“কথার আঘাত ছড়িয়ে যায় এমন কথা কবে কাজে আসে।”কথার আঘাত নিয়ে উক্তি,
কথার আঘাত নিয়ে ১০ টি উক্তি
১. “আত্মীয়ের কথায় আঘাত ছড়িয়ে পড়া একটি কলমের মতো, তোমাকে কাটতে পারে প্রবল ক্ষতি প্রদান করতে পারে তবে তোমাকে লিখতে পারে না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
২. “মৃত্যুর বাণী হতে চাও, নয় কথার আঘাত।” – মহাত্মা গান্ধী
৩. “কথার শক্তি সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তা বিশ্বাস এবং নিবেদিতা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।” – নরমান বিন্সেল
৪. “কথার গুলিতে আঘাত ছড়ানোর আগে ধর্মীয়ভাবে মনে করো এই কথার প্রতি তুমি প্রয়োজনের পরিমাণ মেধা এবং সাদৃশ্য রেখেছ।” – বিলি গ্রাহাম
৫. “আগামীতে মিথ্যা শব্দের আঘাত ছড়িয়ে যাবে তোমার বিশ্বাসের ব্যাংক হিসাব।” – অবেল মুজিকা
৬. “কথার বৃষ্টি অনেক মানুষের উপর আঘাত প্রদান করে, তবে অবহেলার জন্য শক্তিশালী হওয়া মুখ্য।” – ওস্কার ওয়াইল্ড
৭. “কথার ক্ষতি অনেক হয়ে ওঠে, তাই বলা এবং লেখার জন্য সাবধান থাকা গুরুত্বপূর্ণ।” – মহাত্মা গান্ধী
৮. “কথা বলা সুবিধার অনেক দূরে আমরা চলে যাই।” – রলফ ওয়াল্ডো এমারসন
৯. “একটি মূর্খকে একটি কথা বলার সাহস থাকলে বলো, তাকে বুঝতে আরও বড় সাহস লাগে বলার সাহস নেই।” – গোয়েথে
১০. “কথা প্রমাণের প্রয়োজন নেই, এটি একটি আঘাতের প্রমাণ।” – অলিভ ওয়েন্ডেল হোমস
এই উক্তিগুলি কথার প্রভাব এবং কথা বলার জন্য সাবধানতা সূচিত করে তা কথার প্রধান সাহায্য হতে পারে। সঠিক কথার ব্যবহার মানুষের জীবনে সক্রিয় সাথে সাথে উন্নতির মাধ্যমে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।
কথার আঘাত নিয়ে ইসলামিক উক্তি
কথার আঘাত নিয়ে ইসলামিক উক্তি:
১. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“মুসলিম এমনভাবে থাকুক যেন তার কথার অঘাত তার শস্যের মতো হয় না, যার মধ্যে আঘাত প্রবেশ করে না।” – (সহীহ বুখারী)
২. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“মুসলিম সত্য বলবে এবং সত্যের দিকে চলবে, তার মধ্যে কখনই কথার আঘাত ছড়ানো হয় না।” – (সুনান আবু দাউদ)
৩. কুরআনে কাহিনীগুলির মধ্যে, সুরা নূর আয়াত ৬৪ এ বলা হয়েছে:
“এবং যখন তাঁরা তাদের বিলাপ শোনলে তাঁরা তাদের অনুসরণ ছেড়ে দেয়। এবং সেসব কথার আঘাত জেততে যায় যেগুলো তাদের কানে ছেড়ে দেয়; অবশেষে তিনি তাঁরা সব জানতে পারেন।” – (সূরা নূর: ৬৪)
৪. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“তোমরা কথা বলতে সতর্ক হও, কারণ কথার আঘাত প্রবেশ করতে পারে মানুষের দিকে অগাধ অবর্তমান পথে।” – (সুনান আবু দাউদ)
৫. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“একজন মুসলিমের সত্যকথা বলা তার দেহের মধ্যে অত্যন্ত অভ্যন্তরীণ এবং তার ইমানকে সুস্থ রাখে।” – (সহীহ মুসলিম)
এই উক্তিগুলি ইসলামে কথার গুরুত্ব এবং কথার প্রভাব সম্পর্কে উপদেশ দেয়। একজন মুসলিমের জন্য সত্যকথা বলা এবং অহিতকর কথার আঘাত থেকে সাবধান থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কথার প্রভাবে মানুষের সাথে সম্পর্ক প্রতিরোধ করতে সঠিক কথাবলি প্রয়োজন।
