হিজড়াদের কি কি থাকে,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

হিজড়াদের কি কি থাকে , হিজড়াদের শারীরিক গঠন ও যৌন জীবন , হিজড়া সাধারণত তিনরকম: প্রকৃত হিজড়া ( True Hermaphrodite), অপ্রকৃত পুরুষ হিজড়া (Male Pseudo Hermaphrodite), এবং অপ্রকৃত নারী হিজড়া (Female Pseudo Hermaphrodite)।


অপ্রকৃত হিজড়ে (Pseudo Hermaphrodite) গর্ভে থাকাকালীন সময়ে অন্যান্য শারীরিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মতই শিশুর যৌনাঙ্গ গঠিত হয়। যৌনাঙ্গ গঠনে ক্রোমোজোমের ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ক্রোমোজোমের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলেই জন্ম নেয় যৌন প্রতিবন্ধী শিশু। ক্রোমোজোমের ভিত্তিতে লিঙ্গ নির্ধারণের ব্যবস্থায় এই যৌন বিকলাঙ্গরা তাই হয়ে উঠে অপ্রতিভ। সাধারণত পাঁচ ধরনের অপ্রকৃত হিজড়ে দেখা যায়।

 

হিজড়াদের কি কি থাকে



এদের শারিরীক গঠন কি?

 


মূলত এটি একটি শারীরিক গঠনজনিত সমস্যা যা অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মতই কিন্তু প্রতিবন্ধকতার স্থানটি ভিন্ন হওয়াতেই তারা হিজড়া। হিজড়াদের শারীরিক গঠন মূলত ৩ প্রকার।


• ১. নারীদের সকল বৈশিষ্ট্য থাকলেও নারী জননাঙ্গ থাকে না।
• ২. পুরুষের সকল বৈশিষ্ট্য থাকলেও পুরুষ জননাঙ্গ থাকে না।
• ৩. উভয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।



১. ক্লাইনেফেলটার সিনড্রোম (Klinefelter syndrome) ১৯৪২ সালে এইচ.এফ. ক্লাইনেফেলটার (H.F Klinefelter) নামে একজন আমেরিকান চিকিৎসক এই রোগ আবিষ্কার করেন। এই শারীরিক ত্রুটি শুধু পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা দেয় । প্রতি ১০০০ জন পুরুষের ভিতর ১ জনের এই ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

 

টেস্টোস্টেরন (Testosterone) হরমোনের অভাবে এদের শারীরিক গঠনে পুরুষালী পেশীর ঘাটতি দেখা দেয়। মুখে দাঁড়ি গোঁফ (Facial Hair), যৌনাঙ্গে চুল (Pubic Hair) কম দেখা দেয়। বক্ষ কিছুটা উন্নত হয় ও স্ফীত স্তন দেখা দেয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে গাইনিকোমাস্‌টিয়া (Gynecomastia) বলে।

 


তবে মাত্র ১০% পুরুষের গাইনিকোমাস্‌টিয়া লক্ষণযোগ্য হয়। বাকিদের গঠন স্বাভাবিক পুরুষের মতই। এদের শুক্রাশয় স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট থাকে। সেখানে শুক্রাণু উৎপন্ন হয় না। এরা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলেও স্বাভাবিক যৌন জীবন পালন করতে পারে। এরা মানসিক জড়তায় ভোগে।

 

 

কারণ: অতিরিক্ত একটি X ক্রোমোজোমের কারণে ক্লাইনেফেলটার সিনড্রোমের উদ্ভব ঘটে। স্বাভাবিক পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোম XY বিন্যাস এবং নারীর ক্ষেত্রে XX । কিন্তু এই সিনড্রোম ধারী পুরুষদের ক্ষেত্রে ক্রোমোজোম বিন্যাস দাঁড়ায় XXY। এই সিনড্রোমে আক্রান্ত সকল ব্যক্তির দেহকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা এক হয় না। যৌন ক্রোমোজোমের অপ অবস্থান ও বিকৃতির ফলে অনেকের ক্রোমোজোম সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৮। এর মধ্যে যৌন ক্রোমোজোম XXYY। এর সম্ভাবনা প্রতি ১৮০০০- ৪০০০০ এর ভিতরে একজনের।

 


হিজড়ারা কি চিকিৎসা করে সুস্থ হতে পারে?

