সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তাঁর ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুক। ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য অনুযায়ী, যখন সালাত ও সালামকে আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত করা হয়, তখন এর অর্থ হয়ে থাকে আল্লাহর রহমত। আল্লাহ রব্বুল আলামিন রাসুল (সা.)-এর ওপর রহমত বর্ষণ করবেন, এ জন্য আমরা আল্লাহর কাছে এই দোয়া করে থাকি।
এর ফজিলত হলো, যখন আপনি একবার পড়বেন আল্লাহ আপনাকে দশটি রহমত দেবে, এটি সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। তাই বেশি বেশি করে দরুদ পড়ুন।
এর অর্থ কি?
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর অর্থ হলো ”আল্লাহ তা’আলা তাঁর ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুক।
যখন একজন মুসলিম বা ফেরেশতা রাসূল (সা.) এর উপর দুরুদ পাঠ করে, তখন এর অর্থ তারা নবির কাছে এটি প্রেরণ করছে এবং আল্লাহ নিকট মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করছে।
একইভাবে যখন মহান আল্লাহ তা’আলা নিজেই নবীর প্রতি দুরুদ পাঠ করেন, এর অর্থ হচ্ছে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম আল্লাহ দ্বারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অর্থ ও ফজিলত কী?
উত্তর : রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তাঁর ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুক। ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য অনুযায়ী, যখন সালাত ও সালামকে আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত করা হয়, তখন এর অর্থ হয়ে থাকে আল্লাহর রহমত। আল্লাহ রব্বুল আলামিন রাসুল (সা.)-এর ওপর রহমত বর্ষণ করবেন, এ জন্য আমরা আল্লাহর কাছে এই দোয়া করে থাকি।
ফজিলত
দরুদ শরীফ পাঠের বিভিন্ন ফজিলতের কথা হাদিসে পাওয়া যায়। তারমধ্য হতে কয়েকটি ফজিলতের কথা নিচে উল্লেখ করা হলো। –
১. ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তার ওপর দশবার দরুদ পাঠ করবেন।’ -সহিহ মুসলিম, হাদিস নং – ৩৮৪
২. ‘কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি সব লোকের তুলনায় আমার বেশি নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে।’ -সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং – ৪৮৪
দরুদ পাঠের ফজিলত সম্পর্কে আরও অনেক বড় হাদিস বর্ণিত আছে। দরুদ পাঠের গুরুত্ব বুঝাতে মহান আল্লাহ সুরা আল আহজাব এর ৫৬ নম্বর আয়াতে বলেন, ”নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।”
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম মূলত দরূদ। মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি এতটাই সন্তুষ্ট যে, ফেরেশগণদের নিয়ে তিনি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর দরূদ পাঠ করেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ দরুদ ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।
এর ফজিলত হলো, যখন আপনি একবার পড়বেন আল্লাহ আপনাকে দশটি রহমত দেবে, এটি সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। তাই বেশি বেশি করে দরুদ পড়ুন।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)