হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা , ইসলামের দৃষ্টি থেকে হস্ত মৈথুন কী? ও কী হয় তার ক্ষতি ও বৈজ্ঞানিক কুফল। ইসলামে এ কাজ খুবই অপছন্দনীয়।ও শরীয়ত কর্তৃক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং জঘন্য নাজায়েজ ও হারাম। আর এ কাজ মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের অনেক দূরে রাখে।

হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা




হস্তমৈথুনের ফলে শুধূ যৌন শক্তিই কমে যায় না। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে সেক্স হরমোন কমে যায় এবং নিম্ন বর্ণিত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়ঃ



অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিকঃ


শারীরিক দুর্বলতা।

হাত পায়ে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হওয়ায় যন্ত্রণা অণুভব করা।

হরমোন এর ঘাটতি হওয়ায় লিঙ্গ আকারে ছোট হওয়া।

লিঙ্গের অগ্রভাগ তথা আগা মোটা এবং নিম্নভাগ তথা গোড়া চিকন হয়ে যাওয়া।

লিঙ্গের রগ ফুলে উঠা বা বাহিরে বের হয়ে আসা।

বীর্য তরল হয়ে যাওয়া ও সহবাসে দ্রুত বীযপাত ঘটা।

লিঙ্গে ডানে/বামে বেঁকে যাওয়া এবং লিঙ্গ ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া।

স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়া এবং মাথা ঝিমঝিম করা।

স্বাভাবিক ভারসাম্য ধীরে ধীরে কমে যাওয়া।


হস্তমৈথুনের ধ্বংসাত্মক ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে



আল্লাহ পাক সূরা বাকারার ১৯৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন:

ﻭﻻ ﺗﻠﻘﻮﺍ ﺑﺄﻳﺪﻳﻜﻢ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺘﻬﻠﻜﺔ

“তোমরা নিজ হাতদ্বয় দিয়ে নিজেদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিও না।” এই আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে নিজ হাত দ্বারা নিজের ধ্বংশ যে সমস্ত কাজ রয়েছে হস্ত মৈথুন অন্যতম কারণ তা একদম নিজ হাতেই করা হয়। অর্থাৎ তোমরা নিজ হাত দিয়ে নিজে বীর্যপাত করিওনা এবং নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনিওনা।

হাদিস শরীফে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি হস্ত মৈথুন করবে সে অভিশপ্ত।( ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৬)



আলা হযরত আলাইহি রহমা, হস্ত মৈথুন সম্পর্কে লিখেছেন, এই কাজ অপবিত্র, হারামও নাজায়েজ। ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৭)




হস্তমৈথুনের ক্ষতি যেভাবে পূরণ করবেনঃ-



প্রথমত হস্তমৈথুন ছেড়ে দিতে হবে। তাছাড়াও ক্ষতি পূরনের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে। তবে দ্রুত হস্তমৈথুনের ক্ষতি পুষিতে নিতে অতিরিক্ত কিছু ভেজস ঔষুধ খেতে হবে। তাছাড়া হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গের আকৃতি বিকৃতি ঘটে। যার কারণে লিঙ্গের কিছু ব্যায়াম প্রয়োজন।]


স্বভাবগত অভ্যাস দ্বারা তারা স্বাস্থ্যও ভেঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে যায় কারণ এ কাজ এক বার করার পর বার বার পুনরায় সে কাজ করতে ইচ্ছে হয়। কয়েক বার সে কাজ করলে পুরুষাঙ্গে ফুলি চলে আসে এবং সে ও পুরুষ অঙ্গের নরম ও সূক্ষ রগসমূহ বার বার হাতে ঘর্ষণের ফলে ডিলে হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। অবশেষে অবস্থা এ পর্যায়ে গিয়ে দাড়ায় যে

কোন নারীর প্রতি সামান্য কু-দৃষ্টিপাত করলে কিংবা কোন নারীকে জল্পনা কল্পনা করলে সাথে সাথে বীর্য বের হয়ে পড়ে। এমন কি কাপড়ের সাথে পুরুষাঙ্গ ঘর্ষণের ফলেও বীর্য বের হয়ে যায়। বীর্য সে রক্ত থেকে সৃষ্টি হয়, যা সমস্ত শরীরে খাদ্য পৌঁছানোর পর অবশিষ্ট থাকে। যখন প্রচুর পরিমাণে বীর্য নির্গিত হতে থাকে তখন রক্ত সমস্ত শরীরে কীভাবে খাদ্য পৌঁছাবে?

(সূত্র:ইন্টারনেট)