হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত । হস্তমৈথুন বিষয়টি নিঃসন্দেহেই স্পর্শকাতর! শরীরের খুবই সংবেদনশীল অঙ্গের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পাদন হয় বলে নয়, একই সঙ্গে মানসিক দিক থেকেও হস্তমৈথুন নানা ভাবে আমাদের প্রভাবিত করে থাকে। কখনও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে, কখনও বা আবার ডেকে আনতে পারে অবাঞ্ছিত বিপদও!



হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায়



এখন আমরা জানবো হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায়। একজন উঠতি বয়সের তরল তরুণীরা হস্তমৈথুনের সাথে পুরোপুরি ভাবে জড়িত হয়ে যায় বুঝে না বুঝে। হলে এতে করে দিন দিন তাদের শরীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে।

কেননা নিয়ম ব্যতীত অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে একজন মানুষের দেহের রক্ত কমে যায়, ক্যালসিয়াম কমে যায়, পুষ্টি কমে যায় এবং সে দুর্বল হয়ে যায় দিন দিন।

 


হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত

 



তাই অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই হস্তমৈথুনের ক্ষতি-ঘাটে উঠার উপায় গুলো কি কি রয়েছে। প্রথমত আপনি যদি অতিরিক্ত হস্তমৈথনে লিপ্ত হয়ে যান তাহলে হস্তমৈথুনের পরে নিয়মিত মধু খান অথবা খাঁটি ছানার সন্দেশ খান। এতে করে আপনার হস্তমৈথুনের ফলে যে শক্তি শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে হবে তার সাথে সাথে উৎপন্ন হয়ে যাবে।



এছাড়া নিয়মিত খেজুর খান খেজুর শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত হন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিয়মিত প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যা খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে শরীর থেকে ভালো ভালো উপাদান গুলোই বেরিয়ে কমে যায় তাই অবশ্যই আপনাকে এ সময় আমিষ যুক্ত খাবার খেতে হবে নিয়মিত। রাতে শোবার সময় প্রতিদিন নিয়মিত সিদ্ধ ডিম এবং গরম দুধ খেতে হবে।

এছাড়াও প্রতিদিন রাতে শোবার সময় ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা এবং ভিজিয়ে রাখা পানি খেতে হবে। এতে করে আপনি হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এতে যদি হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই আপনার একজন ভালো ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের ক্ষতিকাঠে উঠা যায়। আশা করি হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায় গুলো এখন আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। হস্তমৈথুনের ক্ষতি অনেক।



হস্তমৈথুন বিষয়টি নিঃসন্দেহেই স্পর্শকাতর! শরীরের খুবই সংবেদনশীল অঙ্গের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পাদন হয় বলে নয়, একই সঙ্গে মানসিক দিক থেকেও হস্তমৈথুন নানা ভাবে আমাদের প্রভাবিত করে থাকে। কখনও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে, কখনও বা আবার ডেকে আনতে পারে অবাঞ্ছিত বিপদও!



হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত

 


অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন যে হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত বা প্রতি সপ্তাহে কতবার করে হস্তমৈথুন করা যায়। অনেক তরুণ তরুণী রাই হস্তমৈথুনের সাথে পুরোপুরি ভাবে জড়িয়ে যাওয়ার ফলে তারা অতিরিক্ত হারে হস্তমৈথুন করে ফেলে। কেউ কেউ তো আবার দিনে দুই তিনবারও হস্তমৈথুন করে থাকেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে সপ্তাহে পাঁচবারের বেশি হস্তমৈথুন করা কখনো ঠিক নয়।

 


এতে করে একজন মানুষ নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আপনি যদি ৫ দিনের বেশি হস্তমৈথুন করে থাকেন তাহলে আপনি দেখবেন যে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার চোখে ঝাপসা দেখছেন। কোন কিছু ঠিকমতো মনে রাখতে পারছেন না, অল্পতে রেগে যাচ্ছেন ইত্যাদি। আশা করি এখন আপনি হস্তমৈথুন সপ্তাহে ৫ দিনের বেশি করা উচিত নয় সেটি ভালোভাবে জানতে পেরে গেছে।আর তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন অবশ্যই।



হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। শুধু তাই নয়, অভ্যাসটি এক সময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয়- মানসিক সমস্যা ও শারীরিক সমস্যা: অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে: অকাল বীর্যপাত(Premature Ejaculation)। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।।

 




হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক হস্তমৈথুন জনিত সমস্যা সমাধান

 


এখন আমরা জানবো হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত সমস্যা সমাধান কিভাবে করা যায়। আপনি যদি নিয়মিত অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে থাকেন। তাহলে দেখবেন এতে করে আপনি বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ে যাবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কিছু মনে রাখতে না পারা এবং অল্প কারণেই মেজাজ গরম হয়ে যায় এবং যে কারো ভালো কথাতেও অসহ্য লাগা। তাই অবশ্যই আমাদের এই ধরনের অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন জনিত সমস্যা সমাধান সম্পর্কে আগে থেকে জেনে থাকা দরকার।

 




বিষয়টি ব্যক্তিভেদে আলাদা আলাা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি কী রকম সময় অন্তর হস্তমৈথুন করবেন, সেটা নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক সুস্থতা, যৌন উত্তেজনার ধরন এবং হস্তমৈথুন বিষয়টিকে তিনি কতটা ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করতে পেরেছেন সেই মানসিকতার উপরেও। তবে সামগ্রিক দিক থেকে হস্তমৈথুনকে কোনও ক্ষতিকর স্বভাব বলে আখ্যা দেন


তাহলে তুলুন এখন আমরা জেনে নেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত সমস্যা সমাধানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।


আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণ তরুণীরা বিভিন্ন ধরনের পুরনো*গ্রাফি ওয়েবসাইট দেখে অতিরিক্ত হস্তমৈথনে জড়িত হয়ে যায়। আর এই ধরনের অতিরিক্ত জনিত সমস্যা সমাধান হলো হস্তমৈথুন চিরতরে ছেড়ে দেওয়া যেটি মোটেও সহজ কাজ নাই। তাই হস্তমৈথুনের জড়িয়ে যাওয়ার তরুণ তরুণীদের ধীরে ধীরে এবং বস্তি ছেড়ে দিতে হবে। কত দিন পর পর হস্তমৈথুন করা উচিত সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন পর পর হস্তমৈথুন করা উচিত।

 


এবং যখনই হস্তমৈথুনের চিন্তা মনে জাগ্রত হবে তখনই মানুষজনদের সাথে মিশে যেতে হবে কিংবা যেকোনো ধরনের কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে হয়। এতে করে আপনি আর সময় পাবেন না এগুলো করার। আর এ ধরনের অভ্যাসে যদি আপনি অভ্যস্ত হয়ে যান তাহলে দ্রুত হতে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলুন। আর তা না হলে দিন দিন যদি হস্তমৈথুন করা আপনার অতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। তাহলে পরবর্তীতে আর বিয়ে করতে ইচ্ছে করবে না এবং আপনি বিয়ে করে স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃ*প্তিও দিতে পারবেন না।

 




বীর্য পাতলা হয়ে যায় (Temporary Oligospermia)- Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম। যার ফলে Male infertility দেখা দেয়। অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। একজন পুরুষ যখন স্ত্রীকে রমন করেন তখন তার পুরুষাঙ্গ থেকে যে বীর্য বের হয় সেই বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত।

 

বিজ্ঞান বলে, কোনও পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ কোনও সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। Nervous system, heart, digestive system, urinary system এবং আরও অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীরদুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়। চোখের ক্ষতি হয়।




অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত সমস্যার আরো একটি ভালো সমাধান তরুণ বয়সে কখনো একা একা থাকবেন না কিংবা একা ঘরে ঘুমাবেন না যে কারো সাথে ঘুমান এবং সঙ্গে একজন বয়জ্যোষ্ঠকে রাখুন। এতে করে আপনার মনোভাব কখনো হস্তমৈথুনের দিকে যাবে না। আশা করি এখন আপনি অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন জনিত সমস্যা সমাধান পেয়ে গেছেন সঠিকভাবে।

 



হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম

 



এখন আমরা হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিব। শুরু থেকে যদি আমি বলেই আসছি যে হস্তমৈথুন একটি ভয়ংকর জঘন্যতম কাজ এবং হস্তমৈথুন করা কিন্তু স্বার্থের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যার ফলে ইসলাম ধর্ম কখনো হস্তমৈথুন করে কে সমর্থন করে না।

