নিঃসঙ্গতা উক্তি,নির্বাচিত ইসলামিক কিছু কথা স্ট্যাটাস ক্যাপশন

নিঃসঙ্গতা উক্তি (2)
নিঃসঙ্গতা উক্তি (2)

“নিঃসঙ্গতা” বা “নিঃসঙ্গতা উক্তি” বাংলা ভাষায় ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রস্তাবনা। এটি মানে রাখে যে, মানুষ সমাজে অথবা সামাজিক পরিবেশে অধিক নিকটতা বা আবেগের সময় অনেকে একে অপরের সঙ্গে বা বিষয়ে আত্মীয় বা সম্পর্কবাদী হতে চায় না।

নিঃসঙ্গতা বা অলক্ষ্যতা সাধারণভাবে ভাবা হয় এমন লোকের সাথে সময় কাটানো, যারা সঙ্গে ব্যক্তিগত বা ভাবনামূলক সংবাদ বা সাংবাদিকতা শেয়ার করে না। নিঃসঙ্গতা বা নিঃসঙ্গ ভাবনা থাকলে এই ধরনের লোকেরা অধিকাংশভাবে নিজেদের সাথে অনিচ্ছুকভাবে বা অপর সাথে অনুপস্থিত হয়ে থাকতে পছন্দ করে।

এই উক্তির মাধ্যমে একটি গভীরভাবে ভাবনা অব্যাহতির কারণ হতে পারে অনেক কিছু, যেমন আত্মবিশ্বাসের অভাব, আত্মাভিমান, শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, ভয়, অবাঞ্ছিত পরিবর্তনের ভয় এবং অনিচ্ছুকভাবে আবেগ বা ভাবনা শেয়ার করতে পারে না বা তাদের মতামত জানাতে অনিচ্ছুক হয়ে থাকতে পারে।

এই ধরনের নিঃসঙ্গতা অবলম্বন করার কারণ বা ভাবনা সম্পর্কে ধর্মীয়, মানসিক বা রোগ সেবা প্রদানকারী সেবা প্রদানকারীগণ কথা বলতে পারে। সামাজিক সাথে বা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান সমস্যা হতে পারে যেটি সামাজিক আইন, নীতি বা রূপরেখা উপস্থাপনের সাথে সংঘর্ষ করতে পারে।

 

নিঃসঙ্গতা নিয়ে ১০ টি উক্তি

বিভিন্ন লেখক, দার্শনিক এবং সামাজিক বিচারকরা নিঃসঙ্গতা বা অলক্ষ্যতা সম্পর্কে অনেকগুলি উক্তি করেছেন। নিম্নলিখিত ১০টি উক্তি মধ্যে কিছুটি উদ্ধৃত করা হলো:

১. “এক ব্যক্তি আপনার জীবনে বেশি ভূতুর বা ভূতহীন হয়ে যেতে পারে, তা হলো এক নিঃসঙ্গ মানুষ।” – আলবার্ট কামু

২. “সমস্ত উত্সাহহীন ও মনঃশান্ত হওয়া মৌনে একে অপরের সাথে নিঃসঙ্গ হওয়ার সমতুল্য।” – মাহাত্মা গান্ধী

৩. “নিঃসঙ্গতা একটি উচ্চতম ধর্ম।” – স্বামী বিবেকানন্দ

৪. “নিজেকে ব্যক্তিগতভাবে উন্নত করার জন্য, একজন ব্যক্তি সমস্ত বাইরের ব্যক্তিগত ভাবনাগুলি নিজে অত্যন্ত দূরে রেখে নিঃসঙ্গ হওয়া শিখতে পারে।” – বারুচ স্পিনোজা

৫. “নিঃসঙ্গতা ভালো এবং উচ্চতম স্বাধীনতা।” – সোরেন কিয়েরকেগোর

নিঃসঙ্গতা উক্তি
নিঃসঙ্গতা উক্তি

৬. “নিঃসঙ্গতা মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পত্তি হলো ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতা।” – ওস্কার ওয়াইল্ড

৭. “নিঃসঙ্গতা ভালোভাবে মনে রাখা মানবতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৌভাগ্য।” – আরিস্টটেল

৮. “নিজেকে সম্পর্কের অনুভব না করার মাধ্যমে ব্যক্তি অন্যদেরের মনের উত্সাহকে নষ্ট করে না।” – চার্লস বেস

৯. “নিঃসঙ্গতা সব ভালো মানুষের মিত্র।” – আরথার স্চপেনহাউয়ার

১০. “একে অপরের বারেদের আভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমরা একে অপরের বৃদ্ধি করি, আমরা একে অপরের বিকাশে সাহায্য করি, আর এই সম্পর্কই আমাদের মানসিক এবং সামাজিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।” – ডালাই লামা

 

নিঃসঙ্গতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ইসলামে নিঃসঙ্গতা বা অলক্ষ্যতা নির্দেশিত করা হয়েছে এবং কোরআন হাদিসে এই বিষয়ে কিছু মূল উক্তি পাওয়া যায়। এই উক্তিগুলির মধ্যে কিছুটি নিম্নলিখিত:

১. “আমিও তোমাদের মধ্যে নেই এবং তোমাদের মধ্যেও নেই।” (সুরা হদীদ, আয়াত ৪)

২. “তোমাদের মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানগুলি কঠিন হবে, তা হল দ্বীনের সমবেদনা। অতএব তোমরা এই সমবেদনা দেখাও, এটি যে সামাজিক সম্পর্কগুলি উন্নতি করে তা নয়, অথচ আল্লাহর পথে তোমরা যাও।” (সুরা মুজাদালাহ, আয়াত ১০)

৩. “সততা দিয়ে ওপরে হাত দাও, না যেন তোমার এবং তোমার পিতার কাছে একটি সাম্যদান হয়ে যায়।” (সুরা মুজাদালাহ, আয়াত ৮)

