মিলনের কতদিন পর গর্ভবতী হয়,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

মিলনের কতদিন পর গর্ভবতী হয় , গর্ভধারণের ৪-৬ সপ্তাহ পর বমি শুরু হয়। ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সময় অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনোর স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সকালে উঠেই বমিভাব হয়ে থাকে। তবে শুধুই যে সকালে বমি হবে, তা কিন্তু নয়। দিনের যে কোনো সময় একাধিকবার বমি হতে পারে।

মিলনের কতদিন পর গর্ভবতী হয়



তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিরিয়ড মিস করার আগে অর্থাৎ গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহেই ৮০ শতাংশ নারী বমির সমস্যায় ভোগেন। আবার ৫০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ৬ সপ্তাহ বা তার আগে থেকে বমি অনুভূত হতে থাকে

গর্ভধারণ সহবাসের তিন মিনিট পরেই হতে পারে অথবা পাঁচ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইমপ্লান্টেশন (যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর প্রাচীরের সাথে সংযুক্ত হয়) গর্ভধারনের পাঁচ থেকে ১০ দিন পরে হয় – যার অর্থ যৌন মিলনের ৫ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই পূর্ণরূপে গর্ভাবস্থা শুরু হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস



কিছু নারীর গর্ভাবস্থা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলি প্রকাশিত হতে থাকে আবার কিছু নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার কয়েক মাসেও কোন লক্ষণ প্রকাশিত হয় না।

বেশিরভাগ বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা উচ্চ স্তরের নির্ভুলতা রয়েছে বলে দাবি করে, সাধারণত প্রায় 99%, যদি মিস হওয়ার পরে নেওয়া হয়। যাইহোক, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও পরীক্ষাই 100% নির্ভুল নয় এবং ভুল ফলাফলের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।



মিথ্যা নেতিবাচক, যেখানে একটি পরীক্ষা ভুলভাবে একটি নেতিবাচক ফলাফল নির্দেশ করে যখন একজন মহিলা গর্ভবতী হয়, যদি পরীক্ষাটি খুব তাড়াতাড়ি নেওয়া হয় বা প্রস্রাবে এইচসিজির মাত্রা কম থাকে তাহলে ঘটতে পারে।ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  আপনার পিরিয়ড মিস না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার এবং মিথ্যা নেতিবাচক সম্ভাবনা কমানোর জন্য যৌনতার পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার নির্দেশাবলী অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।



মহিলাদের গর্ভধারণ তাদের পিরিওডের চক্রের সাথে সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কিত। শারীরিকভাবে সুস্থ প্রত্যেক মহিলার পিরিওডের চক্র ধরা হয় ২৮ থেকে ৩৩ দিন। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী পিরিয়ড শুরু হবার আগের সাত দিন এবং পরের ৭ দিন নিরাপদ সময় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  আপনার পিরিওডের তারিখ যদি মাসের ১৫ তম দিন হয় তবে ১৫ তারিখের আগে ৭ দিন এবং পরের সাত দিন নিরাপদ সময়।


এই সময়ে আপনি যেভাবেই সহবাস করেন না কেন গর্ভধারণের সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। কিন্তু এই সময়ের বাহিরে যে দিনগুলো রয়েছে সেগুলোকে উর্বর সময় হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  এই অল্প সময়ে যদি বীর্য কোন ভাবে আপনার যোনির ভেতরে প্রবেশ করে তবে নিশ্চিতভাবে আপনি গর্ভবতী হবেন।



মহিলাদের এই মাসিকের প্রথম ৪দিন রক্তপাত হয় এর পরের ১০দিন জরায়ুর ক্ষত স্থান মেরামত হয় আর এই ১৪ দিন পর গর্ভধারনের জন্য উপযুক্ত সময় তেরি হয়। ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  মেয়েদের জরায়ুতে অসংখ ডিম্বানু থাকে সেখান থেকে প্রতিমাসে ১টি করে ডিম্বানু গর্ভধারনের জন্য পরিপক্ষ হয়ে মাসিকের ১৩ থেকে ১৪ দিনের মাথায় ডিম্বপাতের মাধ্যমে ফ্যালোপিয়ান টিউবে আসে।

আর সেখানে শুক্রানু দেখা পেলে মিলিত হয়ে গর্ভধারন করে। পুরুষের শুক্রানু ৩-৫দিন বেচে থাকে থাকে মহিলার ডিম্বানু ১২-২৪ ঘণ্টা বেচে থাকে।ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  তাই মাসিকের ১০-১২তন দিন থেকে ১৬-১৭ দিন পর্যন্ত স্বামী স্ত্রী মিলন করলে স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই সময় ছাড়া অন্য সময় মিলন করলে স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

(সূত্র:মেডিসিন টিপস)