েন, যা তার অঙ্গভঙ্গিতেই স্পষ্ট ছিল।

 


বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে পর্তুগালের কোচ সান্তোসের কথায়। “রোনালদো যে অঙ্গভঙ্গি করেছে তা আমি দেখেছি। আমার এটা ভালো লাগেনি, আমার আসলেই ভালো লাগেনি”



এ পর্যন্ত টানা তিনবার রাশিয়া বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এছাড়া তিনবার প্রিমিয়াম লিগ বিজয়ী হন পাশাপাশি দুবার লা লিগা জিতেছেন। বিজয়ের তালিকায় রয়েছে চার বারের লিগ জয়ীর খেতাব এবং চার চার বার বিশ্ব ক্লাব ক্লাবও জিতেছেন।

 


আরো কিছু খেতাব এবং অর্জন রয়েছে তার অর্জনের তালিকায় যেমন একটি এফে কাপ, দুইটি লিক কাপ, দুইবার কোপা দেল রে। পর্তুগালের 2015 সালের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর নাম ঘোষণা করে সেই দেশের ফুটবল ফেডারেশন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অর্জনের কথা বলতে গেলে একের পর এক তালিকা বেশ বড়ই হবে। আর এতসব অর্জনের কারণেই তিনি বিশ্বের স্বনামধন্য, প্রভাবশালী, বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।

 

রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়


ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। নেইমারের সঙ্গে একই দিনে জন্মদিন হলেও ফুটবলীয় অর্জনে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। পর্তুগালের মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জে জন্ম গ্রহণ করা রোনালদো রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রেকর্ড পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এই ফুটবলার অনেকের চোখেই বিশ্বসেরা।

 

তিনবারের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী রোনালদো দুবার জিতেছেন লা লিগা। এছাড়া চারবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রোনালদো বিশ্ব ক্লাবকাপও জিতেছেন চারবার। একটি এফএ কাপ, দুটো লিগ কাপ ও দুবারের কোপা দেল রে জয়ী এই ফরোয়ার্ড অবশ্য নিজের সসেরা সাফল্য হিসেবে পর্তুগালের হয়ে ২০১৬ ইউরো জেতার কথাই বলেন। ২০১৫ সালেই পর্তুগালের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর নাম ঘোষণা করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।



রোনালদো কোন দেশের খেলোয়ার সেটা তো জেনেছি এবার তার পরিবার এবং নামকরণ সম্পর্কে কিছু জানবো। ১৯৮৫ সালের জন্মগ্রহণ করা ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্ডো ছিলেন নিতান্ত গরীব ফ্যামিলির একজন সন্তান। তার বাবা ছিল পেশায় একজন মালিক এবং মা ছিলেন রাধুনী। রোনালদো ছিলেন তাদের সংসারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। সাবেক রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রিগের নাম অনুসারে তার নামকরণ করা হয় রোনালদো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শৈশব কেটেছে বেশ অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে। থাকার জায়গার সংকটের কারণে তাদের পরিবার চারজন সদস্য একই রুমে বসবাস করতেন।



ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রোনালদো দেশের হয়েও সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার তিনে আছেন। এক পঞ্জীকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল (৩২) তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (২৯) সর্বোচ্চ গোলদাতাও রোনালদো। প্রথম ফুটবলার হিসেবে ম্যাচের প্রতি মিনিটে গোলের রেকর্ড করেছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

 

একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা সাতটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় (ইউরো-২০০৪,০৮,১২,১৬ ও বিশ্বকাপ-০৬,১০১৪) গোল করেছেন। প্লেমেকার হিসেবেও তিনি কম যান না, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সতীর্থদের দিয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করানোর রেকর্ডও পর্তুগিজ অধিনায়কের।

১৯৮৫ সালে মাদেইরার রাজধানী ফানচালে জন্ম গ্রহণ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ডস সান্তোস অ্যাভেইরো। মালী বাবা ও রাধুনী মায়ের ঘরের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান রোনালদো। যুক্তরাস্ট্রের সাবেক রাস্ট্রপতি রোনাল্ড রিগ্যানের নাম থেকেই রোনালদো নামটা বেছে নিয়েছেন জোসে দিনিস ও মারিয়া ডলোরেস। শৈশবটা অভাব অনটনে কেটেছে রোনালদোর। স্থানাভাবে অ্যাভেইরো পরিবারের চার সন্তানই একই রুমে বেড়ে উঠেছে। আর ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ফোর্বস সাময়িকীর সর্বোচ্চ আয় করা অ্যাথলেটদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন রোনালদো।


রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী সেটা নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতুহল রয়েছে। রোমান ক্যাথলিক। অনুমান করা হয় প্রায় ৮৫% জনসংখ্যা এই ধর্মের অন্তর্গত যদিও দাবি করা হয় তারা বেশিরভাগই গির্জার সক্রিয় অংশগ্রহণকারী নয়। বেশিরভাগ পর্তুগিজরা এখনো বাপ্তিস্ম নিতে চায় এবং চার্চে গিয়ে বিয়ে করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।


এসব দিক বিবেচনা করলে রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী খুব সহজে অনুময়। সবদিক বিবেচনা করলে সহজেই বলা যায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী।


(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)