মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে সবথেকে উত্তম ইবাদত হল জিকির লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু সবথেকে পছন্দের জিকির যা সর্বদা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জিকির করতে বলা হয়েছে
আমরা আলোচনা করব আমাদের কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সম্পর্কে এই কালিমা পড়লেই মুসলমান হয়ে যাবে এবং তার পূর্বের সকল পাপ কর্ম মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সেগুলো মুছে দিবেন এবং সঠিক পথের আলো তার দিকে এগিয়ে আসবে আমাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং খুব সুন্দর আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানব
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার

- হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, সর্বোত্তম জিকির, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বোত্তম দোয়া হলো আলহামদুলিল্লাহ।
- হযরত ইনতাব বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কেমন ভাবে উপস্থিত হইবে যে তাকে জাহান্নাম হারাম করা হয়েছে,
মুসনাদে আহমদ
- হযরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি থেকে এখলাসের নিয়তে একনিষ্ঠতার সাথে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে,
মুসনাদে আহমদ - হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেছেন, হে মোহাম্মদ তোমার উম্মতের মধ্যে এমন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করান যে ব্যক্তি একদিন হলেও মনের থেকে এ প্লাস এর মধ্য দিয়ে আমি আল্লাহ আমাকে সাক্ষ্য দিয়েছে অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এই কালেমা পড়েছে, মুসনাদে আহমদ
- যে ব্যক্তি সবসময় জিকির করে সে ব্যক্তির মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
- ভালো মানুষরা সবসময়ের জন্য ভালো কথা বলে, ভাল কথা বলার জন্য প্রয়োজন সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা, সৃষ্টিকর্তাকে যদি স্মরণ করতে থাকে তাহলে সে কখনো খারাপ কাজ করতে পারে না, খারাপ কাজ করার জন্য তার খারাপ চিন্তা মনের ভিতরে আসা উচিত , কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ রেখে যদি কেউ চলতে থাকে তাহলে তার মনে কখনো খারাপ কিছু আসবে না , আর মনে যখন খারাপ কিছু না আসবে তখনই সে ভাল কিছু করবে আর এটাই হল ইসলামের একটি বড় আদর্শ।
- কালিমার প্রথম অংশ এই অংশে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের তাওহীদের স্বীকৃতিস্বরূপ কথা বলা হয়েছে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সত্তা এমন কিছু নেই যা তার উপযুক্ত হতে পারে
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে তিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি আমাদের রিজিকদাতা, তিনি আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে সঠিক বুঝ দেওয়ার জন্য, যুগে যুগে নবী পাঠিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের নবী পাঠিয়েছেন যিনি আমাদেরকে সুন্দর ভাবে শিখিয়েছেন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
এর অর্থ হলো আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত এবাদত এর উপযুক্ত আর কোন মাবুদ নাই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বান্দা ও রাসূল
এই কালিমা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বেশি এই কালিমার তাৎপর্য কোরানে হাদিসে থেকে আমরা আরও সুস্পষ্ট ধারণা পাই এই কালিমা তাৎপর্য অনেক এই তথ্যগুলো আমাদেরকে জানতে হবে এজন্য আজকে আমরা আলোচনা করব কোরআন এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস থেকে আমরা পর্যালোচনা করেছেন
কিভাবে ভালো কাজ করতে হবে কিভাবে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে কিভাবে ছোটদের স্নেহ করতে হবে কিভাবে বড়দেরকে সম্মান করতে হবে, সকল কিছুই তিনি আমাদেরকে শিখিয়েছেন, আর এর ভিতর নিহিত মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সত্তা, আর এই সত্যকে স্বীকার করার জন্যই এই অংশটুকু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা।

- এটা আমাদের স্বীকৃতিও ঘোষণা
- এটা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য একটি বিশ্বাস ও চেতনা
- এটাই আমাদের কাজ ও প্রেরণা কারণ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর উদ্দেশ্যে তিনি আমাদেরকে শিখিয়েছেন কুদরত যার ভালোবাসা যার সনে যার আদর যার দূরদর্শিতার কারণেই আজ আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে যে কোন সমস্যার সমাধান গুলো আমরা পেয়ে যাচ্ছি
- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন ঈমানের 70 টি শাখা রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে উত্তম শাখা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
- মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন হযরত মুসা আঃ সালামের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন সাত আসমান জমিন এবং এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছু যদি এক পাল্লায় রাখ এবং যদি অন্য পাল্লায় রাখো তাহলে তুমি দেখবে আমার জিকিরের পাল্লাই ভারী হয়ে গিয়েছে
- আমাদের কালিমার এই অংশটুকুর এতই মর্যাদা এতই ওজন এবং এতই ফজিলত যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বারবার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর মাধ্যমে তার উম্মতদেরকে এই জিকির করার জন্য বলেছেন
- সর্বোপরি কথা হলো জিকির এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমের ধরে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে আমরা যেতে পারবো এটাই হলো সবথেকে তম পন্থা
- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পর জিকির করতেন এমনকি 24 ঘন্টার ভিতরে প্রতিটি সময় তিনি জিকির করতেন ঘুমানোর আগে ঘুমানোর পরে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর এই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন মিশন করতেন এবং প্রতিনিয়ত থাকতে ভালবাসতেন
-
কালেমা তাইয়্যেবা আরবি
জিকিরে মধ্যে থাকলে শয়তান কখনো আপনাকে খারাপ কাজের দিকে ধাবিত করতে পারবে না এজন্য জিকিরের মধ্য থেকে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন কে স্মরণ করতে হবে
জিকির সম্পর্কে হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি নবী আমাদেরকে দিকনির্দেশনামূলক কথা বলে গিয়েছেন কারণ এই চিত্রের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব
জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড হোক যে কোনো কারণ জিকির যখন আপনি করবেন তখন আপনার কখনো খারাপ কাজ করার মন-মানসিকতা আসবেনা

দুনিয়াতে কোন খারাপ কাজ করলে আখিরাতে তার ফল ভোগ করতে হবে এমনকি দুনিয়াতে প্রথম জীবনে যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে মৃত্যুর আগে তাকে অবশ্য সেই পাপের ফল ভোগ করতেই হবে এজন্য ভালো কাজ করতে শিখুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলুন
জিকিরের সাথে থাকুন জীবনকে আনন্দময় করে তুলুন
আপনি কি আপনার জীবনের শান্তি চান তাহলে সব সময় জন্য জিকির করুন
জিকির হলো সর্বোত্তম ইবাদত
সর্বোপরি কথা হলো মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সবথেকে প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য জিকির করতে হবে জিকিরের নিয়ম কারণ রয়েছে সেগুলো মেনে সুন্দর করে জিকির করাই উত্তম এ জন্য প্রতিনিয়ত প্রতিদিন অনুসরণ করতে হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে যখন সময় পাবেন তখন এই জিকির করতে হবে