হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি , যখন থেকে লিংগ উত্তেজিত হয় তখন থেকেই কারো কোন প্ররোচনা ছাড়াই অনেক ছেলেরা হস্ত মৈথুন করে থাকে। (হস্ত মৈথুন হচ্ছে হাতদিয়ে বা অন্যকোন ভাবে লিংগকে উত্তেজিত করে বীর্যপাত করা) অনেকে আছে দিনে একাধিকবার এই কুকর্মটি করে থাকে।

 

কিন্তু এ ঘটনা আর এক সময় দুর্ঘটনায় পরিনত হয়, করো বেলায় খুব স্বাস্থ্যহানী হয়। আর সবার বেলায় যেটা হয়, দীর্ঘদিন হস্ত মৈথুনের ফলে বিবাহের পর স্ত্রীর কাছে লজ্জিত হতে হয়। আসুন জেনে নেই হস্তমৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি আছে সেই সম্পর্কে।


হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি



উপকারিতাঃ
১৯৫০-এর দশকের এক গবেষণায় বলা যায়, মার্কিন নাগরিকদের মাঝে ৯২% পুরুষ ও ৬২% নারী তাঁদের জীবনকালে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন।

২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করার একটি জরিপেও কাছাকাছি ফলাফল পাওয়া যায়। জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ও ৭১% নারী তাঁদের জীবনের যে-কোনো সময়ে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন। সাক্ষাৎকারের চার সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন এমন পুরুষের হার ৭১% ও নারী ৩৭%।



অপর দিকে ৫৩% পুরুষ ও ১৮% নারী জানিয়েছেন যে, তাঁরা এই সাক্ষাৎকারের ১ সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন। ২০০৯ সালে নেদারল্যান্ডও অন্যান্য ইউরোপীয়দেশের সাথে যুক্তরাজ্যেও। হস্তমৈতুনকে বৈজ্ঞানিকভাবে একরকম স্বীকৃতিই দেয়া হয়েছে।



বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অল্প ক্ষেত্রে ইহাশারিরিক বা মানসিক কোন ক্ষতিসাধন করে না। তবে মনে রাখতে হবে Excess is everything bad.


হস্তমৈতুন সাধারনত তাৎক্ষনিকভাবে উত্তেজনা প্রশমন করে। অনেক সময় নেগেটিভ কল্পনা বা অশ্লিল ছবি এবং ভিডিও দর্শনের ফলে যৌন উত্তজনা সৃষ্টি হয়। এধরনের উত্তেজনা সামাজিক অপরাধে উৎসাহিত করে। তাই পরিত্রানের উপায় হিসেবে তখনি হৈস্তমৈতুন করা যেতে পারে।



বিশেষভাবে স্বপ্নদোষ পুর্নাঙ্গ রুপ নেয়ার আগে যদি ঘুম ভেঙে যায় এবং উদ্ভট কল্পনার ফলে যদি অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দেখা দেয় তবে তাৎক্ষনিক হস্তমৈতুন করাই শ্রেয়। নয়তো সাময়িক তলপেটে ব্যাথা সহ শারিরিক বা মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।



ইসলামের দৃষ্টি থেকে হস্ত মৈথুন কী? ও কী হয় তার ক্ষতি ও বৈজ্ঞানিক কুফল। ইসলামে এ কাজ খুবই অপছন্দনীয়।ও শরীয়ত কর্তৃক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জঘন্য নাজায়েজ ও হারাম। আর এ কাজ মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের অনেক দূরে রাখে।

হস্তমৈথুনের ধ্বংসাত্মক ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে

আল্লাহ পাক সূরা বাকারার ১৯৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন:



ﻭﻻ ﺗﻠﻘﻮﺍ ﺑﺄﻳﺪﻳﻜﻢ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺘﻬﻠﻜﺔ



“তোমরা নিজ হাতদ্বয় দিয়ে নিজেদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিও না।” এই আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে নিজ হাত দ্বারা নিজের ধ্বংশ যে সমস্ত কাজ রয়েছে হস্ত মৈথুন অন্যতম কারণ তা একদম নিজ হাতেই করা হয়। অর্থাৎ তোমরা নিজ হাত দিয়ে নিজে বীর্যপাত করিওনা এবং নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনিওনা।