৪. “তোমাদের মধ্যে বন্ধু হিসেবে একে অপরের নিকটতম নেই, না তোমাদের মধ্যে মিথ্যা বোলা হয়ে থাকবে।” (সুরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

৫. “আমার পথে যাও, তাহলে আমাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক হবে না।” (সুরা মারয়াম, আয়াত ৪৭)

৬. “যারা একই পথে সমবেদনা করে, সেইগুলি একে অপরের কয়েকটি সম্পত্তি ছিড়ে নিয়ে চলবে না।” (সুরা বাকারা, আয়াত ১৯৭)

৭. “তোমরা সেগুলি যারা তোমাদের নিকট বন্ধুত্ব করতে পারে না, তাদের প্রেম করবে না।” (সুরা মুমতাহিন্নাহ, আয়াত ৮)

এই উক্তিগুলি ইসলামিক তাওহীদ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে একাধিক পাঠ্যক্রমে পাওয়া যায়। ইসলামে, ভক্তি প্রকাশ করার জন্য মাত্র আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত, এবং দূরের মানুষের সাথে বা সামাজিক পরিবেশে নিঃসঙ্গ থাকা শিক্ষা দেয়া হয়েছে।

 

নিঃসঙ্গতা উক্তি ইসলামিক ১০ টি 

ইসলামিক সাহিত্যে নিঃসঙ্গতা বা অলক্ষ্যতা নিয়ে বিভিন্ন উক্তি রয়েছে। নিম্নলিখিত ১০টি উক্তি ইসলামিক প্রধান তালিকা থেকে নেওয়া হয়েছে:

১. “একজন মুসলিমের জন্য অলক্ষ্যতা প্রধান ধর্ম, কারণ আল্লাহ তাদের হৃদয় ও চোখ দিয়ে দেখেন।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)

২. “সত্যিকারের বিশেষ লোক হলো যে ব্যক্তি যত্রতাত্ত্বিক কারণ নেই, সে তাত্ত্বিক ব্যক্তি থাকতে পারে না।” – হাদীস (সহীহ বুখারী)

৩. “সত্যিকারের বিশেষ লোক হলো যে ব্যক্তি অন্যের সাথে সম্পর্ক করে এবং তাদের সাথে পাপ করে না।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)

৪. “বন্ধুত্বের বাংধবী সবচেয়ে ভালো হলো যেটি তোমাদের দুটি অক্ষে দুটি আখু দিয়ে আল্লাহর পথে যায়।” – হাদীস (সুনান আবু দাউদ)

৫. “যে ব্যক্তি অসৎ বা দুর্বোধ্য ব্যক্তির সাথে একটি প্রশান্ত মিত্রতা ভাবে থাকতে পারে, সে অনেক বেশি উপকারী হবে কারণ তার সঙ্গে সময় কাটানো অসহয়।” – হাদীস (সুনান আবু দাউদ)

৬. “সমাজে ব্যতিত হওয়া মৃত্যু হলো প্রতিষ্ঠানের মৃত্যু, তবে এটি আল্লাহর পথে স্বীকৃতি হয়ে যায়।” – হাদীস (মুসনাদ আহমাদ)

৭. “বন্ধুত্বে বন্ধু থাকার মতো প্রিয় ব্যক্তি সত্যিকারের মধ্যে একটি মূল্যবান সম্পত্তি।” – হাদীস (সুনান তিরমিযী)

৮. “একজন মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ভালো যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয়, সে অবশ্যই জানে।” – হাদীস (সুনান আবু দাউদ)

 

শেষ কথা

নিঃসঙ্গতা একটি মূল্যবান স্বভাব যা সমস্ত ধর্ম এবং সামাজিক সংস্কৃতির মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। এটি মানব সম্পর্কে শুধুমাত্র শারিরিক দূরত্ব নয়, বরং মানসিক এবং আধ্যাত্মিক সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় একটি সূত্র। নিঃসঙ্গতা বা অলক্ষ্যতা মানবিক সম্পর্কে একটি পরিপ্রেক্ষিত বিষয় হিসেবে প্রশংসিত হয়, কারণ এটি ব্যক্তির মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি প্রধান উপায়।

নিঃসঙ্গতা কেবলমাত্র একটি নিকটতা বা আপেক্ষিক প্রাকৃত সংসারিক সম্পর্ক বন্ধ করার কথা নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক সংস্কারের বিভিন্ন মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। নিঃসঙ্গতা মানুষের আত্ম-জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতির উন্নতির দিকে সাহায্য করে, যাতে তিনি আপনার আত্মিক প্রাকৃতির সাথে সংযোগ করতে পারেন এবং সম্পূর্ণ মানুষিক প্রস্তুতি লাভ করতে পারেন।

একজন নিঃসঙ্গ বা অলক্ষ্য ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখার সাথে সাথে তাদের মাধ্যমে আপনি নিজের অধিক ভালো উন্নত করতে পারেন এবং আপনার মনস্থিতি এবং আধ্যাত্মিকতা উন্নত করতে পারেন। নিঃসঙ্গতা একজন ব্যক্তির ভিত্তিতে আত্ম-পরিচয় উন্নত করে এবং তাদের ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং প্রগতি পথে সাহায্য করে।

মোটামুটি কথা হলো, নিঃসঙ্গতা একজন ব্যক্তির ভালোবাসা, শান্তি, আনন্দ এবং প্রসারণ এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে সহায্য করে। এটি ব্যক্তির ভূমিকা উন্নত করে এবং তাদের আত্মিক স্বীকৃতি এবং বৃদ্ধি করে, যা আল্লাহর পথে তাদের কাজে লাগবে।