 


ব্যাপারটি হয়তো অনেকেই জানেনা কিন্তু হিজড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানো কোন শিশুর যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন আসলে বোঝা যায় সে সাধারন আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়।



২. XXY পুরুষ (XXY Male) আপাত গঠন পুরুষের মতো। এদের যৌনাঙ্গের অস্বাভাবিকতা বয়ঃসন্ধিকালের ভিতর প্রকাশ পায়। শিশ্ন আছে। তবে মূত্রছিদ্রটি (Urethral Orifice) শিশ্নের স্বাভাবিক স্থানে থাকে না। ডাক্তারি ভাষায় একে হাইপোস্পেডিয়াস (Hypospadias) বলে। এদের অণ্ডকোষ শরীরের অভ্যন্তরে থাকে । একে বলে গুপ্ত শুক্রাশয় (Cryptorchidism)। যৌন ক্রোমোজোমের অপ অবস্থান এর কারণ। এই রোগীদের শরীরে ক্রোমোজোমের মোট সংখ্যা ৪৭। এর ভেতর ৪৪টি অটোজোম আর তিনটি সেক্স ক্রোমোজোম XXY।

 


তাদের যৌনাঙ্গ কি ধরনের থাকে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আপনি বরং একবার ইমেজ সার্চ করে দেখতে পারেন।

 


একজন সাধারণ নারী/পুরুষ আর হিজড়ার মধ্যে কি যৌনসঙ্গম করা অবশ্যই সম্ভব। এখানে কথা হচ্ছে রুচির। যদি কোনো সাধারণ পরুষ/স্ত্রী রুচি থাকে হিজড়ার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার তাহলে এটা স্বাভাবিক।


৩. XX পুরুষ (XX) XX পুরুষের সাথে ক্লাইনেফেলটার সিনড্রোমের অনেক মিল আছে। প্রতি ১০,০০০০ জনের ভিতর ৪ অথবা ৫ জনের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এদের স্তন থাকে। তবে সুডৌল, স্ফীত স্তন নয়। এদের অত্যন্ত ক্ষুদ্র, ২ সেন্টিমিটারেরও ছোট শুক্রাশয় থাকে। সেখানে শুক্রাণু (Spermatozoa) উৎপন্ন হয় না। এদের হাইপোস্পেডিয়াসের সমস্যা থাকে।

এরা বেঁটে হয়। কারণ: পিতার শরীরে সংঘটিত মিয়োসিস পর্যায়ে X এবং Y ক্রোমোজোমের অসমান ক্রসিং ওভারের ফলস্বরুপ X ক্রোমোজোম স্বাভাবিক-পুরুষ জীন SRY বহন করে। উক্ত X ক্রোমোজোম যখন আরেকটি স্বাভাবিক X ক্রোমোজোমের সাথে মিলিত হয়ে মাতার শরীরে ভ্রূণ তৈরিতে অংশগ্রহণ করে তখন তা XX পুরুষ হিজড়ে জন্ম দেয়।

 



হিজড়াদের সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা মিশ্র। ভাল মন্দ দুধরনের অভিজ্ঞতাই আছে। হিজড়াদের বেশিরভাগের আয়ের উৎস হচ্ছে কালেকশন। এই কালেকশন পদ্ধতিও আবার চরম বা গরম পর্যায়ের আছে। ঢাকায় থাকার সময় দেখেছি ওরা অনেকটা চাদাবাজদের মতো আচরন করে। অস্ত্র দেখায় না ঠিকই কিন্তু টার্গেট সবসময় অস্ত্রের দিকেই থাকে। মান বাচাতে তখন টাকা দেয়াই কর্তব্য হয়ে দাড়ায়।

 


আবার আমার গ্রামে পাশে কিছু হিজড়া থাকে এদের দেখলে মনে হয় ওরা স্বাভাবিক মানুষের চাইতেও ভদ্র। আমাদের দোকান থেকে প্রত্যেক রবিবার হাটের দিন টাকা চাইতে আসে। যদি টাকা দেই তাহলে চুপ করে নিয়ে চলে যায়, কতো টাকা দিলাম সেদিকে খেয়াল করে না। আবার যখন দিতে না পারি তখন দোয়া করে এই বলে,”আল্লাহ তোমাদের দান করার তৌফিক বাড়িয়ে দিক। কোন উচ্চবাচ্য নেই।

 




৪. টার্নার সিনড্রোম (Turner Syndrome) ১৯৩৮ সালে হেনরি টার্নার ডাক্তারি অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এই ধরনের রোগের কারণ নির্ণয় করেন। প্রতি ২৫০০ মহিলাদের ভিতর একজনের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত একটি X ক্রোমোজোমের অনুপস্থিতি এই রোগের কারণ। আপাতদৃষ্ট মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সিনড্রোম দেখা দেয়। জন্মের প্রথম তিন বছর এদের উচ্চতা স্বাভাবিক দেখা দিলেও এরপর থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির হার কমে যায়। যোনিকেশ (Pubic Hair) খুব কম দেখা দেয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই মেয়েদের ডিম্বাশয় থেকে সেক্স হরমোন- ইস্ট্রোজেন (Estrogen) ও প্রোজেস্টেরন (Progesterone) নির্গত হওয়া শুরু করে।

