হিন্দু শব্দের অর্থ কি,খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যের সময়টি পরিচিত বৈদিক যুগ নামে। সেই যুগের পর অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হিন্দুত্বের জন্ম হয়। যে ধর্মের মানুষের মূল কথা, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে যা যা রয়েছে, সেসবের মূলেই ঈশ্বর। ধর্ম, অর্থ, কর্ম ও মুক্তিতেই বিশ্বাসী এই ধর্মাবলম্বীরা।
তাঁদের বিশ্বাস, ভগবানের অস্তিত্বেই সবকিছুর অস্তিত্ব। এদিকে ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্য জাতিরা ইউরোপের মধ্যে দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এবং তারাই ভারতে বেদ চর্চা শুরু করে। ধীরে ধীরে গোটা ভারতে তা ছড়িয়ে পড়ে।
হিন্দু শব্দের অর্থ কি
ইন্দু নদী(রির ইন্ডাস) ও ইন্দু সাগরের(বর্তমান ভারত মহাসাগর) মাঝে যারা থাকে তাদের ক আরব ব্যাবসায়ী রা হিন্দু বোল্ত. ব্রিটিশ রা সরকারী কাজের সুবিদর্থে শব্দওটি সরকারী দস্তাবেজ এ যোগ করে ১৮৩০ নাগাদ এবং সেটা সেভাবেই রয়ে গ্যাছে.
এবার প্রশ্ন হল, হিন্দু শব্দটি কোথা থেকে এল?
অনেকের মতে, আফগানদের থেকে এই শব্দটি শুনেছিল আর্যরা। কারণ সিন্ধু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু-সন্ন্যাসীদের হিন্দু বলে
উল্লেখ করা হত। আর সেখান থেকেই নামটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। এই সনাতন ধর্মের সন্ন্যাসীরাই বেদ, উপনিষদ, ভগবত গীতা শ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। সেই যুগে বেদের নিয়ম মেনেই সমাজের বিভিন্ন কাজ করা হয়। চিকিৎসা, সমাজ চালনা, গণনার মতো কাজগুলি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
যে সভ্যতা বৈদিক সভ্যতা হিসেবে পরিচিত। আর্য জাতির লোকেরা মূলত চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। কাজের ভিত্তিতেই সম্প্রদায় ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা হিন্দু সমাজের রীতিতে পরিণত হয়েছে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)