সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সূরা কাফিরুন এর শানে নুযুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আজকে আমরা সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং এর নাযিলের প্রেক্ষাপট হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছে সে সম্পর্কে অবগত হব ।

সূরা কাফিরুন এমন একটি সূরা যে ছড়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের একত্ববাদের সাথে কোন কিছু সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না এ বিষয়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহ উলামায়ে কিরাম না যে কথাগুলো বলেছি সে সম্পর্কেও আমরা বিস্তারিত জানব

সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

এই সূরা কাফিরুন এবং আয়তাল কুরসী আমল গুলো প্রতিনিয়ত ও আপনারা করতে পারেন এটা আমল করার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদেরকে বিভিন্ন প্রকার বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করে থাকেন

সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সুরা কাফিরুন পবিত্র কুরআনুল কারীমের সবথেকে ফজিলত পূর্ণ সূরা যে সুরা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের বিভিন্ন প্রকার বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার লক্ষ্যে করার জন্য বলেছেন ভাগ্য করা যায়।

আরো পড়ুনঃ      আয়াতুল কুরসী বাংলা আরবি উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত

                     জুম্মার নামাজ কয় রাকাত

সূরা কাফিরুন আরবি-

قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلْكَٰفِرُونَ
لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ
وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ

সূরা কাফিরুন বাংলা-

১) কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
২) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
৩) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
৪) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম,
৫) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
৬) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

 

সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সূরা আল কাফিরুন অর্থ

অর্থ:- বলুন, হে কাফেরকূল,

অর্থ:- আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।

অর্থ:- এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি

অর্থ:- এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।

অর্থ:- তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।

অর্থ:- তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

 

 

সূরা কাফিরুন এর গুরুত্ব

মাক্কি। আয়াত ছয়

এই সূরা নাযিল হয়েছে যখন মুশরিকরা হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আহ্বান করে বলল : আস ! ‘ কিছু নাও এবং দাও ’ এই মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা পরস্পরে আপোষরফা করে ফেলি। এক বছর তুমি আমাদের ইলাহদের ইবাদত করবে, আরেক বছর আমরা তোমার ইলাহের ইবাদত করবো।

এই সূরা ঈমান ও কুফরের মাঝে, একত্ববাদী ও

বহু-ঈশ্বরবাদিদের মাঝে সীমারেখা টেনে দিয়েছে। বলে দিয়েছে তাওহীদ ও শিরক পরস্পর সাংঘর্ষিক মতাদর্শ। উভয়ের মধ্যে আপোষের কোন সুযোগই নেই।

সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

 

সূরা কাফিরুন হল এমন একটা ঘটনার প্রেক্ষাপটে নাজিল হয় যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম যখন মক্কা কুরাইশদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন, তখন তারা বিভিন্ন প্রকার বাধা দিতেন এ বাধাগুলোকে অতিক্রম করে হযরত সাল্লাহু সাল্লাম যখন পরিপূর্ণভাবে দাওয়াত দিতে শুরু করলেন, তখন তারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শান্তিচুক্তির আহ্বান জানান , যাহা ছিল অনৈতিক,

সূরা কাফিরুন এর ফজিলত

তখন মক্কার কুরাইশ গন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রস্তাব দেয় যে সকলে মিলে এক বছর মূর্তি পূজা করবে এবং সকলে মিলে আর এক বছর ইবাদত করবে, এই প্রস্তাব শুনে ।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন একটি বাণী পাঠিয়ে দেয় আর সেই বাণী হল সূরা কাফিরুন,

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন সূরা কাফিরুন নাযিল করেন এর অর্থ হলো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এই প্রস্তাব থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেন।

অন্য আরেক বর্ণনায় আছে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন তারা প্রথম শান্তিচুক্তিতে হযরত সাল্লাহু সাল্লাম এর কাছে প্রস্তাব দিলে, তখন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তারা বলে হে মোহাম্মদ আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তুমি যদি চাও তোমাকে সকল ধন-সম্পদ দিয়ে দেওয়া হবে এবং তুমি যদি আরো চাও আমাদের এই মক্কা নগরীতে সবথেকে সুন্দর নারী কে তোমার কাছে বিবাহ দেওয়া হবে তখন এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

সূরা কাফিরুন এর শানে নুযুল

সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা কাফিরুন বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সূরা কাফিরুন এর শানে নুযুল থেকে একটা জিনিস খুব স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের আত্মবিশ্বাসী লোকরাই জান্নাতে যাবে অন্যথায় তারা কখনো জান্নাতে যেতে পারবেনা, যাদের ব্যাপারে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা বলেছেন তাদের মধ্য থেকে যারা কাফের হয়ে মরবে সে কথা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন খুব ভালোভাবে জানেন যারা শিরিক করবে তাদের কথা ও মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন খুব ভালোভাবে জানেন এই সূরা নাযিল হওয়ার পরে কিছু মানুষ মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন,

এছাড়া আমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেয় যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের একত্ববাদের অন্য কাউকে শামিল করা সবথেকে বড় গুনাহ এবং শিরক, এমন কিছু কাজের সঙ্গে আপোস করা যাবে না যে কাজ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের একত্ববাদের পরিপন্থী কোনো কাজ করা হয়,

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কে যখন কাফেররা শান্তিচুক্তির জন্য বলেন তখন তারা এই প্রস্তাবকে সবথেকে সুন্দর প্রস্তাব হিসাবে নিয়ে আসেন কিন্তু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পরিত্যাগ করেন কারণ এখানে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনের সাথে কথা উঠেছে, তখন এই প্রস্তাবকে সম্পূর্ণভাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নাকচ করে দেয়

অর্থাৎ এর গুরুত্ব আমরা এটাই বুঝতে পারি যে ভালোবাসলে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কি ভালবাসতে হবে অন্য কাউকে ভালোবাসা যাবেনা আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং কার্যক্রম বজায় রাখতে হবে।

 

উপরের আলোচনা হতে আমরা এটি স্পষ্ট হতে পারলাম যে আমাদের মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এর সাথে কোন কিছুর একাত্মতা পোষণ করা যাবে না, এটি যারা করবে তাদের সাথে কোনো আপস হবে না এমনটাই সূরা কাফিরুন এ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ইঙ্গিত দিয়েছেন।