কবর নিয়ে উক্তি । কুরআন হাদিসের আলোকে

কবর নিয়ে উক্তি
কবর নিয়ে উক্তি

প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে আজকে আমরা কবর নিয়ে উক্তি সম্পর্কে কোরআন হাদিস উলামায়ে কিরাম সহ বিভিন্ন মনীষীদের দেওয়া উক্তি সম্পর্কে আলোচনা করব

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে বারবার ফোন করে দিয়েছে যে মানুষ তোমাদের কিন্তু মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে আর মৃত্যুর পর রয়েছে তোমাদের জন্য আরেকটি জগত যে জগতের মধ্যে তোমাদেরকে হিসাব দিতে হবে যেখানে তোমাদেরকে আর কতদিন চলবে না কোনো উপায় থাকবে না দ্বিতীয়বার আবার এই পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবে না এজন্য যা কিছু প্রয়োজন যে আমাদের প্রয়োজন তা দুনিয়া থেকে নিয়ে আসো

কবর নিয়ে উক্তি
কবর নিয়ে উক্তি

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার পবিত্র কোরআন কারীমে বলেছেন প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে
(সূরা আম্বিয়া আয়াত ৩৫)

কবরের সাথে সবাইকে হতে হবে কেউ তোমার সঙ্গে যাবেনা তাই এই পৃথিবী থেকে তোমাকে এমন একটি কাজ করতে হবে যে কাজের সব তুমি কবরে বসেও পাবে
সদকায়ে জারিয়া যে সবগুলো রয়েছে এই সবগুলোই তুমি পাবে অন্যথায় অন্য কোন সওয়াব পাবে না

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারীমে যে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণের কথা বলেছেন এই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ প্রত্যেক প্রাণীকে করতে হবে এবং তাকে কবরের যাত্রী হিসেবে যেতে হবে এজন্য আমাদের প্রতিটি সময় প্রতিটি মূহূর্তে সতর্ক থাকা উচিত তখন আমায় ডাক দিবে সে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদেরকে যেতে হবে এই দুনিয়া ছেড়ে

কবর নিয়ে ইসলামিক উক্তি

এ জন্য মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সূরা আম্বিয়া যে কথাটি বলেছেন এই কথাটি আমাদের মনে রাখা উচিত, কবর নিয়ে উক্তি

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার পবিত্র কোরআনুল কারিমে আরেকটি কথা বলেছেন তিনি তাঁর বান্দাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র ইবাদতের উদ্দেশ্যে

ইবাদত করতে হবে আমাদের মন প্রাণ দিয়ে আমাদের মনের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সৃষ্টির সেরা মনে করে তাকে সিজদা দেওয়ার মাধ্যমে ইবাদত করে যেতে হবে এবং এই ইবাদাত যেন আমাদের পূর্ণকালীন জীবনের একটি রীতি হয়ে দাঁড়ায়

কবর নিয়ে উক্তি
কবর নিয়ে উক্তি

যখন আমরা মৃত্যুবরণ করবো তখন আমাদের সবের প্রত্যেকটি দরজা বন্ধ হয়ে যাবে শুধুমাত্র কিছু সওয়াব ছাড়া
১/ নেক সন্তান দুনিয়াতে রেখে যাওয়া যায়
অর্থাৎ নিজের সন্তান যদি ধর্ম মুখে হয় এবং তিনি যদি নামাজ পড়েন রোজা রাখেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের প্রতিটি সত্য মেনে চলেন এবং তিনি যদি দোয়া করেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কবরে থাকাকালীনও আমাদেরকে সব দিবেন

২/সদকায়ে জারিয়া
সদকায়ে জারিয়া হলো আপনি বেঁচে থাকতে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের যে ধরনের কাজ রয়েছে সেই কাজের প্রাধান্য দেওয়ার জন্য যদি আপনি কোন কিছু দান করে থাকেন সেই ধানের টাকার অংশ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনাদেরকে কবরে নেকি দিবেন

আল্লাহ তোমাদের জীবন দান করেছেন তিনি তোমাদের মৃত্যু দিবেন আবার তিনি তোমাদেরকে পুনরুত্থান করবেন তারপরও মানুষ প্রতি অকৃতজ্ঞ
(সূরা হজ্জ আয়াত নম্বর 66)

কবরস্থান নিয়ে উক্তি

মানুষ এক আজব প্রাণী সেটা নির্দিষ্ট হায়াত থেকে একটা বছর হারিয়ে যাওয়া কে হেসে খেলে মজা মাস্তি করে উদযাপন করে
আরিফ আজাদ

ধৈর্য চেয়ে উত্তম ও কল্যাণকর ব্যাপার আর কিছু প্রদান করা হয়নি
বুখারী ও মুসলিম

টাকার গরমে যে ব্যক্তি অহংকার করে তার সামনে অহংকার করায় বিনয়
ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি

যারা বংশগত ধনী তারা কখনো ফুটানি বা অহংকার দেখায় না ফুটানি দেখায় তারা যারা হঠাৎ করে অনেক বড়লোক হয়ে যায়

পার্থিব জীবন ক্লিয়ার কেউ তো কিছুই নয় পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্য শ্রেষ্ঠ
( সূরা আল আনআম আয়াত 32)