হাদিস শরীফে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি হস্ত মৈথুন করবে সে অভিশপ্ত।( ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৬)


আলা হযরত আলাইহি রহমা, হস্ত মৈথুন সম্পর্কে লিখেছেন, এই কাজ অপবিত্র, হারামও নাজায়েজ। ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৭)


আমার প্রিয় যুবক ভাইয়েরা হাদীস শরীফে হস্ত মৈথুন কারীকে মালউন অভিশপ্ত বলা হয়েছে এবং তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের বেদনা দায়ক শাস্তি ।

এ কাজ করলে পরকাল যেমন নষ্ট হয়ে যায় এবং ইহকালেও তার জন্য প্রচুর ক্ষতির কারণ



হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন কি? ব্যাপারটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। উঠতি বয়সের ছেলেদের মাঝে এর প্রবনতা বেশি দেখা গেলেও পুরুষদের মত নারীদের কিংবা মাহিলদের এমনকি কম বয়সী মেয়েদের মাঝেও হস্ত মৈথুন প্রবনতা থাকে।


হস্ত মৈথুন প্রসঙ্গে নানান রকমের কু-সংস্কার ও ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন হস্তমৈথুন এর কোনো অপকারিতা বা ক্ষতি কিংবা কুফল নেই। আবার কেউ কেউ মনে করেন হস্ত মৈথুন এর উপকারিতা।


তবে মূল বিষয়টি হচ্ছে, হস্তমৈথুন তখনই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো যখন তা করে হবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়। তাহলে দৈনিক কতবার হস্তমৈথুন করা যেতে পারে? চিকিৎসা বিজ্ঞানে হস্ত মৈথুন করার নিয়ম বা হস্ত মৈথুন এর বিধান কি? এতে কি পুরুষত্ব নিয়ে বা স্ত্রীর সাথে যৌন জীবনে কোন সমস্যা হয়?


এছাড়াও সকলের একটি প্রশ্ন সব সময় অজানা থাকে। তা হলো হস্তমৈথন এর উপকারিতা কি এবং অপকারিতা কি? আজকে আমরা এসেছি সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে। চলুন জেনে নেই হস্তমৈথন এর অপকারিতা সম্পর্কে:

 


হস্ত মৈথুনের অপকারিতা

শরীর চড়া অবস্থায় হস্তমৈথুন করলে, প্রসাবে জালাপোড়া বেড়ে যায় খুব বেশিমাত্রায়। তাই হস্তমৈথুন নিয়ন্ত্রিত ও সতর্কতার সাথে করা উচিত।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে মস্তিষ্কে বীর্য তৈরির হরমোনের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে মাথাব্যাথা সহ মস্তিষ্কের নানা সাময়িক ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
ঘন ঘন হস্তমৈথুনে বীর্য পাতলা হয়ে যায় খুব স্বাভাবিকভাবেই। যদি ক্রমাগত ব্যাপারটা চালিয়ে যেতে থাকেন, স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে থাকবে।

 


তাছাড়া অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যৌনাঙ্গে ব্যাথা ও আংশিক বিকৃতি ঘটতে পারে।
হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত অনেক পুরুষই পরবর্তী যৌন জীবনে সুখী হতে পারেন না। কারণ এই হস্তমৈথুন তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় আর এটাতেই তাঁরা স্বস্তি বোধ করেন।
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা
এটি শরীরে রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে এবং এন্ডোর্ফিন নিঃসরণ করে যা মস্তিষ্কের একটি তৃপ্তি বৃদ্ধিকারীরাসায়নিক।


এটি আবেগজনীত পীড়ন, বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এটি আপনাকে ভালো মতো ঘুমোতে সাহায্য করে ও আপনার অনিদ্রা প্রতিরোধ করে।
নিজের শরীরকে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করে যা পরবর্তীতে আপনার স্ত্রী বা সঙ্গীর সাথে মিলনে খুবই ইতিবাচক একটা প্রভাব ফেলে।


হস্ত মৈথুনের একটি গোপন ও সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত ব্যাপার। একজন ব্যক্তি যৌন আনন্দ অর্জনের জন্য এটি করে থাকে। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্করা সঙ্গীর অভাবের কারণে বা তাদের যৌন চাহিদা মেটাতে এটি করে। শুরুতে একবার করার সাথে সাথে আপনি হস্ত মৈথুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, আপনার বারবার গোপনে এই যৌন আনন্দ অনুভব করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু, আমাদের মনে বার বার প্রশ্ন আসে যে- হস্ত হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি এবং হস্ত মৈথুন করলে কোনো সমস্যা আসতে পারে কি ?



