সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের জন্য দুইটা জিনিস রেখে দিয়েছেন কোরআন এবং হাদিস আর এই কোরআন থেকে আজকে আমরা সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব

সূরা নাস মুসলিম জাতির ধর্ম গ্রন্থ কুরআনুল কারীমের ১১৪ তম সূরা এবং সর্বশেষ সূরা

এর আয়াত এবং বাহু সংখ্যা 6 রুকু অনুচ্ছেদ সংখ্যা 1, সূরা আন নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছিল, যদিও কোন কোন বর্ণনায় মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ আছে,

সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত 3
সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

আরো পড়ুন   দোয়া ইউনুস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনাকে অবতীর্ণ করেছেন শয়তানের হাত থেকে তাঁর বান্দাদেরকে রক্ষা করার জন্য, সকল প্রকার শয়তানি কর্মকাণ্ড থেকে মানসিকভাবে হেফাজত করার উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর নবীকে এই উপহার দিয়েছেন।

আমাদের জীবনে বেশি বেশি করে আমল করার জন্য বিভিন্ন দোয়া কালাম পড়তে হবে এ জন্য দোয়া ইউনুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ

সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সূরা নাস কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে

সূরা নাস গুরুত্বপূর্ণ সূরা এবং ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআনুল কারীমের শেষ সুরা। এই সূরাটি নাযিল হওয়ার ক্ষেত্রে দুই ধরনের মতভেদ রয়েছে

এ বিষয়ে ওরা আমাদের মতে বিভিন্ন প্রকার মতভেদ রয়েছে কোন কোন উলামায়ে কিরাম বলেছে এটি মদিনাতে অবতীর্ণ হয়েছে আবার কোন কোন উলামায়ে কেরাম রা বলেছে এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে তবে বিশেষ করে বলা হয়েছে মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ
مَلِكِ ٱلنَّاسِ
إِلَـٰهِ ٱلنَّاسِ
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ

সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ

কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিন্না-স্। মালিকিন্না-স্। ইলা-হি ন্না-স্ মিন্ শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি। আল্লাযী ইউওয়াস্ওয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্। মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্।

সূরা নাস বাংলা অর্থ

বলুন আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার

মানুষের অধিপতির

মানুষের মাবুদের

তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে,

যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে

জিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে

নাস’ শব্দের অর্থ

সুরা নাস-এর বিশেষত্ব‘আন-নাস’ শব্দের অর্থ মানব জাতি। সুরার প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহ তায়ালার মাহাত্ন্য বর্ণিত আছে। আর পরের তিন আয়াতে জ্বিন ও মানুষরূপী শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় গ্রহণের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সুরার আমলে হাদিসের দিকনির্দেশনাগুলো হলো-

সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

সুরার আমলে হাদিসের দিকনির্দেশনাগুলো

> একবার এক ইয়াহুদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর জাদু করেছিল। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরিল আলাইহিস সালাম তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জানালেন যে, এক ইয়াহুদি তাকে জাদু করেছে এবং যে জিনিস দিয়ে জাদু করা হয়েছে তা একটি কুপের মধ্যে পাথরের নিচে আছে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই জিনিসগুলো কূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠালেন। সেই কূপের মধ্যে পাথরের নিচে কয়েকটি গিরা পাওয়া গিয়েছিল।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা নাস ও ফালাক একসঙ্গে পড়ে (ওই গিরায়) ফুক দেন এবং গিরাগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায়। আর তাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে ওঠেন।

> একবার এক ইয়াহুদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর জাদু করেছিল। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরিল আলাইহিস সালাম তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জানালেন যে, এক ইয়াহুদি তাকে জাদু করেছে এবং যে জিনিস দিয়ে জাদু করা হয়েছে তা একটি কুপের মধ্যে পাথরের নিচে আছে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই জিনিসগুলো কূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠালেন। সেই কূপের মধ্যে পাথরের নিচে কয়েকটি গিরা পাওয়া গিয়েছিল।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা নাস ও ফালাক একসঙ্গে পড়ে (ওই গিরায়) ফুক দেন এবং গিরাগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায়। আর তাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে ওঠেন।

> সুরা নাস পড়লে শয়তানের অনিষ্ট ও যাদু থেকে হেফাজতে থাকা যায়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সুরা ইখলাস ও এই দুই সুরা ( সুরা ফালাক ও সুরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (তিরমিজি)

সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সুরা নাস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।’ (বুখারি)

> ফজর আর মাগরিবে এই দুই ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস প্রতিটি তিনবার করে পড়া সুন্নত। অন্যান্য ফরজ সালাতের আদায় করে একবার করে এই তিন সুরা পড়ার কথা বলা হয়েছে।’ (আবু দাউদ)

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা সূরা নাস এর বর্ণনা ফজিলত এবং এর নাযিলের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার পবিত্র কোরআনুল কারিমের একেবারে শেষের সূরাটি তিলাওয়াত করা এবং এর ফজিলত সম্পর্কে জানার তৌফিক দান করেছেন আমিন

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকতে সুরা নাস-এর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমলগুরো বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।