হাত পা কামড়ানোর ঔষধ,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

হাত পা কামড়ানোর ঔষধ , পা কামড়ানো বা লেগ ক্র্যাম্প পেশির সংকোচনের জন্য হয়ে থাকে যা কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এটি সাধারণত পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত হতে পারে।

এটি হাঁটুর পেছনের পেশীতে টানও ধরাতে পারে। যদিও আমরা বেশিরভাগই কখনো না কখনো পা কামড়ানোর সমস্যায় ভুগে থাকি তবে পঞ্চাশের পর এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।

হাত পা কামড়ানোর ঔষধ





ডিক্লোমল ট্যাবলেট (Diclomol Tablet) ট্যাবলেট আকারে পাশাপাশি মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয় এমন একটি তরল সমাধান হিসাবেও পাওয়া যায়। প্রতিটি ট্যাবলেটের প্রভাব ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে।



একটি কুকুরছানা চিবানো খেলনা সর্বদা হাতে রাখা একটি ভাল ধারণা, যাতে আপনি কামড়ের আচরণের পূর্বাভাস দিতে পারেন এবং আপনার হাত বা আসবাবের জন্য খেলনাটি প্রতিস্থাপন করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এটি করলে কুকুরছানারা জানতে পারবে কী কামড়ানো বা চিবানো ঠিক। আপনি খেলার সময় যদি তারা আপনার আঙ্গুল বা পায়ের আঙ্গুলগুলিকে নিবল করতে শুরু করে তবে পরিবর্তে একটি খেলনা অফার করুন।



পানিশূন্যতা



রাতে পা কামড়ানোর সমস্যার জন্য অন্যতম দায়ী হতে পারে পানিশূন্যতা। জার্মানির গোয়েথে ইউনিভার্সিটির ক্রীড়া বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল বেহরিঙ্গার বলেছেন, ‌‘পেশির ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে স্পষ্টই ঋতুভিত্তিক প্যাটার্ন দেখা যায়, এটি সংখ্যা গ্রীষ্মে বেশি এবং শীতকালে কম হয়।

অতিরিক্ত তাপ ও শরীরে পানিশূন্যতার কারণে ক্র্যাম্প বেড়ে যেতে পারে। পানিশূন্যতার কারণে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। যা ক্র্যাম্প আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।



পুষ্টির অভাব



ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাবে পা কামড়ানোর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই ইলেক্ট্রোলাইটগুলো রক্ত ​​এবং পেশিতে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। যে কারণে এগুলোর অভাবে দেখা দেয় পা কামড়ানোর মতো সমস্যা। তবে এ সম্পর্কিত অনেক গবেষণা এখনও অসমাপ্ত রয়েছে। তাই এই পুষ্টি উপাদানগুলো কীভাবে ক্র্যাম্পিং এর উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে তা জানার জন্য আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন।




এটা অনেক পরিচিত এক কথা। কিন্তু কেন? পায়ের কি দাঁত আছে যে কামড়াবে? এই পা কামড়ানোর জন্য অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেন না। সারাদিন কোনো ব্যথা নেই, রাতে হলেই এই ব্যথা হানা দেয়।
পা কামড়া প্রচলিত থাকলেও এটা আসলে মাসল ক্র্যাম্প হওয়া। কিন্তু কেনই বা হয় এই মাসল ক্র্যাম্প?
গবেষণা করে দেখা গেছে, সাধারণত রক্তে লবণের ঘাটতি হলে বা মাংসপেশিতে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে পা কামড়াতে পারে।


ডায়াবেটিক রোগী ও ধূমপায়ীদের পা কামড়ায় পায়ে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং শিশুরা অনেক ছোটাছুটি করে বলে তাদের পায়ের পেশিতে রক্তপ্রবাহে টান পড়তে পারে। কিন্তু খানিক বিশ্রাম নিলেই তা সেরে যাবে। অনেকক্ষণ রোদে বা গরমে হাঁটাহাঁটি করলে লবণে ঘাটতি হয়। ফলে পা কামড়ায়।



দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা



গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সারাদিন বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে পা কামড়ানোর সমস্যা যারা বসে থাকেন বা বসে কাজ করেন তাদের থেকে বেশি দেখা যায়। যখন আপনি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন কিন্তু নড়াচড়া করতে পারেন না তখন পানি ও রক্ত শরীরের নিচের অংশে এসে জমা হয়। এটি শরীরে তরলের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। যা ক্র্যাম্পিংয়ের কারণ হতে পারে।



এছাড়াও ঋতু পরিবর্তন, পুষ্টির অভাব, পানিশূন্যতা, প্রচণ্ড ব্যায়াম, দাঁড়িয়ে থাকা, গর্ভাবস্থাও, বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হতাশাও পা কামড়ানোর অন্যতম কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এছাড়া পা কামড়ানো হতে পারে কোনো মাংসপেশি বা স্নায়ু জটিলতার লক্ষণ, যেমন মায়োপ্যাথি বা ডিসটোনিয়া-জাতীয় জটিল রোগের উপসর্গ। কিছু ওষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে এটি।


কিছু কিছু ওষুধ যেমন ডাইউরেটিক, সালবিউটামল, ল্যাসিডিপিন, টেলমিসারটান বা থাইরক্সিন-জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলেও পা কামড়াতে পারে।


গর্ভাবস্থা


গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পা কামড়ানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন বৃদ্ধি এবং সঞ্চালন ব্যাহত হওয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, মায়ের রক্তনালী এবং স্নায়ুর ওপর ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের চাপের কারণেও ক্র্যাম্পিং হতে পারে



(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)