সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ , সূরা ফালাক বাংলা অর্থসহ , সুরা ফালাক বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক, সহ কোরআন হাদিস ও ইসলামের আলোকে আলোচনা করা হলো
ঘুম মানুষের ক্লান্তি -অব সাদ দূর করে। শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের অবদান অসা মান্য । এটি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামত। মহৎ ইবাদতও বটে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমাদের নিদ্রাকে করেছি— ক্লান্তি দূর কারী । ’ (সুরা নাবা, আয়াত : ০৯)
সুরা ফালাক বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
সূরা ফালাক নামাজের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ এর ফজিলত নাযিলের প্রেক্ষাপট সহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা ফালাক এর আমল সহ আরও অনেক তথ্য আলোকপাত করা হবে
আরও পড়ুন দোয়ায়ে কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
কালেমা শাহাদাত আরবি বাংলা ও অর্থ কি
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা মনীষীদের বাণী উক্তি ইসলামের আলোকে
সূরা ফালাক আরবি
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلْفَلَقِ (١ )
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ( ٢)
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِ ذَا وَقَبَ ( ٣)
وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّـٰثَـٰتِ فِى ٱلْعُقَدِ ( ٤)
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ( ٥)
সূরা ফালাক বাংলা
বাংলা অর্থ – বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভা তের পালন কর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করে ছেন, তার অনিষ্ট থেকে,অন্ধ কার রাত্রি র অনিষ্ট থেকে , যখন তা সমা গত হয়,
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদু কারি ণীদের অনিষ্ট থেকে
এবং হিংসু কের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
আমিন ।
সূরা ফালাক বাংলা উচ্চা রণ
বাংলা উচ্চা রণ : কুল আ‘ঊ যুবি রাব্বিল ফালাক
বাংলা উচ্চা রণ : মিন শাররি মা- খালাক।
বাংলা উচ্চা রণ : ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব।
বাংলা উচ্চা রণ : ওয়া মিন শার রিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ।
বাংলা উচ্চা রণ : ওয়া মিন শাররি হা -ছিদিন ইযা- হাছাদ।
মুসলিম দের প্রতিটি কর্ম মহান আল্লাহর ইবাদত। তবে তা হতে হবে ইসলা মের নির্দেশিত পদ্ধতি ও রাসুল ( সা.)-এর সুন্নত মোতা বেক। তখন সব কিছুর মতো ঘুমও ইবাদত-পুণ্যে পরি ণত হয় । এখানে ঘুমা নোর আগের কয়েক টি গুরুত্ব পূর্ণ আমল দেওয়া হলো—
°এক. ‘তিনকুল’ পড়ে ফুঁ দেওয়া°
দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সুরা ইখলাস,সূরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দেবে। তারপর দুই হাতের তালুর মাধ্যমে দেহের যতোটা অংশ সম্ভব— মাসেহ করবে। মাসেহ শুরু করবে— মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সাম নের দিক থেকে (এভাবে ৩ বার করবে)। ( বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
°দুই. আয়াতুল কুরসি পড়া°
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারা রাত তার কাছে আসবে না ।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১ )
°তিন. সুরা বাকা রার শেষ ২ আয়াত°
রাসুল (সা.) বলে ছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকা রার শেষ দুই আয়াত ( আ-মানার রাসুলু বিমা–) তেলাওয়াত করবে, এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০০৮)
°চার. সুরা কাফি রুন পাঠ করা°
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘রাতে ( কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সুরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শিরক থেকে মুক্তি পেতে উপ কারী। ’ (সহিহ তার গিব, হাদিস : ৬০২)
°পাঁচ. ‘কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ’ পাঠ°
একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) তার সাহা বাদের বল লেন, ‘তোমা দের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে অ সমর্থ হবে?’ এতে সকল কে বিষয়টি ভারী মনে করল। বলল, এই কাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে— হে আল্লাহর রাসুল !? তখন তিনি বল লেন, ‘সুরা ইখলাস হলো- এক-তৃতীয়াংশ কোরআন। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)
°ছয়. ডান হাত গালের নিচে রেখে দোয়া পড়া°
আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন ঘুমা নোর ইচ্ছা করতেন, তখন তার ডান হাত— তার গালের নীচে রাখতেন,
তারপর এ দোয়াটি বলতেন—
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢّ َ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭ َﺃَﺣْﻴَﺎ
উচ্চারণ : আল্লা হুম্মা বিস মিকা আমু-তু ওয়া আ হ্ইয়া
অর্থ : হে আল্লাহ্! আপ নার নাম নিয়েই আমি মরছি ( ঘু মাচ্ছি ) এবং আপ নার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হব । (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
°সাত. তাসবিহের আমল করা°
আল্লাহর রাসুল (সা.) তার মেয়ে ও জামাতা ফতেমা (রা.) ও হযরত আলী (রা.)- কে বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু বলে দেবো না— যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে; তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৭০৫)
°আট. সুরা মুলক পাঠ করা°
আল্লা হর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবার কাল্লাযী বিইয়া দিহিল মুলক (সুরা মূলক) পাঠ করবে— এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কব রের আজাব থেকে রক্ষা করবে ন।’ ( তিরমি জি, হাদিস : ২৮৯০)
মহান আল্লাহ আমাদের এই আমল গুলো করার তাওফিক দিন এবং আমা দের সর্বোত্তম সওয়াব ও প্রতিদান দিন। আমিন।