হস্ত মৈথুন আমাদের যে শুধু যৌন আনন্দ উপভোগ করায় তা কিন্তু না, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হস্ত মৈথুন খুব উপকারি। হস্ত মৈথুন একটি সুস্থ যৌন জীবনের অংশ।

আগেকার দিনে হস্ত মৈথুন কম দেখা যেত কিন্তু বর্তমানে ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি খোলামেলা হওয়ায় তাদের মধ্যে হস্ত মৈথুনের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আগেকার দিনে হস্ত মৈথুন কম হওয়ার কারণ হলো অতীতে এটি একটি পাপ হিসাবে ধরা হতো এবং এটিকে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হতো।


হস্তমৈথুনের উপকারীতা অনেক অনেক বেশি। যারা বুঝে শুনে যত্ন নিয়ে করেন তারাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন।



আর্থ সামাজিক প্রতিষ্ঠার নামে নারী পুরুষদের দীর্ঘদিন বিবাহ বিহীন থাকতে হয়। দিনের পর দিন বিবাহ বিহীন থাকলে আমাদের শারীরিক প্রয়োজনীয়তা কমে যায় না, বরং বয়সের সাথে একটা সময় মিলিয়ে যায়।

কিন্তু পরিবার, অথবা সমাজ বর্তমানে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে। অথচ, আপনি ২১ বছর বয়সে যেভাবে শারীরিক সুখ উপভোগ করবেন। ৩০/৩৫ বয়সে সেভাবে উপভোগ করবেন না। এই বয়সে যেটা করবেন সেটা ৬০/৬৫ এর পরে উপভোগ করবেন না।


সে কারণে হস্তমৈথুনের গুরুত্ব রয়েছে। শুকনো হাতে মুখের লালা দিয়ে, কিংবা সাবান মেখে নয়। ওয়াটার বেসড লুব ব্যবহার করে। যেটা পানি যোগ করলে আরো পিছলা হবে। ত্বকে কোন ছিলে যাওয়ার মত ক্ষতি হবে না। এমন কিছু ব্যবহার করতে হবে।

সময় নিয়ে ঘরে বসে করতে হবে। বীর্যপাতের সময় হলে থেমে গিয়ে ধৈর্য ধরে আবার পুনরায় শুরু করতে হবে।

বাথরুমে সাবান/শ্যম্পু ব্যবহার করে করা উচিত নয়। কারণ, সাবান ক্ষার জাতীয় ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।


এক কথায় থাকিতে হস্ত হব না পরের দারস্থ।

নিজের সুখের সন্ধান নিজের হাতে থাকলে পরের কাছে যেতে হয় না।

হস্তমৈথুনের অপকারীতাও অনেক। কোন কিছুই বেশি, অতিমাত্রায় ভালো না। ভালো কিছু যদি আপনি অতিরিক্ত খান সেটা বিষ হয়ে যাবে। বিষয়টা এমন।

শারীরিক দূর্বলতা, লিংগ শিথিলতা, আগা গোড়া মোটা চিকন, দ্রুত বীর্যপাত ইত্যাদি সমস্যা এসে সামনে দাড়াতে পারে।


এর প্রধাণ কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা। অজ্ঞতার কারণে বীর্যপাতের পর দূর্বলতা অনুভব করে। আসলে পুস্টিহীন একটা মানুষকে ১০০ বার বুকডন দিয়ে দাড়াতে বললে সে মাথা ঘুরে পরে যাবে। ব্যাপারটা তেমনই। একবার বীর্যপাতের পর আরেক সংগমের জন্যে প্রস্তুত হতে সময় লাগে। এটাও সুস্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।


এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। সত্যিটা হস্তমৈথুন মহৎ কিছু নয়, এটা নিছক সময়ের অপচয়। বান্ধবী অথবা স্ত্রী যেই থাকুক, প্রতারণা নয় যৌন মিলন করেন। মন চাইলে বিয়ে করেন, না মন চাইলে নাইবা করেন। তবু সত্যিটা জানিয়ে যৌন মিলন করেন।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)