s s c এর পূর্ণ রুপ কি , Secondary School Certificate, এখনকার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরাও জানে না s.s.c এর পূর্নরুপ কি।বর্তমানে লেখাপড়া নামক জিনিসটা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সবাই আমরা নিজের জায়গা থেকে ভালো ভাবে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করবো।
শুধু পরীক্ষার জন্য না পড়ে নিজেকে জ্ঞানী করি।সবার সবার নিজ ধর্মের উপর লেখা পড়া করি এবং সঠিকটা জানার চেষ্টা করি।
s s c এর পূর্ণ রুপ কি
SSC এর পূর্ণরূপ = Secondary School Certificate
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকে(SSC) বাংলাদেশের একটি পাবলিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক/কলেজে শিক্ষা গ্রহণের জন্য এসএসসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। Secondary School Certificate(SSC) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাসের উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে SSC পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়
পাবলিক পরীক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশে চালু হয়েছিল ব্রিটিশদের উদ্যোগে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও ব্রিটিশ শাসনামলে প্রবর্তিত রীতি অনুসারে ১০ বছরের স্কুল পাঠক্রম শেষ করার পর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বা এস.এস.সি নামে প্রথম পাবলিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হতো এদেশের শিক্ষার্থীদের। ২০০৯ সালে প্রবর্তিত নতুন শিক্ষানীতির আওতায় ওই বছর থেকে পাঁচ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণশেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নামে একটি নতুন পাবলিক পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।
পরের বছর থেকে চালু হয়েছে ৮ বছরের নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাশেষে অনুষ্ঠেয় জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা বা জে.এস.সি। বর্তমানে এ দুটি পরীক্ষাসহ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি), দ্বাদশ ধাপ বা স্তর শেষ হওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচ.এস.সি), ১৫ বছর পাঠক্রম সম্পন্ন করার পর স্নাতক (বি.এ, বি.এসসি, বি.এস.এস, বি.কম) এবং ১৭ বছর পাঠক্রম সম্পন্ন করার পর স্নাতকোত্তর পরীক্ষা (এম.এ, এম.এসসি, এম.এস.এস, এম.কম) পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে চালু রয়েছে। এ
ছাড়াও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা (বি.সি.এস) সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির পদ পূরণের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক পরীক্ষা।
সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বাংলাদেশে সমগ্র দেশব্যাপী নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করতে হয়। পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি ও কার্যক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত পরিক্ষা কেন্ত্রসমূহে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা উত্তরপত্র ব্যবহার করতে হয়। পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হয়। যেহেতু ওএমআর ফরম ওএমআর মেশিন দিয়ে যাচাই করা হয় তাই উত্তরপত্র ভাঁজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
পরীক্ষার্থীকে প্রত্যেক বিষয়ে স্বাক্ষরলিপিতে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হয় কেননা এর দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায় পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন কিনা। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
কোনো অবস্থায়ই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় না, কিংবা করলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়। পরীক্ষার্থীরা পদার্থবিদ্যা, গণিত বা অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ের পরিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারে। পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ব্যতীত অন্য কারোই পরীক্ষা-কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে অনুমতি থাকে না। পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএস-এর মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ থাকে।
২০০১ সালের আগে পাবলিক পরীক্ষাসমূহের ফলাফল পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে গৃহীত স্কোরের মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো। সাধারণত একজন পরীক্ষার্থী গড়ে ৩৬% নম্বর পেলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হতো। একজন পরীক্ষার্থী ৩৬% থেকে ৪৫%-এর কম নম্বর পেলে তৃতীয় বিভাগ, ৪৫% থেকে ৬০%-এর নিচে পর্যন্ত নম্বর পেলে দ্বিতীয় বিভাগ এবং ৬০% বা তদূর্ধ্ব নম্বর পেলে প্রথম বিভাগ প্রাপ্তির সনদ প্রদান করা হতো।
৭৫% বা তদূর্ধ্ব নম্বরপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের স্টার মার্কস (তারকা চিহ্নিত মার্কস) প্রাপ্ত বলে গণ্য করা হতো এবং মার্কস স্কোরিং বা প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা প্রস্ত্তত করা হতো। ২০০১ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে এবং ২০০৩ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
বর্তমানে এ পরীক্ষায় ৮০ শতাংশ বা তদুর্ধ্ব নম্বর পেলে জিপিএ-৫, ৭০ থেকে ৭৯ শতাংশ নম্বর পেলে জিপিএ-৪, ৬০ থেকে ৬৯ শতাংশ নম্বর পেলে জিপিএ-৩.৫, ৫০ থেকে ৫৯ শতাংশ নম্বর পেলে জিপিএ-৩, ৪০ থেকে ৪৯ শতাংশ নম্বর পেলে জিপিএ-২ এবং ৩৩ থেকে ৩৯ শতাংশ নম্বর পেলে জিপিএ-১ প্রাপ্তির সনদ দেওয়া হয়। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।