সহবাসের সময় প্রস্রাবের বেগ হয় কেন,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

সহবাসের সময় প্রস্রাবের বেগ হয় কেন , দুজন মানুষের চূড়ান্ত যৌন আনন্দের মুহূর্ত একই সময়ে নাও আসতে পারে। সাধারণত পুরুষ এবং নারীদের চূড়ান্ত মুহূর্ত পৌঁছানোর সময় আলাদা থাকে।ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং একজন যদি চূড়ান্ত মুহূর্তে উপনীত হয়ে যায় তারপর সে উত্তেজনা হারিয়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক।

 

তবে এরকম পরিস্থিতে যদি সঙ্গীকে সঙ্গ দিতে না পারা যায় তবে সঙ্গী আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। এটা খুবই স্বার্থপরের মতো আচরণ। তাই কখনও যদি সঙ্গীর আগে চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছে যাওয়া হয়, উচিত সঙ্গী চূড়ান্ত মুহূর্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত সঙ্গ দিয়ে যাওয়া এবং সঙ্গীকে বুঝতে না দেওয়া।

সহবাসের সময় প্রস্রাবের বেগ হয় কেন



– যৌন উত্তেজনার চরম অবস্থায় অনেকেরই প্রস্রাবের বেগ চলে আসে। প্রস্রাবের এই বেগ নিঃসন্দেহে যৌন উত্তেজনার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। তবে ‘সেক্স বিশেষজ্ঞ’দের মতে যৌন উত্তেজনায় প্রস্রাবের বেগ আসা অস্বাভাবিক কিছুই না।

কেউ কেউ আবার ‘অর্গাজম’কেই প্রস্রাবের বেগ ভেবে ভুল করে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে  এই সব সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সেক্স করার আগে একবারে পেট পরিষ্কার করে আসা।

সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হতে পারে কারণ সেই সময় পেনিস মাত্র একটি স্থানে স্থাপিত থাকে না। পেনিস মাথার দিকে বা পাশাপাশি স্থানান্তর করে চলে যায় এবং পরিবর্তনশীল একটি অঙ্গ হিসাবে কাজ করে।

এছাড়াও যে বয়সে মানুষের হরমোনের পরিমাণ ও স্তনের আকার পরিবর্তন হয়, তার ফলে পেনিসের মাত্রা পরিবর্তন হয় এবং এর উপর অধিক চাপ আসে। এই কারণে সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা অনুভব করা হয়।



এই ব্যথার প্রতিকার হিসাবে কিছু উপায় আছে, যেমনঃ



সহবাসের সময় সঠিক পোস্চার ব্যবহার করা যেতে পারে। সঠিক পোস্চার ব্যবহার করা না হলে তলপেটে ব্যথা বাড়তে পারে।
কিছু সাধারণ ব্যায়াম ও যোগাসন করলে এই সমস্যা কমতে পারে। যেমন, কেগেল এক্সারসাইজ, বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ করা হয়। 3.সহবাসের পর ঠান্ডা কিছু খাবেন। সংগী যেন পুরো লিংগ না ঢোকাই



বিশেষজ্ঞদের মতে, মূত্রনালির ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহবাসের পর প্রস্রাব করে নেয়া ভালো।ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে  নিউ ইয়র্কের গাইনিকোলজিস্ট আলিসা ডোয়েক বলেন, ‘নারীর ভ্যাজাইনার পাশেই মূত্রনালির অবস্থান এবং উভয়ের দূরত্ব খুবই কম। ভ্যাজাইনাতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। সহবাসকালে এসব ব্যাকটেরিয়া সহজেই মূত্রনালিতে চলে আসতে পারে।’



ভ্যাজাইনাতে পেনিসের প্রবেশে (পেনিট্রেশন) নারীর মূত্রনালিতে চাপ পড়তে পারে এবং এর ফলে মূত্রনালির ব্যাকটেরিয়া মূত্রাশয়ের দিকে চলে আসতে বাধ্য হয়- যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ডা. ডোয়েকের মতে, সহবাস পরবর্তী প্রস্রাব একটি ভালো অভ্যাস হতে পারে। এই সহজ প্রচেষ্টা সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করবে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)