লিংগ উত্থান সমস্যার সমাধান , কেন হয় ইরেকটাইল ডিজফাংশন। পুরুষের লিঙ্গের উত্থান মূলত যৌন উদ্দীপনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর পুরুষের যৌন উদ্দীপনা খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া, যেটির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, পেশি ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের।
এগুলোর যেকোনো একটির সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার কারণে ইরেকটাইল ডিজফাংশন হয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ, বিষণ্নতা বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার ফলেও ইরেকটাইল ডিজফাংশন হতে পারে।
ডেনমার্কের ঐ গবেষকদের ধারণা, এই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য মানুষ তাঁর যৌন সক্ষমতা ফিরে পাবেন এবং উপকৃত হবেন৷ যেসব পুরুষের লিঙ্গ উত্থান সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এক নতুন আশার সঞ্চার করেছেন ড্যানিশ গবেষকরা৷
লিংগ উত্থান সমস্যার সমাধান
গবেষণায় দেখা গেছে, স্টেম সেল থেরাপি এ ধরনের সমস্যায় দারুণ সমাধান দেয়৷ অর্থাৎ যেসব পুরুষ সহবাসের সময় এ ধরনের সমস্যায় ভুগতেন, স্টেমসেল ব্যবহার করে তাঁরা এ থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷ মার্থা হার-এর নেতৃত্বে ডেনমার্কের ওডেনসে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গবেষকরা লন্ডনে ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউরোলজি সম্মেলনে তাঁদের এই গবেষণার তথ্য-উপাত্ত এবং ফলাফল উপস্থাপন করেন৷
ইরেকটাইল ডিজফাংশনের পেছনে শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের কারণই প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন কোনো একটি অসুস্থার কারণে সাময়িকভাবে যৌন উদ্দীপনার মাত্রা কমে যেতেই পারে। কিন্তু এ নিয়ে আপনি এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন বা মানসিক চাপে ভুগতে শুরু করলেন যে পরবর্তী সময়ে সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করল। এভাবেই শারীরিক সমস্যার সঙ্গে মানসিক সমস্যা যোগ হয়ে ইরেকটাইল ডিজফাংশনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
পেটের ভেতরে যেসব ফ্যাট সেল বা চর্বি কোষ রয়েছে লাইপোসেকশন করে সেখানকার স্টেম সেল নিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে তা ২১ জন পুরুষের লিঙ্গে প্রবেশ করানো হয়, যাঁদের এ ধরনের সমস্যা আছে৷ ইনজেকশন দেওয়ার পরই ঐ পুরুষদের ক্লিনিক থেকে ছেড়ে দেয়া হয়৷ জানা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসার ছ’মাস পরসেই ২১ জনের আটজন পুরুষ জানান যে, ভায়াগ্রার মতো ওষুধ ছাড়াই তাঁরা সহবাস করেছেন এবং সহবাসে কোনো সমস্যা হচ্ছে না৷
কখন বুঝবেন সমস্যা দেখা দিয়েছে
যদি আপনি নিয়মিত নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে থাকেন—
লিঙ্গের যথাযথ উত্থান ঘটাতে না পারা।
লিঙ্গের উত্থান যথেষ্ট সময় ধরে রাখতে না পারা।
যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়া কিংবা কখনোই আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত না হওয়া।
দ্রুত বীর্যপাত হওয়া।
বিলম্বে বীর্যপাত হওয়া।
অ্যানোরগাজমিয়া দেখা দেওয়া অর্থাৎ পর্যাপ্ত উত্তেজনা সত্ত্বেও অর্গাজম লাভে ব্যর্থ হওয়া।
এ ছাড়া মনস্তাত্ত্বিক চাপ-অবসাদ, দুশ্চিন্তা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা, মানসিক চাপ, অন্যমনস্কতা, সম্পর্কের অবনতি বা অধারাবাহিকতার কারণে উদ্ভূত চাপ, আত্মবিশ্বাসহীনতা ও ভীতি।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)