www এর জনক কে

www এর জনক কে , WWW যার অর্থ হলো World Wide Web. WWW এর জনক হলো স্যার টিম বার্নার্স-লি(Tim Berners-Lee). টিম বার্নার্স-লি একজন ব্রিটিশ কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর পিতা-মাতা কম্পিউটার বিজ্ঞানী ছিলেন, যারা প্রথম দিকের একটি কম্পিউটারে কাজ করেছিলেন।



টিম বার্নার্স লি হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল (http) মাধ্যমে প্রথম ইন্টারনেট ওয়েবসাইট তৈরি করেন ১৯৮৯ সালে; যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব( www) নামে পরিচিতি পায়।

 

www এর জনক কে

 

তিনি ১৯৮৯ সালে CERN ল্যাবে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। CERN ল্যাব হচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, যেখানে বৈজ্ঞানিক লব্ধ ফলাফলের জন্য যে ডেটাবেজ ব্যবহার করা হতো। তার লক্ষ্য ছিল কীভাবে একটি কম্পিউটারে তথ্য রেখে তা অন্য কম্পিউটার থেকে এক্সেস করা যায়। এ ধারণা থেকেই ওয়েবের উদ্ভব করেন তিনি। ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সার্নের ডোমেইন নামে বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট চালু করেন টিম বার্নার্স-লি।


ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা WWW হল নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেসযোগ্য তথ্যের মহাবিশ্ব যা মানুষের জ্ঞানের মূর্ত প্রতীক। এটি ওয়েব নামেও পরিচিত, ওয়েব সার্ভারে সঞ্চিত ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পৃষ্ঠাগুলির একটি সংগ্রহ যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় কম্পিউটারগুলিতে সংযুক্ত থাকে। এই ওয়েবসাইটগুলিতে পাঠ্য পৃষ্ঠা, ডিজিটাল চিত্র, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি রয়েছে, ব্যবহারকারীরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি দিয়ে এগুলো এক্সেস করতে পারে।



মনে রাখবেন WWW ইন্টারনেটের(Internet) প্রতিশব্দ নয়। সুতরাং, ওয়েব ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে তথ্য পুনরুদ্ধার এবং আদান প্রদানের জন্য একটি যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে। ওয়েবে অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার একটি ব্রাউজার দরকার যা আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করা প্রয়োজন যেমন: Google Chrome.




www (ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব) এর আবিষ্কারক হিসেবে সবাই স্যার টিম বার্নাস লি এর কথা বলে। কিন্তু www (ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব) স্যার টিম বার্নাস লি এর সাথে রবার্ট কালিআউ এই নাম টাও জড়িত। তারা দুইজন মিলেই এটি আবিষ্কার করেন।



WWW এর ইতিহাস কি?



অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার পরে, টিম বার্নার্স-লি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় CERN (ইউরোপীয় গবেষণা সংস্থা যা বিশ্বের বৃহত্তম physics laboratory পরিচালনা করে) এর একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন।

 

টিম বার্নার্স-লি CERN এ কাজ করার সময় ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) আবিষ্কার করেছিলেন। World Wide Web কে সংক্ষেপে web বলা হয়। তখন ওয়েবটি মূলত ধারণা করা হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলির বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় তথ্য-ভাগ করে নেওয়ার চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।


WWW মূলত World wide web এর সংক্ষিপ্ত রুপ। আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি তা মূলত সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে রাখা তারের সংযোগের মাধ্যমে কাজ করে, যাকে আমরা বলি অপটিকাল কেবল সংযোগ, কোথাও এ সংযোগ পানির নিচ দিয়ে (সাগরের মধ্য দিয়ে) নেয়া হলে সেখানে এই অপটিকস ফাইভার কেবলস এর নাম সাবমেরিন ক্যাবল। অর্থাৎ পৃথীবির সকল দেশেই এই অপটিকাল কেবল রয়েছে, কোন কোন দেশের রয়েছে একাধিক কেবল। আর যেহেতু ইন্টারনেট এই কেবল সংযোগই নাম, তাই একে WWW বলা হয়।




সুতরাং, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব/World Wide Web আবিষ্কার করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালে CERN এ কাজ করার সময়।


টিম বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্য প্রথম প্রস্তাব এবং ১৯৯০ সালের মে মাসে তাঁর দ্বিতীয় প্রস্তাব লিখেছিলেন। বেলজিয়ামের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট কিলিয়াউয়ের (Robert Cailliau) সাথে একসাথে এটি ১৯৯০ সালের নভেম্বরে একটি ব্যবস্থাপনা প্রস্তাব হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবর্তিত হয়েছিল।




বর্তমানে আমরা ওয়েবের উপর এতোটাই বেশি নির্ভরশীল যে, দৈনন্দিন জীবনে ওয়েব ছাড়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। খুব কম সময়ে এর জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি হয়েছে যা বলাটা অসম্ভব প্রতিনিয়ত এর ব্যবহারের সংখ্যা দিন বেড়ে চলেছে। ১৯৮৯ সালে এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এ বিষয়টি সম্পর্কে সর্বপ্রথম তথ্য প্রদান করেন।

 

আর এ বিজ্ঞানীর নামটি ছিলেন টিম বার্নার্স লি। আর তিনি www এই বিষয়টি সম্পর্কে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন। আর এর জন্যই টিম বার্নার্স লি www এর জনক বলা হয়। www এটা আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ খুব সহজেই একে অন্যের কাছে নানান ধরনের তথ্য প্রদান করতে পারছে। আর এটা মাথায় রেখেই বিজ্ঞানীরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর জন্ম প্রদান করেছিল।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)