 

এবং এটি একদম নিষিদ্ধ হারামির সন্তান। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের করার ফলে আপনার সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি হতে পারে তা হলো আপনার শরীর স্বাস্থ্য শুকিয়ে যাবে এবং গাল বসে যাবে বা ভেঙ্গে যাবে।

আপনি চোখে ঝাপসা দেখবেন ঠিক মত দেখতে পাবেন না এমনকি চোখ দিয়ে জোনাকি ছুটছে এমন মনে হবে। এছাড়াও আপনার স্মৃতি শক্তি দিন দিন কমে যেতে থাকবে।

 

এবং মেজাজ সবসময় অত্যাধিক গরম থাকবে যে কারো ভালো কথা আপনার খারাপ মনে হবে। আর এ সকল কার্যকলাপ ইসলাম ধর্মে কখনোই প্রাধান্য দেয় না। তাই এখানে স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম কখনো মেনে নেয় না এটি একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



তবে এই অভ্যাসের বশে যদি যৌনাঙ্গের ত্বক আহত হয়, যৌনাঙ্গে ব্যথা হয়, তাও নিজেকে দমন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে, একমাত্র তখনই চিন্তার কারণ রয়েছে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গণ্ডির মধ্যে রয়েছেন কি না, সেটাই এক্ষেত্রে বিবেচ্য।

 

আর হস্তমৈথুনের অভ্যাস যদি বাধ্যবাধ্যকতায় পরিণত হয়, অর্থাৎ যৌন উত্তেজনা না থাকলেও কেউ অভ্যাসের বশে বীর্যস্খলন করতে চান, সেক্ষেত্রেও বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলতে হবে।

 



হস্থমৈথুন ছেড়ে দিলে কি পুনরায় শক্তি ফিরে পাওয়া যায়

 



অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন কিংবা প্রশ্ন করে থাকেন যে হস্তমৈথুন ছেড়ে দিলে কি পুনরায় শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। এখন আমি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব তাহলে চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন। হস্তমৈথুন ছেড়ে দিলে পুনরায় শক্তি ফিরে পাওয়া যায় তবে আগের মতো শক্তি পাওয়া যায় না। একজন তরুণরা হয় দুর্বার এবং দুরন্ত। তবে এই তরুণ বয়সে কেউ যদি হস্তমৈথনে লিপ্ত হয়ে যায়।




তাহলে তার এই দুর্বার ও দুরন্ত শক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে যা ফিরিয়ে আনা কখনোই সম্ভব না। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে শরীরে যে ঘাটতি তৈরি হয় সেটি কিছুটা পূরণ করা যায় আমি যুক্ত খাবার খেয়ে কিংবা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিযুক্ত খাবার খেয়ে। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে একজন তরুণের শক্তি ফিরিয়ে আনা কখনো সম্ভব হয় না।

 


হস্তমৈথুন ছেড়ে দিলে পুনরায় শক্তি ফিরে পাওয়া যায় এ কথা যেমন ঠিক আছে তেমনি ঠিক আছে আগের মত শক্তি ফিরে পাওয়া যায় না। তাই বলে আপনি আবারো হস্তমৈথুন করতেই থাকবেন এটি একদম ঠিক নয় এতে করে আরো বেশি ক্ষতি সমর্থন হবেন। তাই অবশ্যই হস্তমৈথুনের মতো এ ধরনের বদ অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে আপনি আপনার শক্তি ফিরে পেতে চাইলে।

 



হস্তমৈথুনের একাধিক শারীরিক উপকারিতার দিক রয়েছে। নিয়মিত হস্তমৈথুন মন প্রফুল্ল রাখে, প্রস্টেট সুস্থ রাখে, ক্লান্তি কমায়, ভালো ঘুমের সহায়ক হয়, এমনকি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তোলে। বিশেষজ্ঞা বলছেন যে যাঁরা বয়ঃসন্ধি থেকে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিজেদের আনন্দ দেননি, এমন অনেক পুরুষই পরবর্তীকালে যৌন উত্তেজনা এবং সেই সূত্রে পুরুষাঙ্গের বৃদ্ধিসংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন। কাজেই এই সব দিক বিচার করলে হস্তমৈথুন রুটিনে রাখলে লাভ বই ক্ষতি নেই।

