১৫ আগস্ট সম্পর্কে কবিতা ,১৫ আগস্ট নিয়ে পোস্ট, ১৫ আগস্ট নিয়ে কবিতা, শোকাবহ আগস্ট কবিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হবে আজকে।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা
বঙ্গবন্ধু হলো আমাদের সোনার বাংলাদেশের গড়ার কারিগর, একটি দেশকে স্বাধীন করার জন্য যেভাবে সেই পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত মানুষ এভাবে জীবন দিয়েছে তাদের সম্পর্কেও ধর্মীয়ভাবে অনেক উল্লেখযোগ্য বাণী রয়েছে।
১৫ আগস্ট সম্পর্কে কবিতা
কবিতা
১৫ ই আগস্ট উত্তল দিন
১৫ ই আগস্ট উত্তল দিনে
লাল রক্তে বাঙালি কাঁদে
স্বাধীনতার ঢেউ যে আনিলে
তাকে তোমরা হত্যা করলে
দুঃখ ভারাক্রান্ত তাই মনে
হাসিনা আসিল দেশেরও তরে,
জন সম্মুখে দিল উত্তল ভাসন,
একতাবদ্ধ হলো আবার মানুষে।
যুগেযুগে স্বর্ণ আবার
জাগিরো এই বাংলায়
সবাই আবার স্মরণ করিল
আপন মাতৃভাষায়।
রেসকোর্স উপাধি বঙ্গবন্ধু লকবে
জাগ্রত উত্থল সৈনিক গ্রামে গ্রামে,
আবার বলে উঠিল
জয় বাংলা স্লোগানে।
কবি আলিম যশোরী
কবিতা
বিজয়ের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধু
জাগ্রত উত্তল সৈনিক,
তুমি বীরের বেশে ডাক দিয়েছো
এই তো আমাদের দিক বিদিক।
উত্তল সমুদ্রে জনগণে,
একাত্তরের রেসকোর্স ময়দানে।
সময়ের কন্ঠে একটাই কথা
জয় বাংলা জয় বাংলা।
মুখরিত স্লোগানে সবাই
কাপিতে কাপিতে বলে উঠলো
জয় বাংলা জয় বাংলা।
লেখনিরা লিখিতে, সৈনিকরা অস্ত্র হাতে।
সবাই ঝাঁপিয়ে পড়িল একসাথে।
থাকিতে চাহিলেও পারিলে না, তুমি এদেশে।
পাকিস্তানি নিয়ে গেল তোমাকে।
কারাবন্দি যতদিন ছিল এই যুদ্ধ ময়দানে।
শত সহস্র জীবন দিয়ে দেশকে করিল জয়।
সৈনিক সবাই উঠিল জাগ্রত হয়ে, সবাই করিল বিজয়।
কবি আলিম যশোরী
কবিতা
আর নেই বঙ্গবন্ধু
আকাশে নেই বাতাস
পানিতে নেই ঢেউ
উত্তল সমুদ্রে নেই
কোন ডিংগা মাঝি।
বাংলার পথে প্রান্তরে
কিচিরমিচির আওয়াজে
মাঠে নগরীর কোণে
কৃষকের মুখে নাই হাসি।
শুধু নাই আর নাই আর নাই,
এই শব্দ তৈরি করিল কামানের গোলায়
বিশ্বস্ত কলমে বিশ্বস্ত সঙ্গী তে
হারালো সবই বিকাল বেলায়।
বঙ্গবন্ধু উচ্চারণেও করিতে লাগিল ভয়,
মাঠ থেকে শহরে
পথে প্রান্তরে সকলে তখনই করিল জয়।
আমাদের বঙ্গবন্ধু
আর নেই আর নেই
আমাদের বাংলায়।
কবি আলিম যশোরী
১৫ই আগস্ট নিয়ে কবিতা
১৫ আগস্ট একটি উল্লেখযোগ্য দিন এই বাঙালির মানুষের জন্য কারণ এই বাংলা থেকে স্বাধীন করল সেই স্বাধীনতার উত্তরসূরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার দিনটিকে আজকে আমরা কালো দিন হিসাবে অগ্রধিকার দিয়ে থাকি।
শোকাবহ আগস্ট কবিতা
কবিতা
শোকবাহ আগস্ট
আগস্টের এই ১৫ তারিখ
মনে পড়ে যায় আমাদের
শত সহস্র কাহিনী গুলো
ভেসে ওঠে দিকবিদিক
একটি প্রশ্ন করছি আমি
হে ঘাতক তোমাদের কাছে
রাসেলকে কেন হত্যা করিলে
পারিবে কি উত্তর দিতে।
জন্ম লগ্ন থেকে যারা
মুজিবের পরিবারে
আত্মীয়তার বন্ধনে
কাটিয়ে দিল জীবনের তরে
তারাই আবার মেতে উঠিলো
খুন করার প্রবণতায়
সেই রক্ত দিয়ে করিল গোছল
ধানমন্ডির বাড়িতে,
এ কেমন আপন
প্রশ্ন জাতির কাছে।
কবি আলিম যশোরী
বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে উজ্জ্বল একটা নক্ষত্র, যার যারই আলোই আমরা নতুন পথ দেখতে পাই, সেই লক্ষ্যে যারা হত্যা করেছিল তাদেরকে কোনদিন ক্ষমা করবে না এই বাংলার আকাশ বাতাস এবং প্রতিটি মানুষ, সূর্য কিরণ গেলেও সূর্য একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু এ বঙ্গবন্ধুর হত্যা কারীরা কখনোই বাংলা থেকে চিরতরে সরে যেতে পারবে না তাদের পরবর্তী প্রজন্মরাও কোনদিন এই বাংলার জমিনে ফিরতে পারবে না তারা যে বড় অন্যায় করেছে এই শিকার তাদের করতেই হবে।
১৫ আগস্ট নিয়ে উক্তি
কবিতা
বঙ্গবন্ধুর পিতৃপরিচয়
আজও গ্রামগঞ্জে
অপপ্রচার চলছে
করে বিন্দু বিন্দু,
তোমার পিতৃপরিচয়
হিন্দু হিন্দু হিন্দু’
এভাবেই চলছে
গ্রাম্য মানুষের ব্রেন ওয়াশ
কিন্তু যখন বাধা পেরিয়ে,
শেখ হাসিনা আসিল এ দেশেতে।
লেখক বঙ্গবন্ধুর লেখা
অসমাপ্ত আত্মজীবনী
করিল প্রকাশ সাহস করিয়া যিনি
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা তিনি।
ওই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম্য মানুষ
পাঠচক্রের আয়োজন করিল যখন এই বইটি,
সকল ভুল ভেঙ্গে তখন
জানিল সবাই নতুন ইতিহাসটি।
ওলি আল্লাহ শেখ বোরহান উদ্দিনের উত্তরসূরী
আমাদের বঙ্গবন্ধুর পরিবারটি।
যুগে যুগে এমন অপপ্রচার
চলছে সামনে ও চলবে
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বইটি
সকল কৃষক শ্রমিক ভাইদের ধারণাটি,
পাল্টে দিয়েছে আরো দিবে রুখে।
কবি আলিম যশোরী
আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী জীবনী নিয়ে এবং সার্বিক বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলার জন্য এক আত্মতৃপ্তি মূলক কথা আমাদের ক্ষুধা নিবারণের কথা আমাদের জৈবিক চাহিদার যে ক্ষুদা সেই ক্ষুধাকে মিটিয়ে দেয় একটি কথা সেটা হল বঙ্গবন্ধু।