sri এর পূর্ণরূপ কি , এমন একটি প্রযুক্তি হল SRI (System of Rice Intensification) যা একই সাথে বাড়িয়ে দিতে পারে উৎপাদন অনেকগুন এবং সাশ্রয় করে পানি, সার, বীজ এবং মাটিকে করে তোলে সুস্থ। SRI এর প্রচলন শুরু হয় নব্বই এর দশকে মাদাগাস্কার থেকে,
বাংলাদেশের মতই যেখানে ধান প্রধান খাদ্যশস্য এবং সে সময় চাষিদের আর্থিক পরিস্থিতিও ছিল নাজুক। অতিরিক্ত সার ক্রয় করার মত সামর্থ্য ছিল না তাদের।
sri এর পূর্ণরূপ কি
এমন অবস্থায় এক ব্যাক্তি এগিয়ে আসেন SRI এর ধারনা নিয়ে, নাম তাঁর ফাদার হেনরি ডে ললানি। তিনিই প্রথম কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দেন এই সাশ্রয়ী অথচ দারুণ উৎপাদনশীল প্রযুক্তির সাথে।
SRI প্রযুক্তি আসলে কি? আর কেনই বা এটি এত উপকারি? প্রথমে আসা যাক সনাতন ধান চাষের সাথে এর পার্থক্যে। সাধারণ পদ্ধতিতে আমরা দেখি, বীজতলায় বেড়ে ওঠা ৪ সপ্তাহ বয়সী ধানের চারা লাগানো হয় পানিতে ডুবে থাকা ক্ষেতে। কিন্তু SRI প্রযুক্তিতে ব্যাবহার করা হয় মাত্র ৮-১২ দিন বয়সী চারা এবং তাকে রোপণ করা হয় ভেজা মাটিতে, ডুবে থাকা মাটিতে নয়।
শ্রী এর পূর্ণরূপ কি
সিস্টেম অফ রাইস ইনটেনসিফিকেশন (এসআরআই
একজন কৃষক গড়ে প্রতি হেক্টরে প্রায় 4 থেকে 6 মেট্রিক টন (4000 থেকে 6000 কিলোগ্রাম) ধান কাটার আশা করতে পারেন, যা প্রতি ধানের 1.6 থেকে 2.4 মেট্রিক টন (1600 থেকে 2400 কিলোগ্রাম) সমতুল্য।
এরপর ধান পাকার ১৫-২০ দিন আগে পর্যন্ত মাঠে ২ সেন্টিমিটার পানি রাখা হয়। সনাতন পদ্ধতির চাইতে এই পদ্ধতিতে পানি ব্যাবহার হচ্ছে অনেক কম এবং অনেক বেশি কার্যকরীভাবে। এছাড়া, এখানে বীজ ব্যবহার কমে যায় অর্ধেক এরও বাশি, কারণ এতে প্রতিটি চারার মাঝে দূরত্ব থাকে বেশি। মনে হতে পারে, এতে কি উৎপাদন কমে যাবে না?
না, কারন প্রয়োজন অনুযায়ী সার ও পানি সরবরাহ থাকার কারনে ধানের ফলন বেড়ে যায় অনেক গুন। আর চারাগুলোর মাঝে দূরত্ব বেশি হবার কারনে তাদের মাঝে কোন রকমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায় না।
দুই সারি চারার মাঝের খালি জায়গা বেশি হবার কারনে আগাছা উৎপাটন এবং মাঠে সার দেওয়ার কাজও হয়ে যায় অনেক সহজ। পরিবেশ সংরক্ষনে SRI এর আরও একটি ভূমিকা হলো এই, যে এই প্রযুক্তিতে রাসায়নিকের ব্যাবহার নেই বললেই চলে।
উৎপাদন বাড়াতে মরীয়া কৃষকদের দ্বারা রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যাবহারে বেশিরভাগ খাদ্যই এখন হয়ে পড়ছে বিষের সমতুল্য। কিন্তু SRI প্রযুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই যে সম্পূর্ণ জৈবিক উপায়ে, রাসায়নিকবিহীন চাষ করার পরেও ফলন হয় অনেক সন্তুষ্টিজনক। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, SRI পদ্ধতি অবলম্বনে ধান উৎপাদন বেড়ে গেছে ৫০-১০০ শতাংশ এমনকি তারও বেশি।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)