সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)



হাদীসটিতে এই শব্দসমূহে অন্তর্ভুক্ত তাসবীহের যিকির করার ফযীলাত প্রমাণিত হয়। যে ব্যক্তি এ যিকিরটি করবে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ যত বেশি হোক না কেন ক্ষমা করে দিবেন; যদিও তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়ে থাকে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার যিকিরকারী বান্দাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ। এটি সকালের যিকির। কারণ, এ হাদীসে “দিনে“-এর কথা উল্লেখ আছে ।

আবার এটি সন্ধ্যারও যিকির। কারণ, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যা সুবাহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহী একশ বার বলে, কিয়ামাতের দিন কেউ তার চেয়ে উত্তম আর কিছু নিয়ে উপস্থিত হবে না। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত যে তার মতো বলে অথবা তার চেয়ে অতিরিক্ত বলে।“ এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।



সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম এর ফজিলত

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—


দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।

 


বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬

سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।

 



অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—

‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)




দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।
বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬

سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم


উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।


অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—



‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)

 



মানুষের এখন নানা ধরনের ব্যস্ততা। কাজের ভিড়ে নিয়মিত নফল ইবাদত করা হয়তো অনেকের সম্ভব হয় না। কিন্তু যেকোন মুহূর্তে আল্লাহর প্রশংসায় তার জিকির করা— অনেক সহজ। এতে কোনো সময়ক্ষেপণ হয় না। কাজেও ব্যাঘাত সৃষ্টি করে না।


তাই সহজ আমল হিসেবে অন্তত উপরোক্ত বাক্য দুইটি নিয়মিত পড়তে পারি। এতে অজ্ঞাতে ঘটে যাওয়া আমাদের বিভিন্ন গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন। পাশাপাশি অগণিত সওয়াবে ঋদ্ধ করবেন।



‘সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহ’লে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মত মর্যাদা ও ছওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না’ (আবুদাউদ হা/৫০৫১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪২৫)। উক্ত তাসবীহটি সংক্ষেপে কেবল ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ শব্দে পাঠ করলেও উক্ত মর্যাদা পাবে (মুসলিম হা/২৬৯২; মিশকাত হা/২২৯৭)।

 

তাছাড়া উক্ত তাসবীহটি যতবার পাঠ করবে জান্নাতে ততটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে (তিরমিযী হা/৩৪৬৪; মিশকাত হা/২৩০৪; ছহীহাহ হা/৬৪)। এছাড়া এই তাসবীহটি যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঠ করবে, তার গোনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমতুল্য হয় (বুখারী হা/৬৪০৫; মিশকাত হা/২২৯৬)।