সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় , বিয়ের পর সহবাস এবং মাসিক নিয়ে নারীদের মনের মধ্যে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। কোন নারী যদি কিংবা তার স্বামী যদি সন্তান না নিতে চান, তাহলে সহবাসের পর মাসিক না হলে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা কাজ করে।
কেননা অনেকেই মনে করেন, সহবাসের পর নির্ধারিত সময়ে পিরিয়ড বা মাসিক না হওয়ার মানেই প্রেগনেন্সি। এটা ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলা সম্ভব নয় যে, আপনি সহবাস করার পর নির্ধারিত সময়ের মাসিক মিস করেছেন মানেই আপনি প্রেগনেন্ট। কারন অনিয়মিত মাসিক সমস্যা থাকলে কিংবা হলে সহবাসের পর ঠিক সময় মাসিক নাও হতে পারে।
তাই সহবাসের পর মাসিক না হলে চিন্তার কোন কারন নেই। চলুন এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ করা যাক।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের অবুলেশন বা ডিম্বপাত হয়ে থাকে আর এই দিনেপাত হওয়াকে একটি মেয়ের পিরিয়ড বা মাসিক বলা হয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময় ২৮ থেকে ২৯ দিন পর পর এই ডিম্বপাত হয়। আর এই ডিম্বপাত বা ওভুলেশনের সময় মিলন করলে শুক্রাণু ও ডিম্বানু একত্রিত হয়ে ব্রণের সৃষ্টি হয় এবং গর্ভধারণ হয়। যেসব মেয়ের মাসিক হয় না তাদের ডিম্বাশয়ের কোন ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় না।
আদিম বানু না থাকলে গর্ভধারণ করা কোন নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। অনেক সময় বিয়ের পর মেয়েরা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগেন আর এই দুশ্চিন্তাগুলো হতে পারে পারিবারিক চিন্তা সামাজিক চিন্তা অর্থনৈতিক চিন্তা মানসিক চিন্তা।
এ ধরনের চিন্তা ও মানুষের চাপ মাসির না হওয়ার কারণ হতে পারে ওদের সঙ্গে নারীদের বিয়ের পর মাসিক অনিমিত হয়ে যায় এক মাস দুই মাস তিন মাস পর পর মাসিক হয়ে থাকে এটাকে অনিমিত মাসিক বলা হয়। এটা গর্ভধারণের লক্ষণ না, গর্ভধারণের সময় মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন হয় সেই পরিবর্তনগুলো আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটি নিছে তুলে ধরেছি।
1. HCG (human chorionic gonadotropin).
2. Estrogen.
3. Progesterone.
4. Human chorionic somatotropin.
5. Relaxin.
এগুলোর মধ্যে আপনাদের মেয়েদের শরীরে Human chorionic gonadotropin মিশ্রিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ শুকানো ও দিবানু মিলিত হওয়ার ৮ থেকে ১১ দিন পর Human chorionic gonadotropin হরমোন রক্ত এবং প্রসাব পরীক্ষা করলে পাওয়া যাবে।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
সহবাসের পর যদি মাসিকের চক্র অর্থাৎ মাসিকের সময় অনুযায়ী আপনার মাসিক না হয়, তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি প্রেগনেন্ট কিনা সেটা কনফার্ম হয়ে দেখতে পারেন। এই জন্য সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয় এটা জানা জরুরি। সাধারনত আপনি সহবাসের ২১ দিন পরে একবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখতে পারেন, তবে এই সময় রেজাল্ট ১০০% কনফার্ম না।
তারপর ও আপনি সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় হিসেবে একবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিন । সহবাস থেকে মোটামুটি ১৪ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে আপনি বুঝতে পারবেন প্রেগনেন্ট কিনা। এবার রেজাল্ট অনুসারে আপনি একজন গাইনোকোলজিস্ট এর কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।