 

কিন্তু টার্নার সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সেক্স হরমোনের প্রকাশ ঘটে না। ফলে রজঃচক্র বা মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। প্রশস্ত বুকে স্তন গ্রন্থির উদ্ভব হয়। গলার দু-দিকের পুরু মাংসল কাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এদের বধির হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। এরা অস্থি সংক্রান্ত বিভিন্ন অসুবিধা ও অস্বাভাবিকতায় ভোগে। অনুন্নত ডিম্বাশয় ও গর্ভধারণে অক্ষম হলেও টার্নার সিনড্রোমে আক্রান্ত কারো কারো স্বাভাবিক যোনিপথ ও জরায়ু থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে গণিত শিক্ষা অথবা স্মৃতি ধারণ ক্ষমতায় ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

 



টার্নার সিনড্রোমের রোগীদের কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৫ অর্থাৎ অটোজোম ৪৪টি আর সেক্স ক্রোমোজোম ১টি X। স্বাভাবিক নারীদের ক্ষেত্রে বারবডি পজিটিভ থাকে। বারবডি হল পলিমরফো নিউক্লিয়াস যুক্ত শ্বেত কণিকায় ড্রামস্টিকের (Drumstick) মত দেখতে নিউক্লিয়াস অঙ্গাণু। সাধারণত নারীর ক্ষেত্রে এই পলিফরমো নিউক্লিয়াস যুক্ত শ্বেত কণিকায় শতকরা ৫ ভাগ ড্রামস্টিক দেখা যায় তাই নারীর শরীরে বারবডি পজিটিভ কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এই ড্রামস্টিক অনুপস্থিত থাকে বলে পুরুষের ক্ষেত্রে বারবডি নেগেটিভ।

 

 

কিন্তু টার্নার সিনড্রোমের মহিলাদের ক্ষেত্রে বারবডি নেগেটিভ থাকে। একদিকে ‘Y’ ক্রোমোজোমের অনুপস্থিতি যেমন পুরুষালী ভাব প্রকাশে অসহযোগিতা করে তেমনি বারবডি না থাকায় নারীসুলভ ভাবও প্রকাশ পেতে পারে না। অনেকের দেহকোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা একটু ভিন্নতর হতে দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফিমেল পলিজোমি (Female polysomy)। এদের ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৭ (৪৪XXX)। এছাড়াও মিশ্র ক্রোমোজোম অপেরণও (Mixed Choromosomal Aberration) দেখা যায়।

 



হিজড়াদের কাছে পর্দা করার কোনও বিধান আছে কি?

 


যদি সে নারীর রূপ ধারণ করে তো পর্দার বিষয় সাধারণ নারীর মতোই। আর পুরুষের রূপ ধারণ করলে তো যতটুকু পুরুষের ঢাকার কথা অতটুকু ঢাকলে চলে।




৫. মিশ্র যৌন গ্রন্থির বিকৃতি (Mixed Gonadal Dysgebesis-MGD) গোনাড হল দেহের সেক্স অর্গান। পুরুষের থাকে শুক্রাশয় আর নারীর থাকে ডিম্বাশয়। MGD সিনড্রোম ধারীদের আপাতদৃষ্টিতে পুরুষ বলে মনে হয়। শুক্রাশয় থাকে তবে একটি। এর গঠন জটিল আকারের। প্রতিটা শুক্রাশয়ে ৪০০-৬০০ টির মতো শুক্রোৎপাদক নালিকা (Seminiferous Tube) থাকে। এর ৫টি স্তর- স্পার্টাগোনিয়া (Spermatogonia), প্রাথমিক স্পার্টোসাইট (Primary Spermatocyte), গৌণ স্পার্মাটোসাইট (Secondary Spermatocyte), স্পার্মাটিড (Spernatid) ও স্পার্মাটোজোয়া (Sprematozoa)।

 

 


এই পাঁচটি পর্যায়ের মধ্য দিয়েই শুক্রাণু তৈরি হয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উল্লেখিত ৫টি পর্যায়ে বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে শুক্রাণু গঠন হয় না। শিশ্ন থাকা সত্ত্বেও এদের শরীরে যোনি (Vagina), জরায়ু (Uterus) ও দুটি ফেলোপিয়ান নালীর (Fallopian Tube) অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। বিকৃত যৌন গ্রন্থির উপস্থিতির ফলে এদের জননকোষের উৎপত্তি স্থানে গোনাডাল টিউমার (Gonadoblastoma) দেখা দিতে পারে। ২৫% MGD আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 


পরিবার কেন মেনে নেয় না?

