স্বপ্ন দোষ কেন হয় , প্নের সঙ্গে দোষ শব্দটি যুক্ত থাকলেও মূলত এটি দোষ নয় বরং স্বাভাবিক ঘটনা।বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ইসলামিক টিপস তাই এতে গুনাহ নেই। আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তিন ধরণের লোকের ওপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে—(১) নিদ্রিত ব্যক্তি,বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়। (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। (আবু দাউদ: ৪৩৯৮, ইবনে মাজাহ: ২০৪১)
স্বপ্ন দোষ কেন হয়
বয়ঃসন্ধি থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত সময়ে বীর্য তৈরী ও ধংস হতে থাকে, কিন্তু কিছু আলুতে জমা হতে থাকে। একসময় এটি পরিপূর্ণ হয়ে যায় । তখন মস্তিষ্ক সেক্স পদ্ধতি স্বপ্ন দেখিয়ে হাতেখড়ি দেয়, ওভার ফ্লো হয়।(চিন্তা,রাগমোচন ও সিক্ততার জন্য ।এটি হচ্ছে স্বপ্নদোষ।
সাধারণত ছেলেদের নামাজ ফরজ হয় প্রথম স্বপ্নদোষ হওয়ার পর থেকে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,যদি ১৫ বছর পুরো হওয়ার পরও উক্ত আলামত দেখা না যায় তবে চান্দ্রবছর হিসেবে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার দিন থেকে ছেলে-মেয়ে উভয়ে বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক বলে গণ্য হবে।বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ইসলামিক টিপস (আলবাহরুর রায়েক: ৮/৮৪-৮৫; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ২/৪৫৪, ১৬/২৮০; আদ্দুররুল মুখতার: ২/৭৬, ৬/১৫৩; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১২১)
অন্ডকোষ কর্মক্ষম থাকলে প্রতি সেকেন্ডে ১১ হাজার শুক্রানু তৈরী হয়। সাথে বিভিন্ন গ্রন্থীর নিঃসরণ মিলে সৃষ্টি হয় বীর্য। বীর্যে থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, সাধারণ অবস্থায় দরকারি উপাদান গুলো শরীর শোষণ করে নেয়।
অবশিষ্ট অংশ “Phagocytosis” প্রক্রিয়ায় নিঃশেষ হয়ে যায়। এরপরও যা বাকি থাকে তা স্বপ্ন দেখে বা স্বপ্ন দেখা ছাড়াই বের হয়ে আসে। কারো যদি বীর্যের উপাদান গুলো শরীরে শোষিত হওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ “Phagocytosis” প্রক্রিয়ায় ব্যালেন্স হয়ে যায়, তাহলে তার আর স্বপ্নদোষ হবে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন