শবে বরাত রোজার নিয়ত , আসসালামু আলাইকুম,শবে মেরাজ,শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো? ওয়া’আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। প্রথমত শবে মেরাজ বা শবে বরাতের আলাদা নির্দিষ্ট কোনো নফল রোজা নেই। আর দ্বিতীয়ত যেকোনো কাজের পূর্বে কোন কাজটি করছেন তা সঠিকভাবে মন থেকে নির্ধারণ করে নিলেই নিয়তের কাজ হয়ে যায়।
শবে বরাত রোজার নিয়ত
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে যে সকল মুসুল্লিগণ রোজা রাখতে চান তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে বেড়ায়। অনেকেই আবার ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় খুঁজতেছে। রোজার নিয়ত করার পূর্বে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে মূলত নিয়ত কি। নিয়ত হচ্ছে অন্তরের সিদ্ধান্ত, এর মানে হলো আপনি যে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেটি নিয়ত। সুতরাং আপনি যখন কোন কাজ করা সংকল্প গ্রহণ করবেন তখনই আপনার নিয়ত হয়ে যাবে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে নির্দিষ্ট নিয়মে রোজা রাখার কোন বিধান নেই। তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পবিত্র শাবান মাসে তিনটি করে রোজা রাখতেন। আপনিও চাইলে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটে রোজা রাখতে পারেন। তবে নফল এই রোজা রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই। সুতরাং আপনি যদি ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে থাকেন তাহলে তা খুঁজে পাবেন না।
ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। অনেক অঞ্চলে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
প্রথমত শবে মেরাজ বা শবে বরাতের আলাদা নির্দিষ্ট কোনো নফল রোজা নেই।
আর দ্বিতীয়ত যেকোনো কাজের পূর্বে কোন কাজটি করছেন তা সঠিকভাবে মন থেকে নির্ধারণ করে নিলেই নিয়তের কাজ হয়ে যায়। স্পেসিফিক ভাবে কিছু পড়া বা বলার প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনি নফল রোজা রাখবেন এটা যেহেতু আপনার কাছে নির্দিষ্ট তাই আপনার রোজার নিয়ত এখানেই হয়ে গেছে নিয়তের জন্য আলাদাভাবে আর কিছু করতে হবে না।
শবে বরাতে অনেক মুসলমানগন বিশেষ রোজা রেখে থাকেন। কারণ পবিত্র শবে বরাতের এবাদত একটি নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নফল নামাজ আদায় করা এবং এর সাথে নফল রোজা রাখা। ইন্টারনেটে অনেক মুসলমানগণ শবে বরাতের রোজা কবে থেকে তা জানতে চেয়েছে। শবে বরাতের এই বিশেষ রোজা রাখার নির্দিষ্ট কোন দিন বা তারিখ নেই।
তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রতি আরবি মাসেই তিনটি করে রোজা রাখবেন। তিনি আরবি মাসের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ আরবি ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এই তিন দিন রোজা রেখে থাকতেন। সুতরাং আপনিও চাইলে পবিত্র সামান মাসে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটি রোজা রাখতে পারেন। সাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ অর্থাৎ ইংরেজি মার্চ মাসের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ এই তিন দিন রোজা রাখা যেতে পারে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)