স্বপ্নদোষ কি ক্ষতিকর,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

স্বপ্নদোষ কি ক্ষতিকর , অত্যাধিক বীর্যপাত ও স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে, একজন পুরুষের শরীরে অনেক কিছু হতে পারে যেমন রাতে ঘুম না আসা, ঝিমোনো, দুর্বলতা, স্মৃতিভ্রংশ, দেখতে না পাওয়া, হাঁটুর ব্যথা, দুর্বল যৌন ক্ষমতা, বন্ধাত্য, লিঙ্গ শিথিলতা এবং শারীরিক ধকল। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  কিছু বিরল ক্ষেত্রে, বীর্যের সাথে মূত্রত্যাগও হতে পারে।

স্বপ্নদোষ কি ক্ষতিকর



স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়। আর গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যায়। -(বুখারী ২৭৯) সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে।



এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়। আর গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যায়। -(বুখারী ২৭৯) সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে।


আলেমরা বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (বাদায়ে ১/১৫১)

  বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  নওফেল বিন মুআবিয়া রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২) সুতরাং ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে।


তরুণ বয়সে অনেকেরই স্বপ্নদোষ হতে পারে, যা এই বয়সে স্বাভাবিক। এটি কোনো অসুখের মধ্যে পড়ে না। আর কোনো ওষুধের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণও করা যায় না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে। সর্বোপরি ওই ধরনের চিন্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত সুষম খাবার খান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন মনোরোগবিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।


(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)