আপনি যদি মনে করেন ভুল বসত বা, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রেগনেন্ট হয়েছেন, তাহলে আপনি এখন কি করতে চান সেই বিষয়ে গাইনোকোলজিস্ট কে বলুন, তিনি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন। মনে রাখবেন সহবাসের পর মাসিক না হলে এর মানেই যে আপনি কনফার্ম প্রেগনেন্ট, বিষয়টা এমন না।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করনিয়
১.যদি আপনার সহবাসের পর মাসিক না হয় তাহলে আপনার প্রথম করনিয় হচ্ছে প্রেগন্যান্সি পরিক্ষাকরা। যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন কি না। যেহেতু সহবাসের মাধ্যমে Human chorionic gonadotrophin হরমোন মিশ্রিত হয়। তাই প্রাসাব পরিক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন কি না, এটা হচ্ছে আপনার প্রথম করনিয়।
২.প্রথমে প্রেগন্যান্সি পরিক্ষা করার পর অবশ্যই পজেটিভ অথবা ন্যাগেটিভ রেজাল্ট আসবে। যদি পজেটিভ আসে তাহলে মা হবার প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহন করা খুব জরুরি। গর্ভধারণ এর শুরু থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এখন থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে সুস্থ্য শিশু জন্মদানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত বই পড়া এবং নিজের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করে রাখাই হচ্ছে প্রধান কাজ।
আপনাকে একটাই পরামর্শ দেবো আপনি অতি সত্বর কোনো ভালো gynologist ডাক্তারের কাছে গিয়ে সব সমস্যার কথা খুলে বলুন।এবং সেই ডাক্তারের কাছে এই সমস্যার চিকিৎসা নিন। আশা করি চিকিৎসা করলে আপনার সব সমস্যা দুর হবে।তাই আর দেরী না করে শীঘ্রই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।ভালো হয়ে যাবে।
আমার স্ত্রীর মাসিকের বন্ধের ৪ দিন পর বিয়ে করি তারিখ ছিলো ০২-০৭-২৩। সেই রাত থেকে ফেমিকন খাচ্ছে। গত মাস অনুযায়ী এখন পিরিয়ড হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না। ফেমিকন-এর বাদামী রংগের তিনটি ঔষধ খেয়ে ফেলেছে। সে কি এখন গর্ভবতী?
অত ভয় পাওয়ার কিছুই নেই । এই মাসেই বিয়ে হয়েছে তাই সেক্সে করা ও বীর্য ভিতরে পোরা এই শুরু হয়েছেতাই ওয়াইফ এর শরীরে অনেক হরমোনাল চেঞ্জ আস্তে পারে তারপরে আবার ফেমিকোন ও শুরু করে দিয়েছে তাই একটু লতে হতেই পারে । আরো ১৫/২০ দিন দেখুন তারপর একটা কিট কিনে পেচ্ছাপ পরীক্ষা করে ডেকে নেবেন। । আশাকরি প্রেগন্যান্ট হবে না । আর ওই লাল বড়ই টা ইরণ এর বড়ই ওটা খেলে সমস্যা নেই । একন মনের সুখে যৌণ মিলন করুন জত খুশি পারেন।
৩. প্রতিদিন নিয়ম করে ভিটামিন যুক্ত খাবার খাবেন।এখন থেকে কাজের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।ভারি কোন কাজ করা যাবে না।
৪. গর্ভধারণ এর প্রথম মাস থেকেই আপনাকে একটি রুটিন করে নিতে হবে।এবং এই রুটিন বাচ্চা জন্মদানের আগের দিন পযন্ত মেনে চলতে হবে।কখন গোসল করবেন কখন খাবেন কখন ঘুমাবেন এই ব্যাপার গুলো একেবারে শুরু থেকেই সাজিয়ে নিবেন। যাতে আপনার মাধ্যমে আপনার গর্ভ থাকা সন্তান কোন কষ্ট না পায়।
৫.গর্ভধারণ করার প্রথম মাসেই পুরো সময়টা কিভাবে কিভাবে চলবেন। ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী একটি ছক করে নিবেন। নিয়মিত টেষ্ট করাবেন। বাচ্চার পজিশন এবং সাস্থ্য ঠিক আছে কি না এই চেক গুলো নিয়মিত করাবেন।কোন সময় হাইওয়ার হওয়া যাবে না৷ যার ইফেক্ট বাচ্চার উপর গিয়ে পড়ে।