হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পুরো নাম

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পুরো নাম , এগুলো অনেক নবী-রাসূল ও সাহাবীদের নামের পরে লাগানো হয়। রাঃ/রা. = রাযিআল্লাহু আনহু। অর্থ: আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন। সঃ/ সা. = সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থ: আল্লাহর তার প্রতি রহমত (দয়া) ও শান্তি বর্ষণ করুন।


রহঃ/রাহ. = রাহিমাহুল্লাহ/রহমাতুল্লাহি আলাইহি। অর্থ: আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন অথবা তার উপর রহমত (দয়া) বর্ষিত হোক।


বাংলা ভাষায় উপরোক্ত শব্দ সংক্ষেপগুলো ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আরবীতে পূরো বাক্যই লেখা হয়। এগুলো দ্বারা উদ্দেশ্য হল, দুআ করা।

পবিত্র কুরআন অনুযায়ী ‘মুহাম্মদ’ — যার অর্থ ‘প্রশংসিত’।


আরবের প্রচলন অনুযায়ী ‘আবুল কাশিম মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব আল কুরাইশ’। এখানে ‘আবুল কাশিম’ তাঁর কুনিয়াত বা উপনাম।


রাসুলুল্লাহ(সা)-এর মা তাঁর নাম রেখেছিলেন ‘আহমদ’– যার অর্থ ‘প্রশংসাকারী’।


মুহাম্মদ নামের অর্থ “প্রশংসনীয়” এবং কুরআনে এই শব্দটি চারবার এসেছে। কুরআনের ৪৭ নম্বর সূরার নাম “মুহাম্মদ”। আবু আল-কাসিম মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম নামটি শুরু হয় কুনিয়া] আবু দিয়ে, আবু অর্থ পিতা।



তাঁর পুরো নামই হযরত মুহাম্মদ(স)৷ তাঁর নাম “মুহাম্মদ” রেখেছিলেন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব৷ মুহাম্মদ শব্দেরঅর্থ প্রশংসিত৷ এবং তাঁর মাতা আমিনা তাঁর নামকরণ করেছিলেন “আহমদ”৷ যার অর্থ প্রশংসাকারি৷





জীবনী রচনার সূচনাপূর্ব: মহানবী (সা.)–কে জানার প্রথম উৎস হলো কোরআন। যেমন তাঁর সম্পর্কে তাঁর জীবনসঙ্গী আয়েশা (রা.)–এর কাছে জানতে চাওয়ার পর তিনি বলেছেন, কোরআনই তাঁর চরিত্র। (ইমাম বুখারি, আল আদাব আল মুফরাদ, হাদিস: ৩০৮)। কোরআনজুড়ে প্রসঙ্গক্রমে নবীজীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির ছায়া পড়েছে। মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন, যুদ্ধের নানান অনুষঙ্গ, অথবা নবীর স্ত্রীর নির্দোষিতা ইত্যাদি আলোচিত হয়েছে তখনকার ঘটনার আলোকে।

 

কোরআনের প্রাচীন তাফসির ও কোরআন নাজিলের প্রেক্ষাপট–সংক্রান্ত বিভিন্ন হাদিস এবং হাদিসের বিচ্ছিন্ন সংকলনগুলোতে তাঁর জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনা বিধৃত হয়েছে। সেকালে রচিত ইতিহাসের আধার ও উপাদানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নবীজীবনের খণ্ড খণ্ড চিত্র। কিন্তু তাঁকে নিয়ে ধারাবাহিক জীবনী রচনার উন্মেষ ঘটেছে তাঁর ইন্তেকালের অন্তত ৫০ বছর পরে।

 

কেননা নবীজি তখন নিজেই তাঁদের সামনে ছিলেন। এমনকি দূরে বা কাছের যাঁরা তখনো দেখেননি তাঁকে, তাঁদেরও সবার যেন একবার অন্তত দেখার সুযোগ হয়ে যায়, তাই তিনি বহু আগেই বিদায় হজের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর তিরোধানের পর পরবর্তী প্রজন্মও সাহাবিদের এমন একটি বিরাট দলের সান্নিধ্য পেয়েছেন, যাঁদের প্রাত্যহিক জীবনের সব ইবাদত ও কাজকর্ম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আদর্শ মেনে বাস্তবায়িত হতো। তারপর সময়ের দূরত্ব যত বাড়তে থাকে, নবীজি সম্পর্কে জানার কৌতূহল বৃদ্ধি পেতে থাকে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)