সাহিত্যিক উক্তি, সাহিত্য মানব সভ্যতার প্রতি মুখে একটি সম্পূর্ণ অদলবদল প্রতিফলন। সাহিত্যিকরা সমাজের বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে সেই সমস্ত প্রশ্নগুলোকে সমাধান করার জন্য লেখা লেখি করে থাকেন। তাদের মতো নানান বিষয়ে কথা বলতে থাকা একটি স্বপ্নময় বা মানুষ একটি সাধারণ বিষয়কে একটি দরজার সামনে নিয়ে আনতে পারে।
সাহিত্যিক উক্তি
সাহিত্যিকরা কখনও একটি সাধারণ বিষয়কে একটি নতুন দিকে নিয়ে যায় এবং মানুষের অজানা জগতে প্রবেশ করে। তাদের লেখা গ্রন্থগুলি না কেবল একটি শিক্ষা এবং উদ্দীপনা বিষয়ক, তা মানুষের আন্তরিক জীবনও প্রবৃত্তি করে এবং মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।
সাহিত্যিকদের নিয়ে ৫ টি উক্তি
এখানে সাহিত্যিকদের কিছু উক্তি দেওয়া হলো:
“লেখক হতে হলে মানুষের জীবন সম্পর্কে কিছু জানা লাগে, যেমন সে কী ভাবে কথা বলে, কী ভাবে খেয়া এবং কী ভাবে জীবন যাপন করে।” – হেমিংওয়ে
“লেখার জন্য কোন উপযোগী আদর্শ নেই, কেবল আপনার হৃদয়ের মধ্যে যা থাকে তা লেখা উচিত।” – লেও তলস্কি
“লেখন মানুষের জন্য সাধারণত একটি বেশ উচ্চতার কাজ, কারণ তার মাধ্যমে মানুষ যে সমস্যাগুলির সামনে দাঁড়িয়ে আছে তা পরিষ্কার হয়ে উঠে এবং একটি সমাধানের দিকে নেয়া যায়।” – জন স্টাইনবেক
“লেখার ক্ষমতার মৌলিক শক্তি হল সত্যকে বলা।” – জেরাল্ড বার্নার্ড শৌ
“সাহিত্য মানব সমাজের জীবন থেকে যা বাঁচে থাকে, তা চিত্রসহ দর্শকের জীবনে উঠে ওঠে।” – উমেশচন্দ্র গুপ্ত
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত উক্তি
বাংলা সাহিত্য পুরো দেশব্যাপী উদ্যোগ, উদ্ভাবন এবং সম্পন্নতার কেন্দ্র ছিল। এখানে কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি দেওয়া হলো:
“কোন জাতি জীবন সারাদিন গাঁথানো মানুষের স্থান পরিবর্তন করে দেবে না, পাঠানো আলোর কিছু স্পর্শ তার ভাবনাগুলো উজ্জ্বল করতে পারে।” – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“কখনোই এমন সময় আসবে না যখন পৃথিবীতে বিশ্বাস আর সত্য একই পথে চলবে না।” – কাজী নজরুল ইসলাম
“যদি স্বাধীনতার একটি শক্তিশালী উপহার পেতাম, তাহলে প্রথম কাজ হত আমার জন্মদিন পরিবর্তন করা।” – তবু মসতফা
“লেখা হল জীবনের অভিনয়, যা হাজার জীবনের একটি স্বপ্নকে জাগিয়ে দেয়।” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
উপসংহার
সাহিত্য মানবকে আরও মানবিক করে তুলে আনে। সাহিত্য বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জানানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। সাহিত্য মানবকে ভাবনার ও মনের গভীরতা পর্যাপ্ত মাত্রায় জানায়। এটি একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্য সম্পদ। সাহিত্য আমাদের সমাজের মধ্যে তৈরি নিত্যদিন ঘটানো পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সাহিত্য পড়া ও লিখা সমস্ত মানুষের জীবনের অংশ হতে পারে।