পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে, ইতিহাসের ব্যাখ্যা

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে , পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত নারী কে, মনীষীদের বাণী সহ বিভিন্ন উক্তিগুলো তুলে ধরা হলো।

 

সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছে সুন্দর করে, কিন্তু মানুষ তার কর্ম গুণে বিভিন্ন উপাধি পেয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীতে সবথেকে খারাপ মহিলা বা খারাপ মানুষ। পৃথিবীতে সব থেকে খারাপ মহিলা কে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কর্ম গুনেই তাদের নির্ধারণ করা যায় সে কোন প্রকৃতির বা কোন চিন্তাভাবনার সেই হিসেবে বলা যায় পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মহিলা হল হিটলারের মা।

 

কিন্তু ইতিহাসের দিকে বিবেচনা করলে বিভিন্ন মহিলার কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে

 

এডলফ হিটলারের মা।

ইতিহাসের যুগ শ্রেষ্ঠ হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে যুদ্ধে মানুষ হত্যার বড় নিদর্শন ছিল, যে কাজটি করেছিল এডলফ হিটলার। এজন্য পৃথিবীতে সবথেকে ঘৃণিত ব্যক্তি হলো, এডলফ হিটলার, পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ বা কিছু কিছু গবেষক মনে করে এই হিটলারের জন্ম হয় তার মা পৃথিবীতে সব থেকে ঘৃণিত মহিলার মধ্যে একজন।

 

কারণ হিসাবে পৃথিবীর ইতিহাসবিদরা বলেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই মানুষ যখন , নিশ্চিন্তে তার জীবন-যাপনকে গুছিয়ে নিচ্ছিল, ঠিক তখনই ১৯৪১ সালে হিটলার তার যুদ্ধনীতিকে বাস্তবায়ন করতে মানুষকে হত্যা করে এবং একের পর এক দেশ জয় করতে থাকে, কিন্তু তার যুদ্ধনীতিতে মানুষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তার কোন তুলনা নেই, এজন্য তার জন্ম দেওয়াটাই ভুল হয়েছে তার মার এমন মন্তব্য প্রতিটি ইতিহাসবিদ এবং সাধারণ মানুষ মনে করে ঠিক তখনই ছড়িয়ে পড়ে এডলফ হিটলারের মাই পৃথিবীর সবথেকে নিকৃষ্ট বা খারাপ মহিলা।

 

মুসলিমদের কাছে রানী ইসাবেলা।

নিশ্চয়ই যারা ইতিহাস চর্চা করেন তারা রানী ইসাবেলার নাম শুনেছেন, তিনি ছিলেন মুসলিমদের শত্রু এবং অনেক ক্ষমতাবান, তিনি মুসলিমদের দেখতে পারতেন না এবং যেখানে হত্যা করতেন তার সম্পর্কে অনেক নিন্দিত বক্তব্য রয়েছে এবং নিন্দিত কাজ রয়েছে।

ইতিহাসে ইসাবেলা হলো সবথেকে খারাপ মানুষ বা খারাপ মহিলা বা নিন্দিত ঘৃণিত মহিলা হিসেবে চিহ্নিত, কারণ তিনি ৫ থেকে ৭ লাখ মুসলিমদেরকে হত্যা করেছেন, এজন্য ইসাবেলাকে আমরা পৃথিবীর সবথেকে ঘৃণিত খারাপ নারী হিসেবে চিহ্নিত এটা জানি।

 

তুরাম্বুলের মহিলা।

মেক্সিকান কবি ও সাহিত্যিক ফ্রান্সিস্কো ইনোহোসার , ১৯৫৪ সালে পিওর সেনোরা ডেলমন্দ , বইয়ের ভিতরে উল্লেখ করেছে যেটি পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত হয়।

এই বৌয়ের মত একটি মহিলার কথা বলা হয় সেই মহিলা তার সন্তানদেরকে ক্ষুধা পেলে কুকুরের মল দিত না খেলে খুব মারধর করতো, এটি উল্লেখ করে মেক্সিকান কবি তার এই বইতে উল্লেখ করেছে।

এজন্য এই মহিলাকেও খারাপ মহিলা হিসেবে বা নিকৃষ্ট বা ঘৃণিত মহিলা হিসেবে আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পেরেছি।

 

ইতিহাসের সবচেয়ে কুৎসিত বা ভয়ংকার নারী।

বিশ্বের ইতিহাসে ভয়ংকরতম নারী হিসেবে আমরা জানতে পেরেছি অস্ট্রেলিয়ার ১৯৫৫ সালের জন্মগ্রহণকারী ক্যাথরিন নাইট কে। ক্যাথরিন নাইট যাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে

ক্যাথরিন নাইট এমন একটি মহিলা ছিলেন যে মহিলা তার স্বামীর ঘর শুরু করতে লাগলে স্বামী ছিল মদ্যপান অবস্থা,, যে মতপন্নের কারণে তাদের সংসার সব সময় অভাব-অনটন এবং খারাপ সময় মুহূর্তগুলো পার করত ঠিক তেমনিভাবে দিনে দশবার এই মহিলার সঙ্গে তার স্বামী সহবাস করত, এই অবস্থা চলতে থাকতে থাকতে একসময় তাদের বিচ্ছেদ হয় পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্বামীর কাছে গেলেও তিনি একই সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন তিনি দ্বিতীয় স্বামীর কাছ থেকে চলে এসে,

একটি কুকুরের জিহ্বা কেটে নেন এবং পরে কুকুরের চোখ তুলে ফেলেন কয়েক মাস পর চার্লস একজনের সঙ্গে তার গোপন সম্পর্কে গড়ে ওঠে এবং সেখানেও যেও তিনি হিংস্রতার আচরণ করে থাকেন তাই তাকে আমরা পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মহিলা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি।

ইসলামিক পেন ওয়েবসাইটে আজকে আমরা কিছু খারাপ মহিলার কথা উল্লেখ করলাম ইতিহাসবিদদের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে এই তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এদেরকে।

উল্লেখিত আলোচনা হতে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মহিলা কে এ বিষয়ে আমরা সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে গেলাম।