দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে , দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত  দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ, দোয়া কুনুত বাংলায় অনুবাদ, ইসলামের আলোকে আলোচনা করা হলো

প্রতিদিন বেতর নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। তিন রাকায়াতের এই নামাজ এশার নামাজের পর পড়তে হয়। তবে বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাআতে সূরায়ে ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়ে

দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

আল্লাহু আকবার বলে দুই হাত কান পর্যন্ত তুলে পুনরায় হাত বেধে দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করতে হয়। এরপর রুকু সিজদা ইত্যাদি যথারীতি আদায় করে নামাজ শেষ করবেন। বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে

মহান আল্লা হর কাছে এই বলে প্রতিজ্ঞা করা যে আমরা আপনার উপর ভরসা করি এবং আপনার মঙ্গল কামনা করি । মহান আল্লাহ পাকের কাছে আরও প্রতিজ্ঞা করা যে আমরা আপনার শোকর করি, যারা আপনার অবাধ্য তাদের নিকট হতে দূরে থাকি ।

দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

হে আল্লাহ! আমরা আপনারই উপাসনা- আরাধনা করি এবং আপনার কাছে মস্তক অবনত করি, আপনারই এবাদতের জন্যে সচেষ্ট থাকি এবং আপনারই অনুগ্রহের প্রত্যাশী ও আপনার আযাবকে ভয় করি । নিশ্চয়ই আপনার শাস্তি কাফেরদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে ।

আরও পড়ুন   তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

কালেমা শাহাদাত আরবি বাংলা ও অর্থ কি

বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা মনীষীদের বাণী উক্তি ইসলামের আলোকে

কুনুত শব্দের অর্থ কি?

আমরা সবাই বিতর নামা জে দোয়া কুনুত পড়ে থাকি । অনে কেই জানতে চান “ কুনুত ” শব্দের অর্থ কি ? “ কুনুত ” একটি আরবি শব্দ । “ কুনুত ” শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা ।

 

দোয়ায়ে কুনুত আরবি 

اَللَّمُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَ نَسْتَغْفِرُ كَ وَ نُؤْمِنُ بِكَ وَ نَتَوَ كَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ ا لْخَيْرَ وَ نَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُ كَ – اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ
عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ:

আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্‌ তাঈ ’নুকা, ওয়া নাস্‌ তাগ্‌ ফিরুকা, ওয়া নু ’’মিনু বিকা , ওয়া নাতা ওয়াক্কালু ‘আলা ইকা, ওয়া নুছনী আলাই কাল খাইর । ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাক ফুরুকা , ওয়া নাখ লাউ’, ওয়া নাত রুকু মাঁই ইয়াফ জুরুকা । আল্লা হুম্মা ইয়্যাকা না’ বুদু ওয়া লাকা নুসল্লী, ওয়া নাস জুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’ আ, – ওয়া নাহ ফিদু, ওয়া নারজু রাহমা তাকা, ওয়া নাখশা – আযা বাকা, ইন্না আযা বাকা বিল কুফ্‌ফা রি মুল হিক্ব।

 

দোয়া কুনুত অর্থ:

হে আল্লাহ! আমরা তোমা রই সাহায্য চাই তোমা রই নিকট ক্ষমা চাই , তোমা রই প্রতি ঈমান রাখি , তোমা রই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমা রই দিকে ন্যস্ত করি । আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃ তজ্ঞ হই না । হে আল্লাহ ! আমরা তোমা রই দাসত্ব করি , তোমা রই জন্য নামায পড়ি এবং তোমা কেই সিজদাহ করি । আমরা তোমা রই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমা রই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাব কে ভয় করি । আর তোমার আযাবতো কাফের দের জন্যই র্নিধারিত ।

 

দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

দোয়া কুনুতের ফজিলত

বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোর পর তাকবির দিয়ে যে দোয়া পড়তে হয়, তা-ই দোয়া কুনুত। এ দোয়ার মধ্যে রয়েছে আল্লাহ কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবেদন। অথচ এ দোয়াটি অনেক মানুষেই জানে না। যা অনেক ফজিলতপূর্ণ দোয়া।

দোয়া কুনুত এর তাফসির – দোয়া কুনুত একটি প্রসিদ্ধ দোয়া । এই দোয়া আমার প্রতিদিন ইশা এর নামা জের পরে বিতর নামাজে শেষ রাকাতে পড়ে থাকি । দোয়া কুনুত মহান আল্লাহ পাক এর প্রেরিত রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিতর নামাজে পড়তেন । সেই মোতা বেক আমরা আল্লাহ পাক এর প্রেরিত রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হিসাবে পড়ে থাকি ।

 

আবু দাউদ এবং আহ মদ বিন হাম্বল এর বর্ণনা থেকে জানা যায় হাসান ইবনে আলী (রাঃ) এই দোয়াটি মুহাম্মাদের ( সাঃ ) কাছ থেকে শিখে ছিলেন । দাউদ (রঃ) আরও বলে ছেন যখন মুসলমান দের উপর কোন বিপদ -আপদ এবং বিপর্যয় আসতো তখন মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ ) দোয়া কুনুত পড়তেন । – মুসা ন্নাফ ইবনে আবী শাইবা (৬৯৬৫)

দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত

দোয়া কুনুত এর তাফসির

 

বিতের নামা জের এক/ তিন/ পাঁচ/সাত /এগারো রাকাত শেষ রাকাতে রুকু তে যাওয়ার আগে বা রুকু থেকে উঠে দুই হাত তুলে বা বেধে দুআ কুনুত পাঠ করতে হয় । আজকের আলো চনায় এই দোয়ার ফজিলত এবং তাফসির সম্পর্কে আলোচনা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।

সব থেকে বড় ফজি লত হচ্ছে আমরা মানুষ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলা মিনের নগন্ন বান্দা হিসাবে তার কাছে নত হয়ে কায়ম নো ব্যাক্যে নামাজে দাড়িয়ে মহান আল্লাহর আনু গত্য স্বীকার করে তার সাহায্য চাওয়া ।

যখন বান্দা কায় মনো বাক্যে নামাজে দাড়িয়ে দোয়া কুনু তের বাক্য গুলো উচ্চা রণ করে মহান আল্লাহ পাক তা কবুল করে নেন । মহান আল্লাহ পাক বান্দার প্রতি দয়া করে বান্দা কে ক্ষমা করে দেন । এর থেকে বড় ফজি লত আর কি হতে পারে?

দোয়া কুনুত এর তাফসির বা ব্যাখ্যা হচ্ছে নামা জের মাধ্যমে বান্দা হিসাবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলা মিনের কাছে সাহায্য চাওয়া ও ক্ষমা ভিক্ষা চওয়া । মহান আল্লাহ পাক যে আমা দের রব তা স্বীকার করে তার কাছে নত হয়ে সাহায্য ও ক্ষমা কামনা করা ।