 



হস্ত মৈথুন করলে কি বাচ্চা হবে না

 


অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন কিংবা বলে প্রশ্ন করে থাকেন যে হস্ত মৈথুন করলে কি বাচ্চা হবে না। তাহলে চলুন এখন আমরা এই বিষয়ে সরাসরি বিস্তারিত সঠিক তথ্য জেনে নেই। আপনি হয়তো জানেন যে একজন পুরুষের শরীরে অসংখ্য শুক্রাণু থাকে যা একজন নারীর ডিম্বাণুতে গিয়ে মিলিত হয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়। তাই এখানে বলা যায় একজন পুরুষ যখন নিয়মিত অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে এর ফলে তার শুক্রাণু দিন দিন কমে যেতে থাকে অনেকের বী**র্য পাতলা হয়ে যায়।



ফলে এই ধরনের দুর্বল শুক্রানো গিয়ে কোন নারীর ডিম্বাণুতে মিলিত হয়ে বাচ্চা জন্ম দিতে পারেনা। আর এটি শুধু অতিরিক্ত হস্তমৈথুন কারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে থাকে। আমরা উপর থেকে জেনে গেছি যে সপ্তাহে পাঁচবারের বেশি হস্তমৈথুন করলে সেটাকে অতিরিক্ত ধরা হয়। আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার হস্তমৈথুন করে থাকেন তাহলে আপনার শুক্রাণু ঠিক থাকবে এবং এতে তেমন কোন বড় ধরনের সমস্যা হবে না। আশা করি হস্ত মৈথুন করলে কি বাচ্চা হবে না নাকি হবে এ বিষয়টি এখন ভাল মত বুঝতে পেরেছেন আপনি।

 



স্মরণ শক্তি কমে যায়। মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen। অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া। শারীরিক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা। যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে।

 

দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন। হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন হস্তমৈথুন ছাড়ার টিপস : কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাৎ কোনও সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন ডন বৈঠক বা অন্য কোনও ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন।

 




হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

 



এখন আমরা জানবো হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা কি কি রয়েছে। আপনি হয়তো জানেন যে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন কারী দিন দিন ধীরে ধীরে তার যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলে। মানে এই কাজটি থেকে আমাদের সকলকে বিরত থাকা উচিত এবং কেউ যদি এই কাজে ভুলবশত জড়িয়ে যায় তবে পূর্ব থেকে চিকিৎসা করা উচিত। সর্ব প্রথমে কখনো যদি আপনার হস্তমৈথুন করার মনোভাব জাগ্রত হয় তাহলে অবশ্যই মনে মনে ভাবুন উপরের সৃষ্টি কর্তা আপনাকে দেখছেন।





দ্বিতীয়তঃ যখন আপনি অতিরিক্ত হস্তমৈথনে জড়িয়ে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে বিয়ে করে নিতে হবে। আপনি যদি সঠিক বয়সে বিয়ে করে নেন তাহলে আপনি এই ধরনের জঘন্যতম হস্তমৈথনের কাছ থেকে বেঁচে যাবেন। একমাত্র বিয়েই পারে মানুষকে হস্তমৈথুন থেকে বিরত রাখতে। এছাড়া মুসলিম ধর্মের রোজা রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা হস্তমৈথুনের মতো জঘন্য কাজ থেকে বিরত রাখে মানুষকে। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের এডাল্ট ছবি দেখা বন্ধ করে দিন।

 


কিংবা বেগানা নারী পুরুষের দিকে তাকানো বন্ধ করে দিন। এতে করে আপনার ব্রেনে কোন ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি হবে না। যার ফলে আপনার হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছা হবে না। আপনি যদি অশ্লীল ছবি দেখেন কিংবা অশ্লীল কোন মেয়েদেরকে দেখেন তাহলে আপনার ব্রেনে উত্তেজনা বাড়তে থাকবে ফলে আপনার হস্তমৈথুনের মত কাজ করতে ইচ্ছা হবে। তাই এ সকল কার্যক্রম থেকে অবশ্যই আপনাকে বিরত থাকতে হবে। আশা করি চিকিৎসা গুলো বুঝতে পেরেছেন।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)