বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় , বিড়ালের আঁচড়ে কি টিকা নেওয়ার প্রয়োজন আছে? এটির আসল উত্তর ছিল: বিড়ালের আচড়ে কি ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন আছে?


অবশ্যই। বিড়াল, কুকর, বানরের কামড়, আচড় থেকে জলাতংক হতে পারে। আর এই রোগ একবার হলে মৃত্যু সম্ভাবনা ১০০% নিশ্চিত। এর কোন চিকিৎসা আবিষ্কার হয় নি। তবে কার্যকর ভেক্সিন আছে। তাই অবশ্যই ভেক্সিন নিতে হবে। অবহেলা হতে পারে মৃত্যুর কারন।



মূলত গৃহপালিত এ ধরনের পশুর কামড়ে জলাতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।

জলাতঙ্ক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খুব দ্রুত আমাদের মাংসপেশিতে কিংবা চামড়ায় টিকা গ্রহণ করা উচিত।


যেকোনো ব্যক্তি কিংবা শিশুর ক্ষেত্রে বিড়াল যদি কামড় দেয় তবে সে ক্ষেত্রে প্রথম দিন, তৃতীয় দিন, সপ্তম দিন, ১৪ তম দিন, ২৮ তম দিনে টিকা দিতে হয়।

 

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়



যেসব প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু ছড়ায়
* গৃহপালিত: কুকুর, বিড়াল

* গৃহ-পরিবেষ্টিত: গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, শূকর, গাধা, ঘোড়া, উট

* বন্য: শেয়াল, বানর, নেকড়ে, বাদুড়, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, বেজি, চিকা, বনবিড়াল, খরগোশ



বিড়াল কামড়ালে কি হয়


আপনারা বিড়াল কামড় দিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জেনে রাখবেন-

যদি বিড়াল কামড় দেয় এবং সেই ক্ষত থেকে রক্ত বের হয় তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ম্যাক্সিন নিতে হবে।
আপনার যদি গত পাঁচ বছরে এ ধরনের কোন টিকা দেওয়া না থাকে, তবে অবশ্যই এমন ব্যক্তি কিংবা শিশুর ক্ষেত্রে কামড়ানোর প্রথম দিন, তৃতীয় দিন, সপ্তম দিন, ১৪তম দিন এবং ২৮ তম দিনে টিকা নিতে হবে।
যদি আপনারা পাঁচ বছরের মধ্যে এ ধরনের কোনো টিকা নিয়ে থাকেন তবে প্রথম এবং তৃতীয় ডোজ নিলেই হবে।

 



জীবাণুর সংস্পর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা


ক্যাটাগরি ১: পশু যদি শুধু স্পর্শ করে বা অক্ষত চামড়ায় লেহন করে, তবে কিছু করতে হবে না।

ক্যাটাগরি ২: আঁচড়, রক্তপাতহীন ছুলে গেলে চামড়ার যত্ন নেওয়া এবং টিকা নিতে হবে।


ক্যাটাগরি ৩: চামড়া ভেদ করা কামড়, ছুলে যাওয়া চামড়া কিংবা দেহাভ্যন্তরে লেহন, মুখমণ্ডল বা পিঠে মেরুদণ্ডের কাছাকাছি আঁচড়, রক্তখেকো বাদুড়ের আঁচড়ে চামড়ার যত্ন, টিকা ও ইমিউনোগ্লোবিন ইনজেকশন নেওয়া লাগবে

 


টিকার ধরন এবং ডোজ


জলাতঙ্কের দুই ধরনের টিকা রয়েছে। একধরনের টিকা মাংসপেশিতে (শুধু বাহুতে) এবং অন্যটি চামড়ায় দিতে হয়। চামড়ায় দেওয়া টিকা বেশি কার্যকর, কম খরচ হলেও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে মাংসপেশির টিকাই বেশি প্রচলিত।


আগে কিংবা গত পাঁচ বছরে টিকা দেওয়া হয়নি, এমন ব্যক্তি বা শিশুর জন্য ডোজ: ০ (কামড় নয়, টিকা দেওয়ার দিন), ৩, ৭, ১৪ ও ২৮তম দিন। আরেকটি সূচি হচ্ছে ০তম দিনে দুই বাহুতে ২টি টিকা এবং ৭ ও ২১তম দিনে ১টি করে টিকা।


* পশু আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।

* কোনো কারণে ইমিউনোগ্লোবিন পাওয়া না গেলে (ক্যাটাগরি ৩) ০তম দিনে দুই বাহুতে ২ টিকা নিতে হবে। ৩, ৭, ১৪ ও ২৮তম দিনে নিয়ে ডোজ পূর্ণ করতে হবে।

* পাঁচ বছরের মধ্যে টিকা নেওয়া থাকলে ০ ও তৃতীয় দিনে বুস্টার টিকা নিলেই হবে।

* ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কামড়ের আগেই টিকা—০ ও তৃতীয় দিন; এরপর আক্রান্ত হলে ০, ৭ ও ২১/২৮তম দিন।

* শুধু গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের পর যদি সেই প্রাণী পরবর্তী ১০ দিন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, তবে ১৪ ও ২৮তম দিনের টিকা না দিলেও হবে।



(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)