জুম্মার নামাজের নিয়ত কুরআন হাদিছের আলোকে

জুম্মার নামাজের নিয়ত
জুম্মার নামাজের নিয়ত

সপ্তাহে সব থেকে পবিত্র দিন হল জুম্মার দিন , জুম্মার নামাজের আগে, জুম্মার নামাজের নিয়ত সম্পর্কে আমাদের জানার প্রয়োজন , মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে সব থেকে পবিত্র দিন জুমার দিন এই দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে অনেক তথ্য রয়েছে

জুম্মার নামাজের নিয়ত জুম্মার নামাজের নিয়ত

 

জুম্মার নামাজের ফজিলত

চার রাকাত কাবলাল জুমার নিয়ত

নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল কাবলাল জুমাআতি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার

বাংলা নিয়ত

  • আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিবলামুখী হইয়া চার রাকাত কাবলাল জুমার সুন্নত নামাজ আদায় করিতেছি আল্লাহ হুয়াকবার

দুই রাকাত জুমার ফরজের নিয়ত উচ্চারণ

 

  • নাওয়াইতুয়ান উসাক্বিতা অস্কিতা হাতি হাতি রাক’আতাই সালাতিল বিহার জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর
  • বাংলা নিয়ত আমি আল্লাহর জন্য কিবলামুখী হয়ে যা আমার ওপর জোহরের ফরজ নামাজ উত্তীর্ণ করিতে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজে ইমামের পিছনে হইতে নিয়ত করিলাম আল্লাহ

চার রাকাত বাদাল জুমার নিয়ত

  • উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল বাদাল জুমা কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর

বাংলা নিয়ত

  • আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিবলামুখী হয়ে চার রাকাত বাদাল জুমা সুন্নত নামাজ আদায় করেছে আল্লাহু আকবার

জুম্মার নামাজের নিয়ত জুম্মার নামাজের নিয়ত

 

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে জুম্মার দিনে ১২ ঘন্টা রয়েছে তাতে আমার একটা সময় রয়েছে যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন অতএব হে আমার উম্মতেরা আসরের শেষ সময়ে তালাশ করো তাহলে তোমরা পেয়ে যাবে
(আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ১১৪৮)

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন শুক্রবার আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়, বিখ্যাত সিরাতগ্ৰন্থ যাদুল মায়াদে বর্ণিত আছে জুম্মার দিনে আসরের নামাজের পর দোয়া কবুল হয়

তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে উক্তি। কুরআন হাদিসের আলোকে

  • মোটকথা জুমার দিনের বিশেষ একটি মুহূর্ত রয়েছে যে সময় আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন এসময় সম্পর্কে আরও কিছু অভিমত তুলে ধরা হলো

জুম্মার নামাজের সূরা ফাতিহার পর আমীন বলার সময় আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে মুয়াজ্জিন আজান দেওয়ার সময় জুম্মার দিন সূর্য ঢলে পড়ার সময় ইমাম খুতবা দেওয়ার জন্য মিম্বারের দাঁড়ানোর সময় উভয় খুতবার মধ্যবর্তী সময়ে জুম্মার দিন ফজরের আযানের সময় প্রত্যেক জুম্মার আলাদা আলাদা সময়ে

গুরুত্বপূর্ণ নির্ভরযোগ্য কথা হল দোয়া কবুলের সময় টি পুরো দিনের ভিতর লুকিয়ে আছে পুরোপুরি নির্ধারিত না করার উদ্দেশ্য হল বান্দা সারাদিন সর্বদা ইবাদত-বন্দেগী ও দুআর মশগুল থাকে, আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দান করুক

জুম্মার নামাজের নিয়ত জুম্মার নামাজের নিয়ত

জুমার দিন দোয়া কবুল হয়

শুক্রবার অর্থাৎ জুম্মার দিন একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যের দিন এই দিনের কিছু সময় মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না বলে, পবিত্র হাদীসে এসেছে বিভিন্ন বর্ণনাই বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ হয়েছে, তবে এই পবিত্র জুম্মার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় কোনটি সে সম্পর্কেও থাকলেও দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই

জুম্মার নামাজের নিয়ত এর ফজিলত

জুম্মার ফজিলত এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো এই দিনই এমন একটা সময় আছে যে, মুমিন বান্দা  কোন দোয়া করলে আমাদের মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সেই দোয়া কবুল করেন, এই সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন
জুমার দিনে একটা সময় আছে যে সময়ে কোন উম্মাত আল্লাহর কাছে ভালো কোন কিছু প্রার্থনা করলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাকে তার দান করবেন (সহি মুসলিম ৮৫২)

 

জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার যে মহা মূল্যবান সময়ের কথা বলা হয়েছে সে সময় টি কোন সময়ে এই সম্পর্কে আমরা 45 টা মতামত পাওয়া যায়, তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মতামত হল, আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজের সময় দোয়া কবুলের সময় এই সম্পর্কে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন

জুমার দিনে সেই কাঙ্খিত সময়টা হল আসরের পর থেকে সূর্য অস্তের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ মাগরিবের নামাজের আগ পর্যন্ত (মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা ৫৪৬০)

রাগ নিয়ে উক্তি-রাগ নিয়ে ইসলামিক উক্তি

জুমার দিনের নফল নামাজ

 

জুমার দিনে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা উচিত এবং সব থেকে আগে মসজিদে যাওয়াই সর্বউত্তম এ সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত করেছেন সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন এবং এবং যারা আগে মসজিদে আসবেন তাদের জন্য রয়েছে উঠ এবং পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য কুরবানী অর্থাৎ গরু কুরবানী করার সওয়াব আমলনামায় দিবেন এভাবে করে পর্যায়ক্রমে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরও এক হাদিসে বলেছেন কোন পুরুষ জুম্মার দিন যদি গোসল করে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে এবং সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায় অতঃপর জুম্মার নামাজের জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেয় এবং মসজিদে যেয়ে বসার জন্য দুজনকে আলাদা করে বা করে না এর পর সাধ্যমত নামাজ পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলেন তখন চুপ থাকে তাহলে তার জন্য জুম্মা পর্যন্ত গুনাহ মাফ করা হয় (বোখারী ৮৪৩)

জুম্মার নামাজের জন্য সকাল সকাল গোসল সেরে জায় নামাজ নিয়ে মসজিদের দিকে যাওয়া উচিত কারণ মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন এই দিনটাকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ বলেও ঘোষণা দিয়েছেন একতাই বন্ধন একত্রিত আর এই মূলমন্ত্র মুসলমানরা সবসময় ধারণ করে যার জন্য সপ্তাহে এই একটা দিন আমাদেরকে একত্রিত হওয়ার দিন সপ্তাহের এই একটা দিন মুসলমানের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার জন্য ইমাম সাহেবরা বয়ান করেন

এজন্য আমাদের সকাল-সকাল মসজিদের দিকে যাওয়া কর্তব্য