ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস । কুরআন হাদিছের আলোকে

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস
ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস

ইসলাম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম, আর জীবন হয় দুঃখ কষ্ট হাসি কান্না সমন্বয়ে, ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস আধুনিক মানব জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সাথে নিজের আত্ম প্রকাশের ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস টা আমাদের জন্য অপরিহার্য সে ক্ষেত্রে ইসলামিক স্ট্যাটাস হলে নিজেকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা এবং অপরকেও ইসলামিক সৌন্দর্য বোঝানো যাবে একটি পোস্টের মাধ্যমে

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস এর পিক

 

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাসইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাসইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাসইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস

 

আগে যদি জানতাম আমি জীবনের সব চাওয়া পূরণ হবে না , তাহলে কোনদিন তোমাকে আমার জীবনে পাওয়ার আশা করতাম না

কোন কিছু পাওয়ার আনন্দ কিছুদিন থাকে কিন্তু কিছু না পাওয়ার বেদনা সারাটি জীবন  থাকে

তোমার চোখে অশ্রু আসুক তবুও তুমি কম ভালোবাসবে না

ভালোবাসা আছে বিধায় দুচোখে অশ্রু আসে ভালোবাসা না থাকলে দুচোখে কখনো অশ্রু আসতো না

তুমি আসবে বলে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু তুমি আসলে না তবুও এটা নিয়ে আমার দুঃখ রইল না

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি তাই আমি কাদতেও জানি

দুঃখকে জড়িয়ে রাখার জন্য যদি প্রাচীর দিয়ে রাখতে পারতাম , তাহলে সুখ এর মধ্যে আটকে যেত

এখন দুঃখ অনেকটা মূল্যবান সম্পদ ,কেবল প্রিয়জনদের কাছে প্রকাশ করলে

আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়ই তোমাদের আকৃতি ও বিশাল এই ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে তাকাবেন (মুসলিম শরীফ ২৫৬৪)

হে মানুষ তোমরা মহান আল্লাহতায়ালার নিকট তওবা করো কারণ নিশ্চয়ই আমি দিনে আল্লাহর নিকট একশতবার করে তওবা করি (মুসলিম ২৭০২)

 

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তা’আলা মানুষের মৃত্যুর গরগরা না আসা পর্যন্ত তার বান্দার দোয়া কবুল করেন (তিরমিজি ৩৫৩৭)

কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহ এবং পরকাল দিবসের উপর ঈমান রাখে সে যেন ভালো কথা বলে নতুবা চুপ থাকে (বুখারী শরীফ ৫:৬১৩৮

 

একজন মুমিনের অবস্থা ভারী অদ্ভুত সকল কাজ তার জন্য কল্যাণকর একমাত্র মমিন ছাড়া অন্য কেউ নেই কল্যাণ লাভ করতে পারে না মুমিনরা সুখ শান্তি লাভ করলে ভালো করে শুকরিয়া আদায় করে যা তার জন্য অনেক বড় করলাম তার আবার যদি তার সাথে খারাপ কিছু ঘটে তবে ওই মুমিন ব্যক্তিরা ধৈর্য ধারণ করে তবে সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয় (মুসলিম ৭:৭২২৯)

কোন যুদ্ধে ধরা সহি করায় বাহাদুরি নয় মূলত বাহাদুরি সেই যে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে (বুখারী ৬১১৪)

এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললেন আমাকে কিছু উপদেশ দেন তিনি তাকে বললেন তুমি রাগ করোনা এভাবে তিনি কয়েকবার উপদেষ্টার নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বারবারই বলে গেলেন রাগ করোনা রাগ করোনা রাগ করোনা (বুখারী শরীফ ৬১১৬)

 

তোমাদের সন্দেহের বিষয়টিকে নিশ্চিত বিষয়ের উপর ছেড়ে দাও আর তা নিশ্চয়ই সত্য হলো প্রশান্তি এবং বড়ই মিথ্যার অশান্তি (তিরমিজি ৪:২৫১০)

 

যেখানেই থাকবে মহান আল্লাহকে ভয় করবে মন্দ কাজের অনুভূতিতে কোন নেক কাজ করে ফেললে তাতে মন্দ অবস্থিত হয়ে যাবে মানুষের সঙ্গে সবসময় সুন্দর ব্যবহার করবে (তিরমিজি ১৯৯৩)

এক সাহাবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এসে বললেন হে আল্লাহর রসূল সবথেকে বেশি সওয়াব এর কাজ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তার জবাবে বললেন সুস্থ অবস্থায় যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশঙ্কা করতে এ পর্যন্ত দেরি করবে না যখন প্রাণ বায়ু কন্টাক হবে আর তুমি বলতে থাকবে মানুষের জন্য এতটুকুও মুখের জন্য আজকের জন্য হয়ে গেছে (বুখারী ১৪১৯)

 

