হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ কয়টি

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ কয়টি , সনাতন ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলো ২ ভাগে বিভক্ত-শ্রুতি ও স্মৃতি। শ্রুতি হল বেদ(৪টি), বেদাঙ্গ (৬ টি) , বেদান্ত/উপনিষদ (১২টি) । স্মৃতি ২ ভাগে বিভক্ত – সংহিতা ও পুরাণ। এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  সংহিতার মধ্যে আছে মনুসংহিতা,অত্রিসংহিতা,যাজ্ঞ্যবল্ক সংহিতা, শুক্র সংহিতা,ব্যাস সংহিতা ইত্যাদি।

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ কয়টি

আর পুরাণ হল রামায়ণ, মহাভারত, ১৮ টি প্রধাণ পুরাণসহ ২০০ টি উপপুরাণ।রামায়ন ও মহাভারত পুরাণ হলেও একে অনেকে ঐতিহাসিক গ্রন্থ বলেন এবং এদুটো পুরাণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রামাণিক।

ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  পুরাণের থেকে সংহিতা ও সংহিতা থেকে শ্রুতি শাস্ত্র বেশি প্রামাণিক।



হিন্দু ধর্মগ্রন্থ
বেদ
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা গীতা
পুরাণ
উপনিষদ

হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ যে বেদ সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যা বেদে উল্লিখিত নেই বা বেদ অনুমোদিত নয় তা হিন্দু ধর্মে গৃহীত হতে পারে না।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন

সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  যার জন্য চৈতন্যদেব সংকীর্তন আন্দলন বা বিদ্যাসাগর বিধবার পুনর্বিবাহের প্রচলনের সময় তা যে বেদ অনুমোদিত

 

তা প্রমাণের চেষ্টা করেন এবং তারপরে হিন্দু সমাজে গৃহীত হয়।হিন্দু সমাজের প্রতিটি নিয়ম বেদে উল্লিখিত আছে।আমরা অনেক সময় না জেনেই সেগুলি পালন করি।



যাঁরা সত্য বা জ্ঞান এবং সৃষ্টি ও স্রষ্টার মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে পারতেন, তাঁদের বলা হতো ঋষি। বেদ এই ঋষিদের ধ্যানে পাওয়া পবিত্র জ্ঞান । এ হচ্ছে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এবং জগৎ ও জীবনের উৎস পরমপুরুষ, ব্রহ্ম বা ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞান ।



আমাদের জীবন, জীবনের উৎস, পরমপুরুষ, ব্রহ্ম বা ঈশ্বর প্রভৃতি সম্পর্কে বেদ বা সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ প্রভৃতি গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে। এ গ্রন্থসমূহ ভিন্ন ধরনের হলেও ধর্মীয় নানা দিক থেকে পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত।


কিন্তু এই বিষয়ে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে! হিন্দু ধর্ম বলতে আমরা যা বুঝি তা বহু দার্শনিক এবং লৌকিক মত ও পথের এক সুন্দর সমন্বয় এবং বিশেষ করে সিন্ধু বা দ্রাবিড় সভ্যতা ও বৈদিক সভ্যতার মিলিত রূপ।

ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  এমনকি সিন্ধুর আগে মেহেরগড় সভ্যতা বা বলা যেতে পারে তার ও আগে মানব সৃষ্টির বা বলা ভালো মানুষের ধর্ম বোধ সৃষ্টির শুরু থেকে হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে।

আর যদি শাস্ত্রের কথা বলি তাহলে যুগে যুগে,কল্পে কল্পে মন্বন্তরে মন্বন্তরে সনাতন ধর্মের অস্তিত্ব ছিল এবং থাকবে এবং ঈশ্বর(ব্রহ্ম) এবং জগৎ দুই ই অবিনশ্বর এটাই হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস। তাহলে বর্তমান অবস্থার বেদ কে হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ বলা সম্পূর্ণ সত্য হবে কী?



হাভারতের অংশবিশেষ শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা সংক্ষেপে গীতা হিসেবে পৃথক গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে । গীতায় কর্মকে ‘যজ্ঞ’ বলা হয়েছে। এখানে রয়েছে কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির অপূর্ব সমন্বয় এবং বাস্তব জীবনে চলার প্রয়োজনীয় নৈতিক শিক্ষা ও উপদেশ ।



এ অধ্যায়ে বৈদিক সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয়, চতুর্বেদের বিষয়বস্তু ও ধর্মাচরণে তার প্রভাব এবং শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতায় বর্ণিত চতুর্বর্ণ, কর্তব্যপালন, সাম্য, চরিত্র গঠনে মানবিক গুণাবলি এবং ভক্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।



এই বিষয়ে আমার ধারণা হিন্দু ধর্মে শাস্ত্রের থেকে অনুভবের মূল্য অনেক বেশি। তাই গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন-“ত্রৈগূণ্য বিষয়া বেদা নিস্ত্রৈগূণ্যং ভবার্জুন।” অর্থাৎ বেদ তিন গূণ বিষয়ক,তুমি ত্রিগূণাতীত হও।

ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  সুতরাং হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ বেদ হলেও তার শিক্ষা হল ঋষিগণ এই পর্যন্ত পরম সত্যকে অনুভব করেছেন।তুমি পারলে সাধনার দ্বারা তাকে ছাড়িয়ে আরো উপরের স্তরে যাও।চরৈবেতি।চরৈবেতি।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)