আহিয়া নামের অর্থ কি আহিয়া নামের ইসলামিক অর্থ কি ? আহিয়া নামের মেয়েরা কেমন হয় আহিয়া নামের ইংলিশ বানান কি আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব
আহিয়া নামের অর্থ হল
দ্রুত, স্নেহময় প্রকৃতি, বিবেচক মনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ,
আহিয়া কি ইসলামিক নাম
আহিয়া একটি ইসলামিক নাম
এটি একদমই সুস্পষ্ট এটি কোন না শিশুর জন্য পারফেক্ট একটা নাম
আহিয়া নামের অর্থ কি আহিয়া নামের ইসলামিক অর্থ কি
আসিয়ান আমার সাথে কিছু যুক্ত নাম
আহিয়া খাতুন
আহিয়া আহসান
তাহিয়া আলম
আহিয়া আক্তার
আহিয়া খাতুন
আহিয়া চৌধুরী
তাহিয়া রহমান
আহিয়া সরকার
আহিয়া বেগম
আহিয়া অর্থ দ্রুত, স্নেহময় প্রকৃতি
সুবাহ শব্দের অর্থ ভাগ্যবান
নাম সম্পর্কে হাদিস
কন্যা সন্তান আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে একটি বড় নিয়ামত যা মাতা পিতার জন্য এক বিশেষ শ্রেষ্ঠ নিয়ামত কন্যা সন্তানকে অশুভ মনে করা জায়েজ নয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কন্যা সন্তানদেরকে জীবিত পুতে ফেলা থেকে বের করে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে দেন।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও এরশাদ করিয়াছেন যে যার ঘরে সুন্দর একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করল অথবা সে তাকে সুন্দর করে মানুষ করলো এবং সবসময়ের জন্য পুত্র সন্তানের উপর প্রাধান্য দেয়নি তাহলে তাকে বেহেস্তে প্রবেশ করাবেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মুসনাদে আহমদ
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আরও এক হাদিসে বিশেষ সুন্দর করে উল্লেখ করেছেন যে যে ঘরে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম নিল সুন্দর নাম রাখলো সে ঘর জান্নাতের ঘর হিসাবে পরিচিত লাভ করল এবং যে পিতা-মাতা সুন্দরভাবে সে প্রতিপালন করবে তাদের উপর অনুগ্রহ করবে সে ব্যক্তি অবশ্যই জান্নাতের যাবে
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমিরের একটি দল হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার হাতে আনুগত্য বায়াত করেছেন সুতরাং হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে আমীর নয় বলার সুযোগ নেই মুসলমানদের সঠিক দল।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অসীম বানীর প্রতি লক্ষ্য রেখে কন্যা সন্তানকে পুত্রের চাইতে ও বেশী আদর যতœ করুন। এখানে একটি বিষয় আলোচ্য হলো, কন্যা সন্তান আল্লাহ মহান প্রদত্ত নেয়ামত ঠিক কিন্তু পুত্র সন্তানও কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। এই আলাচেনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, কন্যা সন্তানের প্রতি বিরুপ মানসিকতা পরিহার করা। একমাত্র ছেলে সন্তানের কামনায় কন্যা সন্তানকে অবহেলার পাত্র না বনানো। মহান আল্লাহ আমাদের সবাই কে পবিত্র কোরান ও হাদিসের বর্ণনা মেনে কন্যা সন্তান কে আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে প্রদত্ত নেয়ামত করার এবং কন্যা সন্তানের সাথে ব্যবহার করার , নায্য প্রাপ্ত প্রদান করার ব্যাপারে কন্যা সন্তান কে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করার তাও ফিক দান করুন । আমিন ।
আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন।
তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।
হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
রাসূল (সা.) তাঁর সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) পথভ্রষ্টতার অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করেছেন। সুতরাং অধিকাংশ সাহাবা (রা.) পথভ্রষ্ট হওয়ার শিয়া দাবী সঠিক নয়। সুতরাং তারা দীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টির অপরাধে অপরাধী। সুতরাং দীন সম্বন্ধে উপস্থাপিত তাদের হাদিস তাদের সৃষ্টি, সেই সব হাদিস রাসূলের (সা.) হাদিস নয়। রাসূলের (সা.) পর সঠিক দল তবে কোনটি?
হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
হজরত হাজার ইবনে হাজার(র.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা ইয়াবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) এর কাছে যাই, যাঁর সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়, ‘তাদের জন্য কোন অসিুবিধা নেই,যারা আপনার কাছে এ জন্য আসে যে আপনি তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলুন আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না’।
রাবী বলেন, আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালামকরি এবং বলি,আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার সেবার জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহকরার জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সাথে নামাজ আদায়ের পর,আমাদের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতেআমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্তহয়। আমাদের মধ্যে একজন বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! মনেহচ্ছে এটা আপনার বিদায়ী ভাষণ,কাজেই আপনি আমাদেরকে আরোকিছু অসিয়ত করেন।
তখন তিনি (সা.)বলেন, আমিতোমাদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শুনা ও মানার জন্যও,যদিও তোমাদের আমির হাবশী গোলাম হয়। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে, তারা বহু মতবিরোধদেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিৎহবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরন করা। যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরন করবে।তোমরা বিদয়াতের অনুসরন করা ও অনুকরণকরা হতে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদয়াত এবং প্রত্যেক বিদয়াতই পথভ্রষ্টতা।