ইসলামের মধ্যে সবথেকে গুণাবলী মধ্য হলো অনর্থক বিষয় পরিহার করা তিরমিজি (২৩২১)

দুটি নিয়ামত তাহলো সুস্থতা ও অবসর সময় (তিরমিজি ২৩০৭)

 ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা)

আমরা প্রতিদিন জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করি কেননা নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের উপাত্ত অত্যন্ত অত্যন্ত বেশি গভীর পদ্ধতি এবং তার অস্ত্র হলো (ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা)

 

আবু আল আশরাফ বলেন একদিন ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু একটি ময়লা আবর্জনার স্তুপ অতিক্রম করার সময় সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লেন দেখে মনে হচ্ছিল তার সঙ্গী গণ দুর্গন্ধে অনেক অনেক কষ্ট পাচ্ছিল কিন্তু তিনি বললেন এটা তোমাদের এই পৃথিবী যার জন্য তোমাদের এতটাই আগ্রহ এবং যার জন্য তোমরা সকল সময় সারাদিন মায়াকান্নায় জড়িত থাকো

(হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা)

তোমরা সব সময় আল্লাহকে ভয় করো কারণ তোমরা যখন আল্লাহকে ভয় করবে তখন তোমাদের আর একাকীত্ব মনে হবে না

(ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা)

হযরত ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার খিলাফতকালে গভর্নরের কাছে একটি চিঠি লিখতেন এবং তিনি সেই চিঠিতে বলেছিলেন আপনাদের ব্যাপারে যে বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল পবিত্র নামাজ যে নিয়মিত নামায আদায় করে সে তার ঈমানকে অনেক সুন্দর করে রাখে কিন্তু যে নামাজ কে অবহেলা করে সেই মানের অন্যান্য বিষয়গুলোতেও অনেকটাই অবহেলিত হয় (ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)

 

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের আনুগত্য করা ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে আল্লাহর সাথে কোন ব্যক্তির সম্পর্ক পরিপূর্ণতা লাভ করবে না

(হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)

আমরাতো মর্যাদাহীন লোক ছিলাম মহান আল্লাহ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ইসলামের মাধ্যমে সুতরাং আমরা যদি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে যা দ্বারা সম্মানিত করেছেন তা থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোথাও অসম্মান করি তাহলে মহান আল্লাহ আমাদেরকে  পুনরায় অপমানিত করবেন

(ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা)

 

হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতার পরিণত না হয় তোমাদের ঘৃণা যেন অংশে পরিণত না হয় তাকে প্রশ্ন করা হলো সেটা কিভাবে হয় তিনি উত্তর দিলেন যখন তোমরা ভালোবাসো তোমরা শিশুদের মতন নির্বোধ হয়ে যাও আর যখন ঘৃণা করো তখন তোমরা তোমাদের সংগীদের ধ্বংস কামনা করতে ভালোবাসো

(হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু)

কোরআন তেলাওয়াত করতে দেখে বোকা হয়ে যেও না কারণ তখন আমরা কেবল শব্দগুলো উচ্চারণ করি বরং তার দিকে লক্ষ্য করো যে কোরান অনুযায়ী আমল করল (হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)

প্রকৃতপক্ষে ইসলামের ভিত্তি গুলো একের পর এক ক্ষতিগ্রস্ত হবে যদি ইসলামের এমন মানুষের আবির্ভাব হয় তারা কখনও অজ্ঞ তাকে চিনতে পারে নি

(ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)

 

যারা অন্যদের মন কাড়তে এমন কিছু বিষয় দাবি করে যা তাদের মাঝে নেই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে অপমানিত করবেন

(হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)

বাবা মাকে সম্মান করো অন্যকে করতে বল

নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার মঙ্গল করবেন

প্রিয় গ্রাহক প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আপনি পেয়েছেন পাঁচবার বেয়াম, পাঁচবার পবিত্রতা, পাঁচবার আল্লাহর সাক্ষাৎ করার সুবর্ণ সুযোগ জ্বলে উঠুন আল্লাহর রহমতে

 

হে মানুষ, যখন তোমার জীবনের উপর আঘাত আসবে মহা পবিএ ইসলাম দিয়ে তা প্রতিহত করো আর যখন ইসলামের উপর আঘাত আসবে তখন তোমাদের জীবন দিয়ে তা প্রতিহত করো,

আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা

কিয়ামতের দিন নবীর নিকটতম ব্যক্তি , সেই হবে , যে তার প্রতি অধিক দুরুদ পাঠ করবে, তিরমিজি

ইসলামকে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রসারের মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে আমাদের ইসলামিক ইসলামিক স্ট্যাটাস সহ ইসলামিক জীবন ব্যাবস্থা সকল নিয়ম কানুন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি নির্দেশনা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের পবিত্র কোরআনের বাণী থেকে বিভিন্ন সাহাবায়ে কিরাম থেকে কোরআন হাদিস থেকে কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নির্দেশনা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা