হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

এই আধুনিক যুগে হস্তমৈথুনের ফলে ক্ষতি গুলো গুগলে সার্চ দিয়ে খুব সহজে জানতে পারেন।হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম, কথা হচ্ছে ইসলাম এটা হারাম। কেন হারাম করেছে এটা জানার জন্য আপনার নিজের মনটাই যথেষ্ট । এজন্য কোন দলিল প্রমাণের প্রয়োজন নেই ।

কেননা এই কাজটি সম্পন্ন করার পর নিজেকে অপরাধী মনে হয় কিনা ? নিজের মনের ভেতর একটি অপরাধবোধ জাগে কিনা ? যদি জাগে তাহলে এটি নিশ্চয়ই হারাম । সমর্থ্য থাকলে বিয়ে করুন আর নয়তো টাচ মোবাইল থেকে বেঁচে থাকুন ।


“আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।”[সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]

 

হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম



যে ব্যাপারে নির্দেশ নেই আবার নিষেধও নেই সেটাকে ইসলাম বলে মুবাহ। মুবাহ মানে ব্যাক্তির ইচ্ছাধীন।

হস্তমৈথুন জায়েজ বা হালালের পক্ষে আরো কিছু আলেমের মতঃ

এটি একটি মুবাহ(জায়েয) কর্ম এবং এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে হলে বড়জোর এতোটুকু বলা যায় যে, এ কাজ উন্নত নৈতিক বৃত্তির বিরোধী হবার কারণে এটি একটি মাকরুহ ও অপছন্দনিয় কাজ। এই অভিমতের সমর্থকরা এ যুক্তি পেশ করেন যে, হাদিস ও কুরআনের কোথাও এ কাজটিকে হারাম বলে উল্লেখ করা হয়নি।

উপরন্তু আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ

“তিনি সকল নিষিদ্ধ বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন।”

– কুরআন, সুরা আল আনামঃ ১১৯।




ইমাম শাফেয়ি ‘নিকাহ অধ্যায়ে’ বলেন: ‘স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য সবার থেকে লজ্জাস্থান হেফাযত করা’ উল্লেখ করার মাধ্যমে স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্য কেউ হারাম হওয়ার ব্যাপারে আয়াতটি সুস্পষ্ট। এরপরও আয়াতটিকে তাগিদ করতে গিয়ে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন (ভাবানুবাদ): “যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” সুতরাং স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করা বৈধ হবে না, হস্তমৈথুনও বৈধ হবে না। আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।[ইমাম শাফেয়ি রচিত ‘কিতাবুল উম্ম’]

কোন কোন আলেম এ আয়াত দিয়ে দলিল দেন: “যারা বিবাহে সক্ষম নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।”[সূরা নূর, আয়াত: ৩৩] এ আয়াতে সংযমের নির্দেশ দেয়ার দাবী হচ্ছে– অন্য সবকিছু থেকে ধৈর্য ধারণ করা।


কাজেই হারামের ফিরিস্তিতে যখন এর উল্লেখ নেই তখন এটি হালাল। ইবনে হাযম মুহাল্লা পূর্ণ দলীল ও প্রমাণাদি ও সনদসহ এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এবং একথাও উল্লেখ করেছেন যে, হাসান বসরি, আমর ইবনে দিনার, ও মুজাহিদ এ কাজের বৈধতার পক্ষপাতি ছিলেন এবং আতা একে নিছক মাকরুহ মনে করতেন । (আল মুহাল্লাহ, ১১ খণ্ড , পৃষ্ঠা ৩৯২-৯৩) ।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)