শরৎকাল বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ যুগ। এটি বাংলা সাহিত্যের উন্নয়নে মহান একটি অধ্যায় হিসেবে বিখ্যাত।শরৎ নিয়ে উক্তি, শরৎকালের আগমন মানসিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতির সময় হিসাবে বিবেচিত হয়।
শরৎকালের কাব্য, গান, উপন্যাস, নাটক, চিত্রকলা এবং সাহিত্যিক গল্প সবই ভারতীয় সাংস্কৃতিক সৃষ্টিতে এক পর্যায় ধরে তোলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সরত চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মনিন্দ্রনাথ গুপ্ত, জতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, স্যারাজুদ্দিন হোসেন, সংকীর্তন রায়, ক্ষেত্রমোহন গঙ্গোপাধ্যায় ইত্যাদি অনেকেই শরৎকালে বাংলা সাহিত্যে মানব চরিত্র ও সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনে মাধ্যমিক ভূমিকা পালন করেন।
শরৎকাল নিয়ে উক্তি
শরৎকাল সম্পর্কিত কিছু উক্তি:
“আমার একটি চাঁদের আলো রয়েছে, সেই চাঁদ আমার চাঁদনী পর্বে দেখা যাবে।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“এই কোমল রক্তবর্ণা শিয়ালের বুক দিয়ে মুখ বুঁচছে শিয়ালের কথা।” – কাজী নজরুল ইসলাম
“আমি তোমার মত নয়, সবুজ মণিক দিয়ে প্রাণ ধরিয়া হাঁটবো নদীর পারে।” – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“আমি কী যাচ্ছি কখনো, পারবো না নিয়ামতি গ্রহন করে পথ চলতে।” – সরত চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“যে গান গাওয়া হয়েছে তাকে বুঝতে হয় গানের আলোতে।” – মনিন্দ্রনাথ গুপ্ত
“যেমন চৈত্রে ফুলফুটে মাঠ, শরৎকালে শিশির সংকট।” – জতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
“শরৎকালের কালজয়ী চক্র মানুষের মাঝে জন্মল পাতার আঘাত।” – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ
শরৎ নিয়ে উক্তি
অবশ্যই! এই শরৎকাল সম্পর্কিত আরো ১০টি উক্তি:
“শরৎকাল সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকে, স্পন্দন করে আমাদের হৃদয়ে।” – শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“বরণ করে আসছে হে বসন্ত, পৃথিবীর হৃদয় ফুলে ফুলে উদয় হয়ে যাচ্ছে।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“শরৎকাল মাঝে মাঝে এলে দূরের একটি আবেগ মাত্র হয়ে যায়।” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
“কমল লোকের স্পন্দন শরৎকালের বসন্তে ছড়িয়ে পড়ে।” – কাজী নজরুল ইসলাম
“আসছে আবেগ শরৎকালের, দেখো বনের বৃষ্টিমালা।” – জতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
“শরৎকালে জীবন বৃষ্টির মতো, সময় থেমে যায় না।” – স্যারাজুদ্দিন হোসেন
“শরৎকালে বসন্ত আসে, চিত্র করে মাঠে মাটি।” – সংকীর্তন রায়
শরৎকাল নিয়ে কবিতা
আপনার জন্য একটি শরৎকাল সম্পর্কিত কবিতা রচনা করলাম:
শরৎ আসে, প্রকৃতি উজানে,
বাতাস মৃদু স্পর্শে আসে মাঠে।
প্রথমবর্ষা আনন্দে ভরা,
ফুলে ফুলে রঙিন হৃদয় ছড়ায়।
বাঁশির সুরে নৃত্য করে বৃষ্টি,
মেঘের ছায়ায় গভীর আধারে।
চাঁদের আলো ঝিমি ঝিমি আসে,
পৃথিবীতে বাজে বাগানের আরেক হারে।
পাখিরা গান গায়, নীল আকাশে,
মাখিরা মধু চোষে নৈসর্গিক সুগন্ধ।
পারদেশ হয়ে যায় ঘরে বাড়িতে,
অতিথি হয়ে আসে প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য চিন্তন।
শরৎ আসে, ভাসে নদীর তীরে,
হাঁটা পথে গায়ের বাঁধন সৃষ্টি।
হাওয়ায় লেগে যায় চীন্তা-চাঁদনী,
শরৎকালে রূপ হয় অপূর্ব মনোহারী।
শরৎ আসে, মেলে সব আশা পুরনো,
কবিতা রচনা করে প্রাকৃতিক সৃষ্টি।
শরৎ আসে, ভরে উঠে মানবজাতি
শেষ কথা
শরৎকালে বার্ষিক পর্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই পর্বে আমরা নতুন আশা ও প্রত্যাশা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি। শরৎকালের সুন্দর রঙিন আবৃত্তি আমাদের হৃদয়ে প্রতিস্থাপিত করে যাচ্ছে। সময় অবলম্বন করে আমরা আগামীর পথে আগ্রহ ও সমর্পণ সঙ্গে চলতে যাচ্ছি।
শরৎকাল আমাদেরকে পরিবর্তনের সূচনা দিচ্ছে এবং নতুন আরেকটি সময়ের আগমনের সমীক্ষা জাগিয়ে দিচ্ছে। আসুন সমস্ত সৃষ্টির মাঝে শরৎকালের মধুর গন্ধ আনন্দ ও সৌন্দর্য সঙ্গে উপভোগ করি। শরৎকালে আপনার জীবন আনন্দময় হোক!