সালাতের আরকান কয়টি , অন্ধ ব্যক্তিকেও জামাত ত্যাগ করার অনুমতি রাসূলুল্লাহ (স.) দেননি। একবার উম্মে মাকতূম নামে এক অন্ধ লোক নবীজিকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন অন্ধ লোক। ঘরটিও আমার দূরে, আমাকে পথ দেখিয়ে যে চালায় সেও ঠিকমতো কথা শুনে না।
ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
সালাতের আরকান কয়টি
অতএব, আমি কি (জামাআতে না এসে) নিজ ঘরে সালাত আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ (স.) প্রশ্ন করলেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? সাহাবী উম্মে মাকতুম বললেন, হা। জবাবে রাসূলুল্লাহ (স.) বললেন, তোমার জন্য কোন অনুমতির সুযোগ দেখছি না (অতএব, জামাআতে শরীক হতেই হবে)। (আবু দাউদ: ৫৫২)।
সালাতের আরকান – ২০. সালাতের আরকান কয়টি ও কী কী?
একবচনে রুকন ও বহুবচনে আরকান। এগুলো হলো নামাযের ভেতরের ফরয। এর সংখ্যা নিয়েও আলেমগণের মতভেদ রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ ফকীহগণের মতে, সালাতের রুকন ১০টি
১. দাঁড়িয়ে সালাত আদায় (ফরয সালাতে সক্ষম অবস্থায়)
২. তাকবীরে তাহরীমা (প্রথম তাকবীর)
৩. সূরা ফাতিহা পাঠ (প্রত্যেক রাকাআতে)
তোমরা সালাত আদায় কর ও যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর (অর্থাৎ জামাআতের সাথে সালাত আদায় কর)।” (সূরা ২; বাকারা ৪৩)। আর যারা জামাআতে সালাত আদায় করবে না তাদেরকে শাস্তির হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। এর দলীল হিসেবে উলামায়ে কেরাম এ আয়াতটি উল্লেখ করেছেন,
“যেদিন (যাবতীয়) রহস্য উদঘাটিত হয়ে পড়বে, তখন তাদের সাজদাবনত হওয়ার আহ্বান জানানো হবে, এসব (হতভাগ্য) ব্যক্তিরা (কিন্তু সেদিন সাজদা করতে) সক্ষম হবে না, (সেদিন) তাদের দৃষ্টি নিম্নগামী হবে, অপমান তাদের ভারাক্রান্ত করে রাখবে; (দুনিয়ায়) যখন তাদের (আল্লাহর সম্মুখে) সাজদা করতে ডাকা হয়েছিল, (তখন) তারা সুস্থ (সক্ষম) ছিল।” (সূরা ৬৮; কলম ৪২-৪৩)
৪. রুকু করা এবং রুকু থেকে উঠা।
৫. সিজদা এবং সিজদা থেকে উঠা।
৬. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠক।
৭. শেষ বৈঠক ও তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়া।
৮. রুকনগুলো ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
৯. রুকন আদায়ে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা (অর্থাৎ ক্রমধারা অনুযায়ী একের পর এক রুকনগুলো আদায় করা )
১০. সালাম ফেরানো (ডানে ও বামে)। এর কোন একটা ফরয ইচ্ছায় বা ভুলে বাদ পড়লে সালাত বাতিল হয়ে যাবে।
ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
জামাত ত্যাগকারীদের অন্তরে আল্লাহ খতম (সিল) মেরে দেন। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জামাত ত্যাগ করার বিষয়ে তোমরা সতর্ক থেকো। কেননা, জামাআতে সালাত আদায় না করলে আল্লাহ তাদের দিলে মোহর মেরে দিবেন। ফলে তারা গাফেলদের মধ্যে শামিল হয়ে যাবে।(ইবনে মাজাহ: ৭৯৪)
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)