কথার আঘাত নিয়ে উক্তি ১০ টি ইসলামিক
কথার আঘাত নিয়ে ১০ টি ইসলামিক উক্তি:
১. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“যে কোন মুসলিম অভিশাপ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে যদি সুব্বারাকাল্লাহ বলতে শক্তি প্রদান করে।” – (সহীহ বুখারী)
২. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“কেউ অন্ধকারে হাঁটা শুরু করলে তাকে সাথে সাথে সোনার জন্য প্রকাশ করে দেয়।” – (সহীহ মুসলিম)
৩. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“কেউ ভাল নিয়ত থাকলে তার কথা সত্য হবে, যদি তিনি কোন কিছু বলতে হয় তা সত্য হবে।” – (সহীহ বুখারী)
৪. কুরআনে কাহিনীগুলির মধ্যে, সূরা হুজুরাত আয়াত ১২ এ বলা হয়েছে:
“যে কেউ একজন মুমিনকে যাচাই না করে উপাটিয়ে দেয় ও বলে, ‘তুমি মুমিন নয়, হ্যাঁ তুমি মুমিন নয়।’ তার মাসলিহতে মুমিন কিছুই থাকে না।” – (সূরা হুজুরাত: ১২)
৫. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“তোমরা যে কোন কথা বলতে আগ্রহী হলে, তোমার জবান থেকে পূর্বে তোমার মনে প্রশ্ন করো, এবং যদি তা তোমার ইমান এবং মনোনিবেশ সাথে মিল খায়, তবে তা বলো।” – (আবু দাউদ)
৬. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“কথা বলার পূর্বে চিন্তা করো, কারণ তোমার কথা তোমার ইমানকে প্রভাবিত করবে।” – (আবু দাউদ)
৭. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“কেউ আগাম প্রদর্শন না করে সত্য বললে তিনি শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়।” – (সহীহ মুসলিম)
৮. হদীসে শরীফে বলা হয়েছে:
“মুসলিম তার ভাইয়ের কথা উপসংহার করলে তার মৃত্যু হয়ে যায় এবং তার মৃত্যুর দিনে আল্লাহ তার জন্য দাস্য করে স্বর্গের অধিকারী করে।” – (সহীহ বুখারী)
কথার আঘাত নিয়ে কিছু কথা
কথার আঘাত একটি মহান সত্য যেটি প্রয়োজনীয় সময়ে প্রয়োজনীয় ভাবে ব্যবহার না করলে বড় আঘাত প্রদান করতে পারে। কথার প্রভাব সবসময় মনে রাখতে প্রয়োজন এবং কথা বলার সামর্থ্য সাবলে মনুষ্যের সাথে ভালো সম্পর্ক উপজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
কথা মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি, ভদ্রতা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে ভোগ করতে সাহায্য করতে পারে। আত্মবিশ্বাস এবং নিবেদিতা কথার ভাষায় আবারো দিয়ে যাত্রা করতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে, অপ্রয়োজনীয় বা মিথ্যা কথা বলার ফলে আত্মবিশ্বাসের ক্ষতি হতে পারে, সত্যের ব্যতিক্রম হতে পারে এবং অন্যের সাথে ভালো সম্পর্কে আঘাত প্রদান করতে পারে।
একটি সৎ মুসলিম প্রয়োজনীয় সময়ে সত্য বলতে ব্যবস্থিত থাকতে পারে এবং তার কথা তার চরিত্রের সাথে মিলাতে পারে। আবেগ ও রাগ প্রকাশ করা বা অপ্রয়োজনীয় অভিশাপ প্রদান করা উচিত নয়, কারণ এগুলি ব্যক্তিগত সম্পর্কে আঘাত প্রদান করতে পারে এবং অসুখ এবং বিশেষতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে কষ্ট প্রদান করতে পারে।