সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা , অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ থাকার কারণে নিকোটিনের প্রভাব কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পিঁয়াজ ফুসফুসের থেকে সব ক্ষতিকর বিষ বের করে দেয়। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং ফলে ফুসফুস ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা
খাওয়ার পর পরই কখনও ধূমপান করবেন না। খাওয়ার পর যদি আপনি ধূমপান করেন, তাহলে যে প্রয়োজনীয় জিনিস আপনার শরীরে প্রবেশ করেছিল, তার পুষ্টিগুণ কিন্তু নামতে শুরু করে দেবে। তাই খাওয়ার পর ধূমপানকে না বলুন। গবেষকদের একাংশ বলছেন, খাওয়ার পর সিগারেট পান করলে তা ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
ধূমপান অর্থ কি?
ধূমপান হচ্ছে তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শ্বাসের সাথে তার ধোঁয়া শরীরে গ্রহণের প্রক্রিয়া। সাধারণ যেকোনো দ্রব্যের পোড়ানো ধোঁয়া শ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে তাকে ধূমপান বলা গেলেও মূলত তামাকজাতীয় দ্রব্যাদির পোড়া ধোঁয়া গ্রহণকেই ধূমপান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আলঝেইমারসঃ
ধূমপানের আরেকটি উপকারী দিক হলো এটা আলঝেইমারস প্রতিরোধক। আলঝেইমারস হলো স্নায়বিক ক্ষয়রোগ যাতে আস্তে আস্তে সব কিছু ভুলতে থাকে মানুষ। কিন্তু এ নিয়ে এখনও যথেষ্ট বিতর্ক মত-দ্বিমত চলছেই।
২০০২ সালের দিকে ইঁদুরের উপর একটি গবেষণায় প্রমানিত হয় যে ধূমপান স্নায়ুক্ষয় জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম । কিন্তু মানুষের উপর বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, বহুদিন ধরে যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য আলঝেইমারস হবার সম্ভাবনা বরং বেশ বেশিই। অনেকেই মনে করেন যে, সিগারেট কোম্পানিগুলো ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য এ ধরণের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে।
পারকিনসনস ডিজিজঃ
এটাও একটি স্নায়বিক রোগ। এ রোগে স্নায়ুক্ষয়ের ফলে ক্রমাগত হাত-পা কাঁপতে থাকে রোগীর; বুড়ো আঙুল ও তর্জনীর সাহায্যে কলম- সুঁই বা ট্যাবলেট ধরার মত কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে প্রথম একটি জার্নালে বলা হয় যে কম হলেও ধূমপান পারকিনসনস ডিজিজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পরে ২০১০ সালে আরেকটি জার্নালে একই ধরণের আরকটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়; তবে ২টি জার্নালের কোনটিতেই নিকোটিন বা ধূমপানের ভূমিকার সঠিক কার্যকরণটি ব্যাখ্যা করা হয়নি।
ওজন কমাতেঃ
আসলে এটাকে ইতিবাচক ভূমিকা বলা যায় কি না সে নিয়ে অনেক বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। কারণ ওজন কমাতে ধূমপানের সরাসরি কোন ভূমিকা নেই;
ধূমপান মূলত ক্ষুধামন্দার কারণ হিসেবে কাজ করে। তাই ক্ষুধা না লাগলে খাওয়াও কমে যায়, সেই সাথে কমে ওজন। তবে যাদের ওজন এমনিতেই কম- তাঁরা যে ধূমপান করলে কঙ্কালসার হয়ে যেতে পারেন সে নিয়ে কোন সন্দেহই নেই!
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)