কবর হলো এমন একটি জায়গা যে জায়গাতে সকল মানুষকে যেতেই হবে

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যে কবরে তোমাকে যেতেই হবে তুমি যা আমল করবে তার ফল তুমি কবরে যে পাবে এবং সেই কবরের প্রথম ধাপের সিঁড়ি থেকে পার হওয়ার পরে তুমি আখেরাতের জন্য এগিয়ে যাবে

আখিরাত মুখী হও কিন্তু দুনিয়ামুখী হইও না

জীবনে যদি ভালো কিছু করতে চাও তাহলে সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দান করো সন্তানের ভিতরে দ্বীনি শিক্ষা থাকে তাহলে তুমি যখন কবরে চলে যাবে তখন তোমার কবরে সওয়াব পৌঁছানো যাবে তাদের দুআ দ্বারা

মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তার কবরে আর কোন সব পৌঁছায় না মাত্র তিনটি রাস্তা ছাড়া তার মধ্যে একটি হলো নিজের সন্তানের দোয়া সন্তানরা দোয়া করে তাহলে

মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মৃত্যুবরণের অবস্থায় ছিলেন তখন তিনি একটি হাত দিয়ে একটি পিলার ভিতরে পানি রাখা ছিল সেই পানিতে হাত রেখে তিনি বারবার নিজেকে নিজের মুখে বারবার মুছতে ছিলেন

মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া

আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা গমারতিল মাওতি

হে আল্লাহ্ মৃত্যুর কষ্ট লাঘবে আমাকে সাহায্য করুন

এই হাদীসটির সনদ কত হবে দুর্বল থাকা সত্ত্বেও যেহেতু অর্থের মিল রয়েছে সেতু পাঠ করা উত্তম

এই হাদীস থেকে আমরা আরও স্পষ্ট হয়ে যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের জীবন দিয়েছেন এই জীবনকে পাওয়ার পরে মৃত্যুর সময় অনেক কষ্ট হবে আমাদের যে কষ্টের সময় যদি আমরা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের হুকুম মেনে চলতে পারি তাহলে সেই কষ্ট কে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন দূর করে দিবেন

কবর নিয়ে উক্তি

মৃত্যু নিয়ে উক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষীদের যে ধরনের কথা রয়েছে এবং উলামায়ে কিরাম না আমাদেরকে জিনিসগুলো করেছেন এই নসিয়ত গুলোই আমাদের জীবনের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়ে থাকবে

আমরা এখন মৃত্যুবরণ করি নি কিন্তু মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেছে এই মৃত্যু সম্পর্কে যে আজাবের কথা উল্লেখ আছে পবিত্র কোরআনুল কারিমে এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে

কবর নিয়ে উক্তি
কবর নিয়ে উক্তি

আমরা যে কাজ করব সেই কাজের ফল পাব যদি সে কাজ ভাল হয় তাহলে ভালো কিছু পাব যদি কাজগুলো খারাপ হয় তাহলে ভালো কিছু আশা কোনদিনও করা যাবে না

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা গুলো দিয়েছেন সাধারণতঃ যদি আমরা সঠিকভাবে জান্নাত পেতে চাও তাহলে আমাদেরকে সবসময়ের জন্য ভালো কাজ করতে হবে ভালো মানুষ হতে হবে এই পৃথিবীতে হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ কে নিজের ভিতর লালন করতে হবে যদি আমায় লালন করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা সফলকাম হবো

মৃত্যুর জন্য নির্ধারিত সময়ের সঠিক কথা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পৌঁছাতে পড়লে মানুষের নিকট সকল আশা দুরাশায় পরিণত হতো

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু

মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে মৃত্যুর দুধ তোমার ঘরের কাছে গায়ে আছে তার ডাক দেওয়ার পর আর প্রস্তুত হইবার অবসর পাইবেনা
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা

কবর হলো মানুষের দ্বিতীয় ঘর যে ঘরের মধ্যে তোমাকে একদিন থাকতেই হবে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনকে যা বিশ্বাস কর এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কে যারা বিশ্বাস করে এবং দ্বীন ইসলাম যারা ভুল করেছে তারা সবাই বিশ্বাস করে যে একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে আমাদের সকলেরই ওই কবরে যেতে হবে

কবে রয়েছে আমাদের দ্বিতীয় ঠিকানা এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে ঐ কবরের ভিতর যখন আমাদেরকে দিয়ে থাকতে হবে তখন মাত্র হাত জায়গার ভিতর থাকতে হবে তাই কবরের কথা বারবার আমাদেরকে স্মরণ করে নিতে হবে

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে কবরে যাওয়ার আগে যে ধরনের উল্লেখযোগ্য কাজ করতে হবে তার মধ্যে হলো সৎ কাজে আদেশ দেওয়া অসৎ কাজের নিষেধ করা সৎ কাজে আদেশ দিতে পারি তাহলে আমরা প্রকৃতপক্ষে মুমিনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটা আমরা নিজের ভিতর লালন করতে পারব ঠিক তেমনিভাবে আমরা অসৎ কাজের নিষেধ করতে পারি ভালো হবে তাহলে আমরা আমাদের প্রকৃত পক্ষে নিজের একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবো তখন আমাদের জীবন মৃত্যু এবং কবরের যে ধরনের কার্যক্রম রয়েছে সকল জায়গায় সঠিক হিসাব দিয়ে আমরা জান্নাতে পৌঁছে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