 


তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ যারা সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত তারা সর্বপ্রথমে নিগৃহীত হন তাদের নিজ পরিবারে।

নিজের লিঙ্গ পরিচয় তাদের কে বোঝানোর জন্য রীতিমত যুদ্ধ করতে হয় পরিবারের সঙ্গে।

পরিবারের সদস্যরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেন না যে, তাদের যে সন্তান পুরুষ বা নারীর লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে জন্ম নিয়েছে সে একটা বয়সের পর বিপরীত লিঙ্গের একজনের মত আচরণ করবে।

পরিবারের সদস্যরা কেন মেনে নেয় না? এই উত্তর জানতে আমি কথা বলেছিলাম এমন একজনের সঙ্গে যার ছেলে সন্তান এখন রূপান্তরিত নারী হিসেবে পরিচিত।




প্রধানত ক্রোমোজোমের অস্বাভাবিকতা, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির নানারকম ত্রুটি ও জননকোষের উৎপত্তি স্থানের নানা জটিলতার ফলে এই ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে। এদের ক্রোমোজোম সংখ্যা হয় ৪৬ (৪৫X)। প্রকৃত হিজড়ে (True Hermaphroditism) এদের শরীরে শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় উভয়ই অবস্থান নেয়।

 

এরা অধিকাংশই পেশীবহুল শরীরের অধিকারী থাকে। শিশ্ন থাকে। অল্প হলেও কারো কারো শিশ্নের বদলে যোনি থাকে। এবং ভগাঙ্কুর (Clitoris) স্বাভাবিকের তুলনায় বড় থাকে অনেক সময় তা পুরুষ শিশ্নের মত হয়ে থাকে। এদের মূত্রনালি ও যোনিপথ একসাথে থাকে। একে বলে ইউরোজেনিটাল সাইনাস (Urogenital Sinus)।

 


ফেলোপিয়ান নালী (Fallopian Tube) ও জরায়ু (Uterus) থাকে। জরায়ু অত্যন্ত ছোট হয়। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে হাইপোপ্লাস্টিক বা ইউনিকরনেট্‌ (Hypoplastic or Unicornuate)। কৈশোরে স্তন গ্রন্থির প্রকাশ ঘটে ও রজঃচক্র (Menstruation Cycle) শুরু হয়।

 

যাদের বাহ্যিক জনন অঙ্গ পুরুষের মতো অর্থাৎ শিশ্ন আছে তাদেরও রজঃচক্র হয়ে থাকে। একে বলে সাইক্লিক হেমাচুরিয়া (Cyckic Hematuria)। এ ধরনের রজঃচক্রের সময় শুক্রাশয়ে ব্যথা হয়। কারণ: ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৮ (৪৬XX)। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪৬XY। ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণের ফলে নারীসুলভ ভাব এবং শুক্রাশয় থেকে এন্ড্রোজেন হরমোন নিঃসৃতের ফলে পুরুষসুলভ ভাব প্রকাশ পায়।



মানসিক না শারীরিক পরিবর্তন

 


তৃতীয় লিঙ্গ বলতে বাংলাদেশে সাধারণত যেসব পুরুষ নিজেদের নারী মনে করে বা রূপান্তরিত নারীদের বোঝানো হয়।

আবার এমন অনেক পুরুষ রয়েছে যারা নিজেদেরকে নারী মনে করে।


এক লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে জন্ম নিয়ে আরেক পরিচয়ে রূপান্তরের যে বাসনা সেটা কি মানসিক না শারীরিক?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমিন যিনি তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি বলেন, এটা মানসিক এবং শারীরিক উভয় কারণে হতে পারে।

 


তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা কমন ফিচার সেটা হচ্ছে তারা বায়োলজিক্যালি পুরুষ কিন্তু তারা নিজেদেরকে নারী মনে করেন। সুতরাং একজন নারীকে তিনি যেভাবে দেখেন সমাজে ,তিনি নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করেন। তাদের মন-মানসিকতায় তারা একেবারেই একজন নারী। পুরুষদের ক্ষেত্রেরেও একই রকম ব্যাপারটা”।



(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)